জামাত শিবিরের ভাইদেরকে বলবো আপনারা ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে চান আপনারা বেসিক ইসলামিক অনেক বিষয় আপনারা জানার চেষ্টা করেন ভালো কথা আমি কওমির সন্তান আপনাকে ভালোবাসি তবে একটা পরামর্শ দিব ইসলামিক কোন বিষয়ের মন্তব্য করবেন না বিশেষ করে ইসলামিক বিষয়গুলো হক্কানী আলেমদের হাতে ছেড়ে দিন হক্কানী আলেমদের দোয়া নিয়ে হক্কানী আলেমদের পরামর্শ নিয়ে সফলতা আপনার পায়ের কাছে এসে ধরা দিবে ইনশাআল্লাহ
ও ও বুজলাম এখনকার হক্কানি আলেমরা তো আরেক জনের বোউ নিয়ে হোটেলে দরা খায়। আকে জনতো মুরিদের বোউ নিয়ে বাগচে তিনি আবার হেলিকাপ্টার হুজুর নামে পোরিচিতো। এদের কাজ থেকে কি শিখবো আরেক জনের বোউ নিয়ে কিবাবে হোটেলে রাত কাটাবো এটা শিখবো।।
যারা রাসুল স: কে আদর্শ মানেনা,নিজেদের কে আদর্শ হিসেবে প্রচার করে।নিজেদের মধ্য নিত্য দলাদলী মারামারিতে লিপ্ত,নিজেরাই বহু দলে বিভক্ত তারা হক্কানী আলেম নয়।তারা পেট পুজারী।তারা কোর আনের কথা গোপন করে।অধিকাংশ সহিহ হাদিস গোপন করে।নিজেদের পক্ষে কিছু হাদিস যোগাড় করে জনগনের অর্থকড়ি ভোগ করে চলেছে তারা হক্কানী আলেম হতে পারেনা।তারা ইহুদিদের মত ভন্ড। তবে অনেক সত্যপন্থী আলেম আছে,তাদের সম্মান করি,তারা কোর আন হাদিসের কথা গোপন করেনা,সত্যের পথে থেকে নিজের জীবনের ঝুকি নেয়।
ভাই, আপনার কথায় যুক্তি আছে।কিন্তু হক্কানী আলেম কে তা বুঝব কি ভাবে।অসং্খ্য আলেম আজ চাকরী বাচাতে,রিজিকের চিন্তায়,জালেম ও ফাসেকদের তোষামোদী করে চলেছে।নিজেরা সামান্য দুনয়াবী স্বার্থের কারনে দলাদলীতে লিপ্ত।হাঠাজারী,লালবাগের ঘটনা আমরা দেখেছি।হেফাজতে ইসলামের ভাংগন দেখেছি।ইসলামী ঐক্যজোট,খেলাফত,চরমোনাই,তাবলিগের বহু বভক্তি মারামারি,কটাক্ষ,ঢিল ছুড়াছুড়ি,সরকারের দালালী,চাটুকারিতা,সত্যকথা চেপে যাওয়া,হারাম হালালে,সুদ ঘুষের আলোচনা করা,কোর আন থেকে আলোচনা করা,রাসুলের বিপ্লবী জীবনের আলোচনা এসব থেকে আলেম সমাজের একবিরাট অংশ আজ দূরে অবস্থান করছে।তাদের হক্কানী আলেম বলা যায় কিনা আপনিই বলুন।
যারা পীর ও আকাবীর পূজার অন্ধ অনুসারী তারাই গানটিকে নিজেদের গায়ে টেনে নিয়ে গেছে, গানটি আমি ভাল করে শুনেছি এখানে কোরআন - হাদিস পড়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে অন্যকিছু নয়।
যে সমস্ত কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা জামাতি ইসলামে যোগ দিয়েছে তারা শিক্ষা জীবনে তাদের ওস্তাদদের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে এজন্য পথভ্রষ্ট দলের সাথে এখন তারা যুক্ত হয়েছে
