জ্ঞানগর্ভ যৌক্তিক আলোচনা। ইসলাম আর মুসলিম এক জিনিস নয়। খিলাফত মুসলিমদের সোসাইটি চালাবার একটা পদ্ধতি মাত্র যা ইসলামের শেখানো পথ এর উপর নির্ভর করে তৈরী কিন্তু এটা ইসলাম পালন নয়। আমি পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র পছন্দ করি যদিও এতে অনেক লুপহোল আছে কিন্তু এর পূর্ন সুফলতা ইংলেন্ডে বসে ভোগ করছি। বাংলাদেশ হয়ে গেছে মহারাজ মোদির অধীন্যস্ত 'বাংলারাজ্য' যার মুক্ষ রানী একে 'লীগেরমুল্লুক' বানিয়ে, যা মনে চায় তা করছেন দেখে রিভোল্ট হিসেবে ধীরে ধীরে মানুষ খিলাফতের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। আমারমতে, একটা ব্যালেন্সড ইসলামিক ডেমোক্রেটিক আইডিওলজি ডেভেলপ করা যেতে পারে যেখানে নাস্তিককেও তার যুক্তি বলার অধিকার দেয়া হবে এবং তার মাথাটা ঘাড়ের উপরেই থাকবে কিন্তু বিদ্বেষ ছড়ানো নিষিদ্ধ হতে হবে যদি না সে বিজ্ঞ আলেমও হয়। যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে আলোচনা'র মাধ্যেমে নাস্তিকের বা বিধর্মীদের মোকাবেলা করা উচিত। আমি মুসলিম হয়ে পশ্চিমা গণতন্ত্রের গুন্ গাইছি কারণ দেখছি এটা ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সবার অধিকার সংরক্ষণ করে। ইউকে তে দেখেন, লন্ডনের মেয়র 'সাদিক খান' মুসলিম(তৃতীয়বার নির্বাচিত হলেন), প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক হিন্দু (দেশের প্রয়োজনে, খ্রিস্টান 'লিজ ট্রাস'কে পঁয়তাল্লিশ দিনের মাথায় সরিয়ে তাকে বসানো হয়েছে এর আগের প্রধান মন্ত্রী 'বরিস জনসনে'র দাদার বাবা ছিলেন টার্কিশ মন্ত্রী 'আলী কামাল'), এক্সডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব ইহুদি, স্কটল্যান্ডের সদ্য সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার মুসলিম হামজা ইউসেফ পাকিস্তানী বংশদ্ভুত আর তার স্ত্রী পেলেস্টাইনের অথচ দেশে রাইট উইং কনসারভেটিভ চৌদ্দ বছর ধরে ক্ষমতায়। মানুষ থেকে শুরু করে ম্যাগট বা কিরা বা কীট পর্যন্ত সবাইত আল্লাহ'র সৃষ্টি এবং বান্দা। মোদী, নেতানিয়াহু কিংবা কাবাহ'র ইমাম সবাইত আল্লাহ'র বান্দা কেউ হয়ত শয়তানের ওয়াসওয়াসার শিকার বা তাদের চোখের সামনে পর্দা পরে গেছে। আমরা নিজেরা মুসলিম কিনা তারই ঠিক নাই আরেকজনকে কাফের বলে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিচ্ছি এই রাইটস কি আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন? একজন রিভার্ট নতুন মুসলিম নারী তার পিতার মৃত্যুর আগে পিতার স্বাধীন ইচ্ছাতেই শাহাদা পাঠ করিয়ে দিয়েছেন এবং নিষ্পাপ হয়ে মরেছেন অথচ সারাজীবন মেয়েকে ইসলাম থেকে দূর করতে চেয়েছেন। উগ্র মুসলিমদের, 'রাসুল্লাহ (সা:) এর চরম সহনশীলতার' বিষয় গুলো চোখেই পড়েনা অথচ অনেক বিধর্মী বিদ্বান নারী পুরুষেরা ইসলামের ভুল ধরতে গিয়ে সীরাত ও কুরআন পরে আকৃষ্ট হয়ে স্বেচ্ছায় মুসলিম হয়েছেন। ইসলামের আকর্ষণীয় সহনশীলতা ও ফেয়ারনেস প্রকাশ করতে হুজুরদের সমস্যা কোথায় আল্লাহই ভাল জানেন।
চমৎকার লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের একদল হুজুরের ইসলামী জ্ঞান নেই। আর নেই প্রজ্ঞা / উইসডম / হিকমাহ । ফলে কোথায় কি বলতে হবে, কি বলতে হবে না- এ সম্পর্কে তাঁদের সঠিক জ্ঞান নেই। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। ফলে লেজে- গোবরে একাকার। ইসলামের আলোকে জ্ঞান- বিজ্ঞান- প্রযুক্তি - গবেষণা - অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। ইতিহাস জানতে হবে। সূরা আল ইমরানের ১০৩ নম্বর আয়াতের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
