কৈবল্যধামের শারদীয় দুর্গোৎসব
শারদীয় দুর্গোৎসবের পূর্ণাহুতি - ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ
শারদীয় দুর্গোৎসব, শ্রীশ্রীকৈবল্যধামের প্রধান উৎসব। শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথের চিত্রপটেই সিংহবাহিনী মা দশভূজা দুর্গাপূজার প্রচলন এই শ্রীধামে। কোজাগরী পূর্ণিমায়ও শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথের চিত্রপটেই "লক্ষ্মীদেবী" পূজিতা হন। এ ছাড়াও অমাবস্যায় কৈবল্যশক্তির বেদীতে শ্রীশ্রীকৈবল্যনাথের চিত্রপট স্থাপন করে সেই পটে সারা রাত্রি শ্রীশ্রী শ্যামা মা অর্চিতা হয়ে থাকেন।
ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমবেত হন এবং উৎসব চলার দিনগুলিতে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ দিনে মহাপ্রসাদ এবং রাতে অন্ন প্রসাদ গ্রহণ করেন। তা ছাড়া প্রতি সপ্তাহান্তে হাজার হাজার ভক্ত মহাপ্রসাদ গ্রহণ করে থাকেন।
মায়ের পূজার নির্দেশনা ঠাকুর স্বহস্ত লিখিত পত্রে দিয়াছেন -
"কৈবল্যনাথের মঙ্গলচরণাদি সম্পাদনে দেবীর অর্চণার জন্য যে মত করিবেন তাহাই হইবে। ...... কৈবল্যনাথ বলিতে গেলে কৈবল্যশক্তিও বলিতে হইবে। ইহাতে যে কোন দেবতারই অর্চণা হউক না। সেই দেবতার ঐ কৈবল্যনাথেরই হইবে। যে চিত্রপট আছে সেই বিধি দৃষ্টেই পূজা হইবে। ইহার মধ্যে সংশয় কি হইতে পারে। বিধি বিধানে আছে ঘট পট হইতে পারে। মহাদেবীর ধ্যানাদি সাঙ্গোপাঙ্গ সহিত যে পূজা বিধান আছে তাহা ঐ পটেও হয়। ঐ পটে যদি জীবের প্রাণি সত্তার রূপ বলিয়া সংস্কার থাকে তাহা হইলে কৈবল্য অর্চণইত হইবে না। এই পটকেও কৈবল্যেরই প্রকাশ জানিয়া উহার সমস্ত বিভূতি আর জগতে শ্রীধা (?) বিকাশের দেবদেবী জানিবেন।....."
".....মায়ের অর্চণা বিশুদ্ধ ভক্তি শ্রদ্ধায় সাত্ত্বিকভাবে করিয়া আনন্দ পাওয়া যায়, মা আপনাদের অর্চণায় তৃপ্তি লাভ করুন এই প্রার্থনা।"
12 сен 2024