আপনারা হলেন আকাবির পূজারী, বাপ-দাদার অনুসরন করেন, বাপ দাদা যদি ভুল করেন, আপনারা বাপ,দাদার অনুসরন করবেন, আপনার সাথে আমি একমত নই, আপনি হলেন বাপ দাদার পূজারী আপনি যত বড় আলেম হন না,কেন আমার বিবেক দিয়েছে আল্লাহ জ্ঞান দিয়েছে জ্ঞান দিয়ে আমাকে যাচাই করার ক্ষমতা দিয়েছেন, আল্লাহতালা আমাকে দিয়েছে কোনটা ভুল আর কোন সঠিক আপনারা আকাবিদের পূজা করেন,এর জন্য তাকলিদ ও অন্ধ অনুসরণ করছেন আপনি আপনার কথা হিংসা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে কোরআন হাদিস বুঝলে যে পীরদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় আপনাদের পকেটে হাদিয়া আসবে না, এজন্য তাদের পক্ষ নিচ্ছেন, নিরপেক্ষ মন দিয়ে চিন্তা করুন তাহলে বুঝবেন তার গজলের কথাগুলো কোরআন আলোকে সে বলেছে।
@@MuhammadAli-mg1nw কি বলেছে তোমার পীর? সংগীতের সমালোচনার জবাব। ▪ সিংহভাগ মানুষের দাবি উক্ত সংগীতে পীর এবং আকাবির কে চরম ভাবে অপমান করা হয়েছে। এটা যথেষ্ট ভুল ধারণা। চলুন, জেনে নিই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঙ্গনে বেশি ব্যবহৃত শব্দ- • কওমীতে - পীর, আকাবির, আমীর • জামায়াতে - নেতা, আমীর • আহলেহাদীসে - শায়েখ, আমীর উক্ত সংগীতে পীর, আকাবির, নেতা, শায়েখ, আমীর সকলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো দলকে ছোট করা হয়নি। এই সংগীতে শুধুমাত্র পীর শব্দ উল্লেখ করা হয়নি। শায়েখ, নেতা শব্দও উল্লেখ করা হয়েছে (সংগীতের ৮ নং লাইনে)। তাহলে পীর শব্দ নিয়ে এতো মাথাব্যথা কেনো? ▪ পীর/নেতা/আমীর ভুল বলতে পারে? অবশ্যই। ইচ্ছা/অনিচ্ছায় মানুষ স্বভাবতই ভুল করে। তাছাড়া ইসলামের মধ্যে যেসমস্ত বিদআত প্রবেশ করেছে আপনি কি মনে করেন এগুলো রিক্সা ওয়ালা তৈরি করেছে? যদি আপনি এই কথায় স্থির থাকেন তাহলে আপনি ভুলের মধ্যে আছেন৷ দাড়ি রাখা ওয়াজিব নয় সাধারন সুন্নাহ এই কথা কারা বানিয়েছে? নেতা/পীর/শায়েখরাই বানিয়েছে। নাওয়াইতু আন নুছল্লি এই নিয়াত কে বানিয়েছে? রিক্সাওয়ালা? সে তো আরবি জানেনা। ইকামতের পূর্বে মুয়াজ্জিন বলে, কাতার সোজা করুন, সামনের কাতার পূর্ণ করুন। অতঃপর আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার অথচ এই কথা বলার অধিকার দেওয়া হয়েছে ইমামকে। ইমাম নামাজ শুরুর পূর্বে বলবে কাতার সোজা করুন। অথচ এখন মুয়াজ্জিন এই কথা বলে। তাহলে এই বিদআত চালু করলো কে? রিক্সাওয়ালা? এটাতো ইমাম, মুয়াজ্জিন মিলে বানিয়েছে। ▪সবাইকে কুরআন হাদীস অধ্যয়ন করে শিখতে হবে? রবীন্দ্রনাথের কবিতা যদি সুফিয়া কামাল ব্যাখ্যা করে তাহলে ব্যাখ্যা তো ঋগ্বেদের মন্ত্রের মতো হয়ে যাবে। যে মানুষগুলো দাওয়াতি কাজ, সমাজ পরিবর্তনের কাজ করে তাদেরকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। সৎ কাজে আদেশ, অসৎ কাজে নিষেধ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কুরআন হাদীস জানতে হবে। উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা করার অধিকার আপনার নেই। সংগীতের ৫নং লাইন পড়ে দেখেন, বলা হয়েছে- যদি, বন্ধু পারো। এখানে বাধ্য করা হয়নি। যদি শব্দ দ্বারা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। ▪সংগীতে