হাসান মাহমুদ ভাই এর বই গুলোর ভাষা আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে।আগামী তে বই লিখলে আমারদের মতো মুর্খ দের কথা চিন্তা করে একটু সহজ ভাষায় লিখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
Last 3 month kono live hocche na.. we eagerly waiting for Hasan Mahmud and your podcast.. my thinking perspective changed a lot from you two. Thank you sir
সালামুন আলাইকুম ।ম ওদুদী সাহেব যা লিখেছেন তা কোরানের কথা। তাই এভাবে ই ইসলামী শাসন কায়েম করতে হবে। বাংলাদেশের 20 কোটি জনতা তাই চায়। ইসলাম যেখানে সেখানে ই প্রচার করতে হবে।
দুটি বিষয়ে আমজনতাকে খুব সহজেই ভুল বোঝান বা কনভিন্স করা যায়ঃ ক)ধর্ম , খ) কমিউনিজম এ কারণেই দেশে ধর্ম ভিত্তিক দল , উপদলের সংখ্যা প্রায় ১০০ টি এবং বামপন্থী পার্টির সংখ্যাও অর্ধ শতাধিক।
সহীহ অসহীহ এর খাসলত কিয়ামত পর্যন্ত শেষ হবে কি যেখানে সুরা হুদ এর আয়াত নং ১১৮ ও ১১৯ এ বলা হয়েছে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন মতবিরোধ করার জন্য অর্থাৎ গ্যাঞ্জাম করার জন্য উদ্দেশ্য দোজখ পূর্ণ করা সাথে সুরা সাজদার আয়াত নং ১৩ কে সাথে রাখা যেতে পারে ?
একটু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন হলে,, একটি রসুন আশা করা যায় না।। লক্ষ লক্ষ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন,, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বলে দিবে রাষ্ট্রের নিয়মাবলী।। কোন একদিন।।
@@KabirAkash-eb5nr এখানে লিংক দেওয়া যায় না - সার্চ করুন:- "ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার বিরুদ্ধে ছিল আ.লীগ, বিএনপি এমনকি জামায়াতও"। এরশাদ যখন ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন, তখন প্রতিবাদ করেছিল আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াতও। বেগম খালেদা বলেছিলেন, 'ধর্মের নামে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।' জামায়াত বলেছিল, 'ইসলামী আন্দোলন প্রতিহত করাই রাষ্ট্রধর্মের উদ্দেশ্য।'
সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করিলে এবং সৎকর্ম করিলে মানুষ অবশ্যই জান্নাত ষাবে। তবে যদি পপ,ফাদার, পাদ্রি, সন্যাসী, ব্রাহ্মণ্ অথবা মোল্লা মৌলভি তে বিশ্বাস করিলে এবং তাহাদের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হলে নিশ্চিত সঠিক গন্তব্য পৌঁছাতে পারিবেননা কখনোই। সৃষ্টির কর্তার নির্দেশনা পালন করিতে হবে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী যেভাবে তাহার পবিত্র গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। যে গুলা লিপিবদ্ধ এবং সংরক্ষিত হয়েছে প্রফেসির সময়ে। প্রফেট বিগত হবার পরবর্তী তে প্রফেট গণের নামে যাহা রচনা করাহয়েছে তাহা কখনোই সত্যের মহাগ্রন্থের সারমর্ম অথবা ব্যাখ্যা হতে পারেনা।
তাহলে ভাই বিচারকার্য মানুষের আইনে না আল্লাহর আইনে হবে।আল্লাহর আইনে না করলে কাফির হবে না সে?তাহলে শুধু কুরআনের শাসন কায়েম করার চেষ্টা কি করা যাবে না।হাদিস বাদ শুধু কুরআনে যা আছে সেই অনুসারে বিচার কার্য চালানোর জন্য আল্লাহ কি বলেন নাই?একটু ক্লিয়ার করেন।