পক্ষে যে গেলেন কি বুঝে গেলেন??? সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না,,,করলে ও কোয়ালিশন করতে হবে,,যা হবে দুর্বল সরকার।।যার ফলে বার বার সরকার পতন হবে।আর এর সম্পূর্ণ সুযোগ নিবে ভারত।।সেই সুযোগে তারা আওয়ামীলীগ অথবা অন্য কাউকে বাংলাদেশে সেট করে দিবে,,,আর নব্য ভারতীয় দোসরেরা এসে জনগন কে উপেক্ষা করে আবারো ভারতীয় রাম রাজত্ব কায়েম করবে।।।দেশের এই মুহুর্তে একটা শক্তিশালী সরকারের প্রয়োজন।
সংখ্যাানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চাই আমরা। সংবিধান যেন বারবার পরিবর্তন না হয়। সাধারণ মানুষ যাতে নির্যাতনের শিকার না হয়। কেউ যাতে মনে করে যে আমি সারা সারা জীবন এই ক্ষমতায় থাকবো না এটাই হওয়া উচিত।
এর মধ্যে ফঁাকি আছে। ধরুন এখন আওয়ামীলিগ যদি ভোটে আসে সবমিলিয়ে ১০টি আসন পেতে পারে কিন্তু সংখ্যানুপাতে হলে ৭০ থেকে ৭৫ টি আসন পাবে। কারণ সারা দেশে মোট ভোটারের ৩০% ভোট তারা পাবে। তাদের সমর্থক-নেতা-কর্মীরাতো মারা যায়নি।
১/ আনুপাতিক পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ আসন প্রাপ্ত দল থেকে সরাসরি গণভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। ২/ অনুপাতিক পদ্ধতিতে জোটের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ ভাগ হবে।
এটা শুধুমাত্র হাসিনার দোসর সিপিবির মাধ্যমে শাহবাগীদের খমতায় আনার প্লান। এই শাহবাগী সিপিবিকে তখন আওয়ামীলীগের ভোটগুলা যাবে আর পরে ভারতের দালালী করবে এরা আরো প্রবলভাবে। এমনি আওয়ামীলীগের এই নির্বাচনে অংশ নিতে দিলে বা দিলেও গুটি কয়েক আসনের বেশি পেতনা। কিন্তু এই পদ্ধতিতে সিপিবি বাসদ দিয়ে হোন বা নিজেরা নির্বাচনে এসে হোক ৬০ টা আসন নিতে পারবে। এমনকি আরো বেশি হতে পারে। কারন এদের ২০-২৫ পারসেন্ট পারমানেন্ট ভোট আছে। যা দিয়ে ৬০-৭০ টি আসন এমনি পাওয়া যাবে এই পদ্ধতিতে। কিন্তু সাধারণ পদ্ধতিতে গোপালগঞ্জ বা এর পাশের জেলাগুলা ছাড়া কোথাও জিততে পারতোনা।
সংখানুপাতিক ও আনুপাতিক হারে আসন বিন্যাস হলে সকল দলের সকল মতের মানুষের প্রতিনিধি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে তাহলে সকল ভোটারের ভোটের মূল্যায়ন হবে এবং মানুষ তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবে
আলহাম্দুলিল্লাহ এটাই হবে সবচেয়ে ভালো পন্থা। সবাইকে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে আসার আবেদন জানাচ্ছি, দুর্নিতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে, এই দেশ সংস্কারের দ্বায়িত্ব একজনের কাধেঁ রেখে আমরা দর্শকের জায়গা গ্রহন করাটা বেমানান।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন হলে হিন্দুরা বলবে , তারা জনসংখ্যার ৯% , তাদের কো সংসদে ৯০ টা সিট দিতে হবে । এটা সম্পূর্ন ভারতীয় RAW এজেন্ডাতে পড়ছে বাংলাদেশের ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো । আনুপাতিক হারে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত একদম ১০০% বাজে সিদ্ধান্ত । আমি ভোট দিলাম , কিন্তু আমি জানলাম না , কে হবে আমার প্রতিনিধি । আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে , দেখা যাবে আওয়ামী লীগ ১৪-১৫% ভোট পেয়ে ৭০ টি সিট দখল করে বসে আছে । বেশ কয়েকটি ইসলামিক আর কিছু ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল, শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে এই ধরনের গর্দভ মার্কা চিন্তা ভাবনা করেন । তারা দেশের বৃহৎ স্বার্থ দেখেন না । ক্ষমতা লাভ শুধু একমাত্র রাজনৈতিক লক্ষ্য থাকা উচিত নয় , দেশের বৃহৎ স্বার্থে কাজ করতে হবে ।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ থেকে তিন বৎসর আগ থেকে সেই দাবিটি করে আসছে আলহামদুলিল্লাহ আজ সেই দাবির পক্ষে প্রায় দল একমত হয়েছে।
দুইটা পদ্ধতিই ত্রুটিপূর্ণ। নতুন পদ্ধতি বের করেন। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ছোটো দলগুলো অনৈতিক সুবিধা আদায়ে সরকারের সবকাজে বাধা প্রদান। খাদক তখন আরো বেরে যাবে। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে আলাদা গবেষণা টিম করেন।