নাকি ছন্দ, অন্ত্যমিল, শব্দচয়ন ঠিক নেই। চলুন, তাহলে জেনে নিই- • ছন্দমিলের সংজ্ঞাঃ ছন্দ হলো লেখার অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা, বিন্যাস। কবিতার ক্ষেত্রে ছন্দ অপরিহার্য বিষয়। যেমন: সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা- 🔹এসেছে নতুন শিশু তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান, জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ মৃত আর ধ্বংসস্তূপ পিঠে চলে যেতে হবে আমাদের। • অন্ত্যমিলঃ অন্ত্যমিল হলো চরণের শেষ শব্দের ধ্বনিগত সাদৃশ্য। যা কবিতার জন্য অপরিহার্য নয় তবে গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ জসীমউদ্দিনের কবিতা- 🔹ঐইখানে তোর দাদির কবর ডালিম গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজিয়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় ছন্দ আবশ্যক। উক্ত কবিতায় ছন্দের কমতি রয়েছে তবে শূন্যতা নেই। দ্বিতীয়ত অন্তমিল গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অপরিহার্য নয়। মেনে নিলাম বিষয়গুলো অপরিহার্য। আসুন তাহলে নিচের দুটি কবিতা পড়ি- প্রথমত, বসেন বসেন, বইসা যান। দ্বিতীয়ত, আল্লাহর ধন রাসূলকে দিয়া, গেলেন আল্লাহ গায়েব হইয়া। কেউ ফিরে না খালি হাতে, খাজা তোমার দরবারেতে। এই দুটি সংগীতের ব্যাখ্যা দিবো না, শুধুমাত্র বলতে চাই যে সংগীতে স্পষ্ট শিরকযুক্ত কথা সেসময় আপনার প্রতিবাদী কলম কোথায় ছিলো? তাহলে ভুল ধরার উদ্দেশ্য সমাধান করা নাকি বিভেদ সৃষ্টি করা। ▪এই সংগীত উম্মতের বিভক্তির জন্য? এই সংগীতের শেষে বলা হয়েছে, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিভেদ না করা। তাহলে এখানে বিভক্তির কি আছে?
@@MuhammadAli-mg1nw চলুন সংগীতের সাথে কুরআনের মিল দেখি- (শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ) ▪৩নং লাইন বলা হয়েছে- বাপ-দাদাদের কথা ছাড়তে হবে। দেখি কুরআন কি বলে- তাদের যখন বলা হয়, আল্লাহ যে বিধান নাযিল করেছেন তা মেনে চলো, জবাবে তারা বলে, আমাদের বাপ-দাদাদের যে পথের অনুসারী পেয়েছি আমরা তো সে পথে চলবো। আচ্ছা, তাদের বাপ-দাদারা যদি একটুও বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ না করে থাকে এবং সত্য-সঠিক পথের সন্ধান না পেয়ে থাকে তাহলেও কি তারা তাদের অনুসরণ করে যেতে থাকবে? (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৭০) ▪৬নং লাইনে বলা হয়েছে- কুরআন হাদীস পড়ো। দেখি কুরআন কি বলে- তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেনি, নাকি তাদের মনের ওপর তালা লাগানো আছে? (সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২৪) নিশ্চয় এ কুরআন তোমার জন্য এবং তোমার কওমের জন্য একটি মর্যাদাবান উপদেশ। আর অচিরেই তোমাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। (সূরা