মধু মাসের রসালো ও মিষ্টি ফল লিচু। গ্রাম জুড়েই রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য লিচু বাগান। প্রতিটি বাগানের গাছের থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচু। যেদিকেই চোখ যায় লাল রঙের সমাহার। এমন মন মাতানো দৃশ্য চোখে পড়বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায়।
এ উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রামের শতাধিক চাষী লিচু চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতি উন্নয়নে যতেষ্ট ভূমিকা রাখছে। এখানকার লিচু রসালো ও মিষ্টি হওয়ায় জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে এর কদরও বেশী। লিচু চাষে শতাধিক মানুষের ভাগ্য ফিরেছে ।
ইতিমধ্যে স্থানীয় বাজারে লিচু বিকিকিনি জমজমাট হয়ে উঠেছে। বিকিকিনিতে যোগ দিচ্ছেন স্থানীয় চাষি, ব্যবসায়ী ও পাইকাররা। আবহাওয়ার কারনে এ মৌসুমে লিচুর ফলন কিছুটা কম হলেও বিক্রিতে ভাল দাম পাওয়ায় চাষিরা খুবই খুশি।
মিষ্টি ও রসালো লিচুর ভরা মৌসুমে এ উপজেলায় বর্তমানে চলছে উৎসবের আমেজ। দূর-দূরান্তের মানুষ আসছেন লিচু কিনতে। এখান থেকে লিচু কিনে পাইকাররা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। খুচরায় প্রতি ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ২৮০ হেক্টর জমিতে লিচুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে উত্তর, দক্ষিন ও মনিয়ন্দসহ ৩ ইউনিয়নে অন্তত ৩০টি গ্রামে লিচু চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবে বলে কৃষি অফিস জানায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার দূর্গাপুর, উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর, চানপুর, আমোদাবাদ, রাজাপুর, আনোয়ারপুর, মনিয়ন্দের ঘাঘুটিয়া, খারকোট, মিনার কোট নিলাখাতসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। লিচু গাছ থেকে পেড়ে বাজার জাত করতে নারী পুরুষসহ সব বয়সের লোকজন এ কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ আবার দিনমজুর হিসাবেও এখানে কাজ করছেন। এখানে দেশীয়,চাইনা,পাটনাই ও বোম্বাই জাতের লিচু চাষ হয় বেশী। এ লিচুর বৈশিষ্ট্য হল উৎপাদন বেশী হয় ও পোকা মাকড়ের আক্রমন তুলনামূলক কম হয়।
#লিচু
#বাগান
#আখাউড়া
10 окт 2024