Тёмный

শ্রী শ্রী কীরিটেশ্বরী‌ মাতার মন্দির 

ভবঘুরে
Подписаться 295
Просмотров 336
50% 1

আজ আমরা দর্শন করবো মুর্শিদাবাদ জেলার কীরিটকণা গ্রামের শ্রী শ্রী কীরিটেশ্বরী‌ মাতার মন্দির। এখানে সতী মায়ের উজ্জ্বল মুকুট বা কীরিট পড়েছিল । তাই এই সতীপীঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নাম কীরিটেশ্বরী । অনেকে এই দেবীকে মুকুটেশ্বরী বলেন । স্থানীয় ভাষায় বলা হয় মাকোট । এটি একটি সতীপীঠ । অনেক দিন আগেকার কথা । তখন ভারতের মসনদে ছিলেন মুঘল সম্রাট আকবর। ভগবান রায় নামের এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি রাজা টোডরমলের সুনজরে পড়ে যান ও বাংলা , বিহার , উড়িষ্যার কানুনগো পদ লাভ করেন । তাঁর কর্মকুশলতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে জায়গীর প্রদান করেন বাদশাহ আকবর । যে জায়গীর ভগবান রায় পান তার মধ্যে এই সতীপীঠটি ছিল । তখন এটির নাম ছিল ভবানীর থান । ভগবান রায় এটিকে সতীপীঠ জেনে এর সঙস্কার
করেন । সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়ে ভগবান রায়ের বঙশধর দর্পনারায়ণ রায় বাঙলা ,বিহার , উড়িষ্যার কানুনগো পদ লাভ করেন। তখন বাংলার নবাব হন মুর্শিদকুলি খাঁ। তিনি তাঁর রাজস্ব দপ্তর স্থাপন করেন মুকুশুদাবাদ বা বর্তমানের মুর্শিদাবাদে । মুর্শিদকুলি খাঁর সঙ্গেই দর্পনারায়ণ রায় বাংলায় আসেন এবং তিনি তাঁর পূর্বপুরুষের পথ অনুসরণ করে মন্দিরের সঙস্কার করেন এবং এখানেই বাসস্থান নির্মাণ করে থাকতে শুরু করেন । তখন এই স্থানটি পরিচিত হয় গোপন মঠ নামে । এখানকার প্রধান প্রধান উত্সব হল পৌষ মাসের শনি মঙ্গল বার মেলা হয় । দূর্গাপূজার সময়ে মহাষ্টমীর দিন ষোড়শোপাচারে মায়ের পূজা হয় । কোনো ভক্তের মানসিক থাকলে ছাগ বলি হয় , নচেত বলি হয় না । এখন মায়ের যে মূর্তিটি দেখছেন আগে মায়ের সে মূর্তিটি ছিল না । এক রোগগ্রস্ত ভক্ত মায়ের কৃপায় সুস্থ হয়ে মায়ের এই অষ্ট ধাতুর মূর্তিটি দেন । নবাব মীরজাফর কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এই কীরিটেশ্বরী মাতার স্নান জল খেয়ে সুস্থ হয়েছিলেন । তিনি সুস্থ হয়ে এখানে পূর্ব পশ্চিমে দীর্ঘ একটি পুকুর খনন করেছিলেন। এই ছয় সাত বছর আগে হয়েছে । তার আগে ব্রহ্মশীলাকে কাপড়ে ঢেকে পূজা করা হতো । প্রতি অমাবস্যার দিন দশটার সময়ে মায়ের ব্রহ্মশীলাকে স্নান করানো হয় । ওই সময় এখানে যেসব ভক্ত উপস্থিত থাকেন তাঁরা মায়ের ব্রহ্মশীলাক দর্শন করতে পারেন এবং স্নান করাতে পারেন । মেয়েরা শাড়ী পড়ে এবং ছেলেরা ধুতি পড়ে মাকে স্নান করাতে পারেন। প্রতিদিন অন্নভোগ হয় । ভক্তরা চাইলেই মায়ের অন্নভোগের প্রসাদ পেতে পাড়েন ,তবে সেক্ষেত্রে আগেরদিন পুরোহিত মশাইকে ফোন করে বলতে হবে । আগে এখানে একশো সাতটি শিব মন্দির ছিল । এখন সেগুলির বেশীরভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে । গুটিকয়েক রয়ে গেছে । আগে যে মন্দির ছিল সেটি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলার এগারোশো দশ সালের মন্দিরটি ভেঙ্গে যায়। তখন বাংলার তেরোশো সাতানব্বই সালে মন্দিরটির সঙস্কার করাহয় । এখানে মায়ের নাম বিমলাভৈরবী এবং ভৈরবের নাম সমবর্ত । মা এখানে কুমারী কন্যারূপে পূজিতা হন । এই গ্রামেই আছে মায়ের গুপ্ত মন্দির । গুপ্ত মন্দিরে মাকে পূজা করা হয় শিলারূপে । কালা পাহাড়ের সময় ব্রহ্মশিলাকে রক্ষা করার জন্য আগের মন্দির থেকে এখানে এনে লুকিয়ে রাখা হয় । সেজন্য এই মন্দিরকে গুপ্ত মন্দির বলা হয় । গুপ্ত মন্দিরের চারিদিকে গোটাকতক শিবমন্দির আছে। এই মন্দিরেও বলির ব্যবস্থা আছে । গুপ্ত মন্দিরের ঠিক পিছনেই আছে মায়ের পুকুর । এই গুপ্ত মন্দিরের পরিবেশ খুব নিঃস্তব্ধ। খুবই নিরিবিলি।

Опубликовано:

 

21 окт 2024

Поделиться:

Ссылка:

Скачать:

Готовим ссылку...

Добавить в:

Мой плейлист
Посмотреть позже
Комментарии : 1   
@rajtibrewalla8874
@rajtibrewalla8874 17 дней назад
❤ Joy Maa ❤
Далее
Ребенок по калькуляции 😂
00:32
Ребенок по калькуляции 😂
00:32