যুখরুফ : ৪৪)। ▪৭নং লাইনে বলা হয়েছে- কুরআনকে আঁকড়ে ধরো। দেখি কুরআন কি বলে- তোমরা এই কুরআনকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধর। কেননা তোমরা যদি কুরআনকে আঁকড়ে ধর তাহলে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না, এরপরে কখনো ধ্বংসও হবে না। (সহীহ ইবনে হিব্বান হা/- ১২২) ▪৮নং লাইনে বলা হয়েছে- তোমার নেতা, তোমার শায়েখ আসল দলিল না দেখি কুরআন কি বলে- রসূল যা কিছু তোমাদের দেন তা গ্রহণ করো এবং যে জিনিস থেকে তিনি তোমাদের বিরত রাখেন তা থেকে বিরত থাকো। (সূরা হাশর, আয়াত: ৭) ▪১০নং লাইনে বলা হয়েছে- বাইয়াত নেওয়ার আগে আমীর যাচাই করো দেখি কুরআন কি বলে- আর তুমি ঐ ব্যক্তির আনুগত্য কর না যার অন্তরকে আমরা আমাদের স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং সে তার খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে ও তার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে গেছে’ (কাহ্ফ ১৮/২৮)। ▪১২নং লাইনে বলা হয়েছে- সত্য এসে যাবার পরে মিথ্যা হয় বিলুপ্ত দেখি কুরআন কি বলে- আর ঘোষণা করে দাও, “সত্য এসে গেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, মিথ্যার তো বিলুপ্ত হবারই কথা।” বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৮১ ▪শেষ লাইনে বলা হয়েছে - তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বন্ধু বিভেদ করা ছাড়ো দেখি কুরআন কি বলে- তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রুজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি করো না। আলে-ইমরান, আয়াত: ১০৩ কুরআনের আয়াত দিয়ে যেনো সংগীত লেখা হয়েছে।এরকম সংগীত খুব কমই পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং বিভেদের জন্য নয়, সংগীতে ঐক্যের আহ্বান করা হয়েছে। বরং যারা এটার বিপরীতে লেখালেখি করছে, সংগীত পরিবেশন করছে, তারাই প্রকৃতপক্ষে বিভেদ তৈরি করছে। নিয়তকে পরিশুদ্ধ করা জরুরী। উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা করে দোষ নিজেদের কাধে চাপিয়ে নিয়ে বিশৃঙ্খলা করা ঠিক নয়। "দৃষ্টি ভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে"
@@MuhammadAli-mg1nw কি বলেছে তোমার পীর? কি বলেছে আকাবির? সংগীতের সমালোচনার জবাব। -----🔵 بسم الله الرحمن الرحيم خَتَمَ اللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰ أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ বাংলা অনুবাদ:আল্লাহ তাদের হৃদয় ও কানে মোহর মেরে দিয়েছেন, তাদের চোখের উপর আবরণ রয়েছে এবং তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি। (সূরা ২ বাকারা: ৭) মূলত আয়াতটি কুরাইশ নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে যারা কুফরের উপরই অটল ছিল! যারা ইসলাম কে সত্য জানার