রূপসী ঝর্ণা নাকি ছড়া?
এটা মূলত একটা ছড়া যার ওপর আছে ছাগলকান্দা ঝর্না। ওই ঝর্নার পানি বেয়ে গড়িয়ে পড়ে প্রায় ৮-১০ ফুট ওপর থেকে। যেটাকে অনেকটা ঝর্নার মত মনে হয়। আর এই অনিন্দ্য সুন্দর ছড়া যাকে ঝর্নার মত মনে হয় তার অনিন্দ সুন্দর রূপের কারণের স্থানীয়রা একে রূপসী ঝর্না নাম দিয়েছে।প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের আরেক নাম বড় কমলদহ রূপসী ঝর্ণা। আঁকাবাঁকা গ্রামীণ সবুজ শ্যামল মেঠো পথ পার হয়ে পাহাড়ের পাদদেশে গেলেই শোনা যাবে ঝর্ণার পানি গড়িয়ে পড়ার অপরূপ নুপুরধ্বনি। দুই পাশে সুউচ্চ পাহাড়। সাঁ সাঁ শব্দে উঁচু পাহাড় থেকে অবিরাম শীতল পানি গড়িয়ে যাচ্ছে ছড়া দিয়ে। রূপসী র্ঝণা প্রথম দেখেই তার রূপে পাগল হবে যে কেউ। মেঘের মতো উড়ে আসা শুভ্র এ পানি আলতো করে ছুঁয়ে দেখলেই এর শীতল পরশ মুহূর্তে ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে। টলটলে শান্ত পানির চুপচাপ বয়ে চলার ধরনই বলে দেবে এর উৎস অবশ্যই বিশাল কিছু থেকে।যত দূর পর্যন্ত ঝিরিপথ গেছে তত দূর পর্যন্ত তাদের মনমাতানো ঝিঁঝি পোকার গুঞ্জন শোনা যায়।রূপসী ঝর্ণার পানিতে গোসল করার লোভ সামলানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। বছরের পর বছর ঝর্ণার পানি গড়িয়ে যাচ্ছে এই ছড়া বয়ে।
মিরসরাইয়ের বড় দারোগারহাট বাজারের সামান্য উত্তরের ব্রিকফিল্ড সড়ক ধরে পূর্ব দিকে আধা কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই রেললাইন। রেললাইন পেরুলেই মেঠো পথ, দুপাশে সবুজ ফসলি মাঠ, সামনে পাহাড়ের বিশালতা। আর সেই মেঠো পথ ধরে একটু হাঁটলেই পাহাড়ের পাদদেশ। বাঁ দিকে ৫০ গজ হাঁটলেই বিশাল ছড়া। যেটি রূপসীর প্রবেশপথ। রূপসীর প্রথম ধাপটা বড় একটি ঝর্ণার মত। অনেকটা খাড়া তবে ঢালু। বর্ষায় পুরো ঝর্ণা বেয়ে পানি পড়ে। শুষ্ক মৌসুমে শুধু দক্ষিণ দিকটায়। অনেকেই শেষে কওে দেয়। মনে করে রূপসী শুধু এটাই। অথচ এটি রূপসীর বাইরের রূপ। ভেতরের রূপ আরো বেশি সুন্দর। রূপসীর ধাপের ঝর্ণাটা বেয়ে উপরে উঠলে খোলা একটা জায়গা। তারপর একটা বড় পাথর। এই পাথরের মাঝ দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে। দশ ফুটের খাড়া পাথরটি বেয়ে উঠতে পারলেই এবার অন্যরকম এক সৌন্দর্য। বিশাল ছড়া, তবে বেশ আঁকাবাঁকা। ঠিক বয়ে চলা কোনো নদীর মত। ছড়া দিয়ে হাঁটার সময় চোখে পড়বে হরেক রকম পাহাড়ি বৃক্ষ, ফুল, ফল, লতা। ছড়ার বুক ছিড়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হবে যেন কোনো গুহার মধ্য দিয়ে হেঁটে হেঁটে রহস্যভেদ করা হচ্ছে। কাঁদা নেই-বালি নেই। সুন্দর সমান এক ছড়া। বন্যমোরগের ছুটাছুটি। ছড়া ধরে হাঁটতে হাঁটতে পাওয়া যাবে দুটি পথ। এক পথের ছড়া বড়, আরেক পথের ছোট। বড় ছড়া ধরে একটু এগুলোই ছাগলকান্দা ঝর্না । অনেক দূর থেকেও কানে ভেসে আসে ঝর্ণার অবিরাম পানি পড়ার সুমধুর ধ্বনি। ৫০ ফুট উঁচু পাথর বেয়ে পড়ছে জল, অনবরত, শত বছর ধরে।তব্দা হয়ে যাওয়ার মত সৌন্দর্য।সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে গড়েছেন এই ঝর্ণা, প্রকৃতি, সৌন্দর্য। এই ঝর্না যে একবার দেখবে সে বারবার দেখতে চাইবে। প্রেমে পড়বে, ক্লান্তি দূর করবে।
রূপসী ঝর্ণায় যাবেন কিভাবে?
দেশের বিভিন্ন স্থান হতে যে কোনো বাসযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়দারোগাহাট বাজারে নামবেন। এরপর সিএনজি অটোরিক্সাযোগে বাজারের উত্তর পাশের ব্রিকফিল্ড সড়ক দিয়ে পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত যাবে। এরপর পায়ে হেঁটে ঝর্ণায় যাওয়া যাবেন। অথবা যে কোনো বাস থেকে ব্রিকফিল্ড সড়কের মাথায় নেমে অটোরিক্সা ছাড়া আধা কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়াঃ
বড়দারোগাহাট, বড়কমলদহ ও কমলদহ বাজারে খাওয়ার হোটেল রয়েছে। আরো ভালো হোটেলে খাওয়ার জন্য সীতাকুন্ড উপজেলা সদরে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা থাকা ও খাওয়ার জন্য যেতে পারেন ঝর্ণা এলাকা থেকে গাড়ি যোগে মাত্র ৪০ মিনিটের পথ চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশ মুখে একেখান ও অলংকারে কুটুম্ববাড়ি রেস্তোরায়। থাকার জন্য একেখানে মায়ামী রিসোর্ট ও অলংকারে রোজ ভিও হোটেল রয়েছে।
--------------------------------------
▲ LICENSE - FREE DOWNLOAD
You're free to use this song in your RU-vid videos by creating an account with Uppbeat here: uppbeat.io/tra... and downloading the track!
You tube link : • Paul Yudin - Summer Bu...
--------------------------------------
--------------------------------------
ruposhi jhorna, sitakunda ruposhi jhorna, ruposhi waterfall, ruposhi bangla travel vlog, ruposhi jhorna shitakund, sitakunda ruposhi jhorna, ctg to sitakunda, chattogram to sitakunda, কমলদহ ও রূপসী ঝর্ণার ট্রেইল, রূপসী ও ছাগলকান্দা ঝর্না, রূপসী ঝর্ণায় অনেক জল তবুও হতাশ, কমলদহ ট্রেইল, একই ট্রেইলে অসংখ্য ঝর্ণা
--------------------------------------
16 окт 2024