খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। একজন সাধারণ তরুণ থেকে তিনি হয়ে ওঠেন একজন দুর্দমনীয় রাজা, গড়ে তোলেন উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য, মৌর্য সাম্রাজ্য। যে শক্তিশালী নন্দরাজের মুখোমুখি হতে স্বয়ং আলেকজান্ডারের সৈন্যরাও সাহস পায় নি, সেই নন্দরাজ এই অসম সাহসী তরুণের কাছে পরাজিত হয়ে মগধ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে খুব দ্রুতই মগধের মুকুট নিজের মাথায় পরেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের গল্প জানতে হলে আমাদের চলে যেতে হবে প্রায় ২৩০০ বছর আগের পাথরের নগরী তক্ষশীলায়, যেটি বর্তমান পাকিস্তানের ইসলামাবাদ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। তক্ষশীলা ছিলো তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানচর্চার জায়গা। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সম্ভ্রান্ত ও রাজবংশীয় পরিবার থেকে এখানে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে আসতো। এখানেই পড়ালেখা করেছেন ৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণ করা প্রাচীন পৃথিবীর সেরা দার্শনিক, রাজনীতিবিদ ও অর্থনীতিবিদ ব্রাহ্মণ চাণক্য, যিনি কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত। ধারণা করা হয়, ‘কৌটিল্য’ তার ছদ্মনাম। তিনি ছিলেন কুটিলা গোত্রের। ‘কুটিলা’ থেকেই ‘কৌটিল্য’ নামটি এসেছে। তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ ‘অর্থশাস্ত্র’ বা ‘কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র’ নামক বই, যাকে বিশ্বকোষের চেয়ে কোনো অংশে কম বলা যায় না। এই বইটিতেই এক জায়গায় লেখককেচন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মূলত ব্রাহ্মণ ছিলেন, কিন্তু ভদ্রবাহুর প্রভাবে আচ্ছন্ন হয়ে ৪২ বছর বয়সে তিনি জৈন ধর্ম গ্রহণ করেন এবং প্রাণের সিংহাসন ছেড়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত রাজা তার গুরুর সাথে দক্ষিণের কর্ণাটকে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি সাধু-সন্ন্যাসীর মতো জীবনযাপন করেন। বিধাতার খোঁজে বেরিয়ে পড়া দিগ্বীজয়ী রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য জৈন ধর্মাচার ‘স্বেচ্ছা উপবাস’ শুরু করেন এবং তপস্যারত অবস্থায় মারা যান।
#biography
#viralvideo
#information
#bangla
#chandraguptamourya
#ancientindia
#history
10 апр 2024