পরেও তার উপর ঈমান আনতো না। আমি এখানে তাদেরকে বলতে চাই, যারা আকাবিদের সঠিক মানে জানার পরেও, নিজেদের গায়ে টেনে নিয়ে কথা বলে এবং অবপ্রচার করে। অবশ্যই হয়তো তাদের অন্তরে মোহর পড়ে গিয়েছে এবং কানে তারা শুনতে পায় না চোখ দ্বারা দেখতে পায় না, তো যারা সত্য জেনেও নিজেদের সুবিধার্থে অপপ্রচার করে, সমালোচনা করে বেড়ায়, মানুষের নাম ধরে অপবাদ দেয়, তাদের তো এই আয়াতের আওতায় আনাই যায়, কারণ তারা আকাবিদের সঠিক অর্থ জানার পরেও নিজেদের গায়ে টেনে কথা বলছে। যদি তাদের আকিদা এতই সঠিক হত,তাহলে অন্যের সমালোচনা অন্যের গীবত এবং অবপ্রচারের কি দরকার ছিল। অবশ্যই তারা সত্য জেনে মানুষকে গোমরাহীর পথে ঠেলে দিচ্ছে। এবং সুযোগ বুঝে মানুষের নাম ধরে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্তত এদের কাছ থেকে কখনো ভালো আকিদা শেখা বা জানার চিন্তাভাবনা করা যায় না। পীর বা আকাবির মুখ্য বিষয় নয়,আসল বিষয় এটা যে, কেউ যদি আপনাকে কোরআন হাদিস বিষয়ে সঠিক বিধান আপনার সামনে তুলে ধরে তো আপনি মানতে বাধ্য। তবে কোন পীর বা আকাবির বা বুজুর্গ আপনাকে যদি কোরআন হাদিস বিরোধী কোন কথা বলে আপনি কি সেটা মানবেন!!!! ঠিক এই বিষয়েই এই সংগীত এ আমির বা নেতা নির্বাচনে যাচাই করতে বলা হয়েছে, যে আসলে সে কোরআন হাদিস বিরোধী কথা বলে নাকি কোরআন হাদিসের পক্ষে কথা বলে। যদি চোখ বুজে নিঃসন্দেহে অনুসরণ করতে হয়,আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে অনুসরণ করা যায়। তা ছাড়া অন্য সবাই কে অনুসরণ এর ক্ষেত্রে যাচাই বাছাই করতে হবে,যে আসলেই সে যা বলছে তা কুরআন হাদিস মতে সঠিক কিনা। বিষয়টা এখানে পরিষ্কার, তারাই সংগীতের আকাবির এবং পীর শব্দটি তাদের নিজস্বভাবে গায় টেনে নিয়েছে, হয়তো তারা নিজেরাই অনিশ্চয়তায় ভোগে যে তাদের আকিদা সঠিক কিনা। না হলে যেখানে কেউকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়নি সেখানে তারা নিজেদের গায়ে কিভাবে টেনে নেয়। যাদের মনে অপবাদ অবপ্রচার এবং সমালোচনার চিন্তা থাকে তারাই এমন গাই টেনে নিয়ে কথা বলতে পারে।
@@MuhammadAli-mg1nw সমস্ত বিষয় বুঝে তারপরে কথা বলার চেষ্টা করবেন, মনের থেকে ভুল ধারণা গুলো বের করেন, আকাবিরের সঠিক মানেটা বোঝার চেষ্টা করবেন, কোরআন হাদিস বোঝার জন্য অবশ্যই অনেক আলেমরা রয়েছে, তো আপনি যার কাছ থেকে কোরআন হাদিস বুঝবেন তাকে আগে যাচাই করুন যে সে আপনাকে সঠিক শিক্ষাটা দিতে পারছে কিনা। একজন এসে আপনার কাছে কোরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা করল আর আপনি তাকে অনুসরণ করা শুরু করলেন এটা কি আপনার জন্য ঠিক হবে? বর্তমান পৃথিবীতে শায়খ আলেম উলামায়ে কেরামদের অভাব নাই, তো আপনি যার কাছ থেকেই কোরআন হাদিস সঠিক ভাবে বুঝতে চান তাকে আগে যাচাই করুন যে সে আপনাকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারবে কিনা। আর ভাই এখানে কেউকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়নি গায় টেনে নিয়ে কথা বলার মানেটা কি,,
উনার গানের মোদ্দা কথা হলো,কুরআন সুন্নাহ এর মোকাবিলায় পীর, আকাবিরের কথা গ্রহনযোগ্য নয়।তাদের যে কথা, আমাল কুরআন সুন্নাহ এবং ইজমা কিয়াসের অনুকুল সেটা মানলে তো কুরআন সুন্নাহই মানা হলো।উনি যেসকল পীর,বুযুর্গ কুরআন সুন্নাহ বিপরীত আকিদা বা কিচ্ছা বয়ান করেন তাদের মেনশন করেছেন যে তাদের ঐসব কথা, কিচ্ছ কাহিনি শরয়ী দলিল হতে পারে না
হুজুর যে ভাবে ব্যাক্ষা করছেন মনে হচ্ছে এই গান কেরানের আয়াত, আমি এদের কি বলব বুঝতে পারছি না। এক দিকে গাজায় নিরীহ মুসলিম মার খাচ্ছে আর এরা আছেন আকাবির নিয়ে।
পীর আকাবীর এর কথা কুরআন হাদীসে যাচাই করে মানবেন। উনিতো কুরআন হাদীস পড়তে ও বুকে ধারন করতে বলেছেন। আপনি কাল্পনিক ব্যাখ্যা করে নিজের অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। বিরোধিতা করার জন্য এত এত মিথ্যা কথা বলার কি প্রয়োজন? কুরআনের কথা প্রচার করুন।
আকাবির শব্দটি কোরআনের বেশি জায়গায় অর্থে ব্যবহার হয়েছে ভালো অর্থেও ব্যবহার হয়েছে কম জায়গায় বাপ দাদাদের দিয়ে অন্যান্য ধর্মের লোকেরা কথা বলতো এটা বোঝানো হয়েছে মশিউর রহমানের গানে
আমি আগ থেকেও শুনেছি আকাবির শব্দের অর্থ বড়রা গুগলও দেখছি আকাবির শব্দের অর্থ বড়রা লেকিন এদের দলের বড়রা বলে আকাবির শব্দের অর্থ বৃদ্ধ কিন্তু আরবে বৃদ্ধ শব্দের আরিব শায়বা,
ব্যাখ্যা বিভিন্নভাবেই নেয়া যায়। ফেতনাবাজ বলা ঠিক হয়নি আপনি যতবড় মুফতীই হন না কেন? ভালো ভাষায় অনেক প্রতিবাদ করা যায়। আপনি আর মশিউরের মধ্যে পার্থক্য খুজে পেলাম না।
অধিকাংশ মন্তব্য মশিউর রহমানের গানের পক্ষে।এদেশের মানুষ যে সত্য মিথ্যা বুঝতে পেরেছে তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।যারা গানটির ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করেছেন তাদের যদি নেক উদ্দেশ্য থাকে তবে কোর আনে পড়ে দেখুন,আল্লাহ সুবহানাহু তা'লা কোর আন বুঝবার জন্য তাকিদ দিয়েছেন।আপনি যদি কোর আনের জায়গায় আকাবীরদের স্থান দেন তা হবে কোর আনের পরিপন্থি।সব আকাবীর হক পন্থী নয় এবং হকের উপর নাই,এটা মনে রাখবেন।
তোমার মনে হওয়া না হওয়া নিয়ে কিছু আসে যায় না , তবে তোমরা কওমি অঙ্গনের ছাত্ররা নিজেদেরকে ইসলামের খুব মস্ত বড় কিছু মনে করছো, নিজেদেরকে ঠিক করো মশিউর রহমান ভাই ঠিক বলেছেন
যেসব স্কলাররা তাদের মূল্যবান কমেন্ট করছেন তাদের উদ্দেশ্যে, ১. এত ভাল বুঝতে পারেন এত উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত অথচ সুরা ফাতেহা টা বুঝলেন না? "হে আল্লাহ আমাকে সঠিক পথ দেখান।" এর পরের লাইন কি? "কোরআন এবং হাদিসের পথ?" নাকি "সেই মানুষদের পথ যাদেরকে আপনি হেদায়েত দান করেছেন?" তাহলে এখানে "মানুষদের পথকে" কেন বলা হলো? কোরআন ও হাদিসের পথকে কেন বলা হলো না? ব্যক্তি বাদ দিলে না থাকবে কোরআন না থাকবে হাদিস। আর না থাকবে ইসলাম। ২. আরবের মানুষের মাতৃভাষা আরবি, অথচ আল্লাহ তায়ালা তাদের উপরে কোরআন নাজিল করে ক্ষান্ত হলেন না। আগে শিক্ষক পাঠালেন, অতঃপর কিতাব দিলেন। এবং বললেন আপনি আমার আয়াত তেলাওয়াত করুন, কিতাব ও হিকমাহ শিক্ষা দিন, নফসকে পরিশুদ্ধ করুন। এই দায়িত্ব কেন ব্যক্তির উপর অর্পণ করা হলো কুরআনই তো যথেষ্ট ছিল? ৩. নবীজি জীবিত থাকাকালীন বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সাহাবীকে গভর্নর নিযুক্ত করে অন্য ব্যক্তিদের কে দুনিয়াবি এবং দ্বীনি উভয় ক্ষেত্রে মানার আদেশ কেন দিলেন? শুধু কোরআন হাদিস মানতে বললেই তো হতো। ৪. সবারই জানা আছে আল্লাহ নবী পাঠিয়েছেন বেশি কিতাব পাঠিয়েছেন কম। অনেক নবী পাঠিয়েছেন যাদেরকে কিতাব দেন নাই। তবে এমন একটি কিতাবও নেই যেটি নবী ছাড়া এসেছে। তাহলে নিজেই বলুন কিতাব মুখ্য নাকি ব্যক্তি মুখ্য? শিক্ষাটা কি কিতাব নির্ভর নাকি ব্যক্তি নির্ভর? ৫. ইমাম বুখারীর একটা বিখ্যাত উক্তি আছে, সেই ইলমই গ্রহণযোগ্য যেটি কোন ওস্তাদের শরণাপন্ন হয়ে অর্জন করা হয়। এই বিষয়ে কি বলবেন ভাই? বললে আরো অনেক বলা যায়। সমঝদার কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হে।
ওস্তাদ কোরআন থেকে কথা না বলে যখন আকাবীরের রেফারেন্স দেয় তখন আর তার অনুসরণ করা যায় না।সে নিজের পক্ষে সাফাই গায়।মানুষ বোঝে কার কি উদ্দেশ্য।আর হুজুরদের মহৎ চরিত্র তো মানুষ দেখছে!
আল্লাহর রাসুলের হাদিসের বিপরীত আপনার মত,বিদায় হজের সময়,আল্লাহর রাসুল (স)বলেন,আমি তোমাদের কাছে,দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, আর তা হলো কুরআন ও হাদীস যারা আকড়িয়ে ধরবে তারা পথ ভ্রষ্ট হবেনা। আর আপনি কি বললেন,আপনার আকাবির ছাড়া, আপনাদের কোনো উপায় নেই। হাই আফসোস আপনার জ্ঞান দেখে।
যিনি গজলটা গেয়েছেন তিনি ঠিকই গেয়েছেন। হুজুর বুঝতে ভুল করেছেন। কোন আকাবির কুর-আনই হাদিসের বাহিরে কথা বলেননি। তিনাদের নামে যা চালানো হচ্ছে তা তাঁদের কথা নয়। কুর-আন বুঝতে অবশ্যই পীর মাশায়েখ লাগবে। তাই বলে কারো অন্ধ অনুসরণ করা আল্লাহ নিষেধ করেছেন।
এই গানে শিক্ষক আলেম ছোট করা হয়নি,, বরং চেষ্টা করা হয়েছে কোরআন হাদিস নিজেকে জেনে বুঝে পড়ার চেষ্টা করো। অন্ধ হয়ে না থাকতে বুঝানো হয়েছে। বরং আপনারা একটু বেশি বকে ফেলছেন কারন আপনাদের কে মানুষ জেনে যাচ্ছে। আপনারাও একটু কোরআন হাদিস বুঝে পড়তে বলেন।
فاسالوا اهل الذكر ان كنتم لا تعلمون আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা বলেছেন যদি তুমি না জানো তাহলে যে জানে তাকে জানো জিজ্ঞেস করো সুতরাং একজন চিকিৎসক এর কাছ থেকে পড়ালেখা না করে নিজে নিজে চিকিৎসকের বই পড়ে নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে তাহলে তার কি অবস্থা হবে