Тёмный
No video :(

সহী,দাঈফ ও মাওদু হাদীস সম্পর্কে জানতে চাই I মিজানুর রহমান আজহারী I 

anzinfo360
Подписаться 43 тыс.
Просмотров 279
50% 1

#anzinfo360,
সহী,দাঈফ ও মাওদু হাদীস সম্পর্কে জানতে চাই I হাদিস সহী না হলে কি সে জাল হাদিস হিসেবে গণ্য হবে? মিজানুর রহমান আজহারী I
হাদিস বলা হয় শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, কাজ ও কোনো কাজের প্রতি সমর্থন কিংবা মৌন সম্মতিকে। আর যে হাদিসটি নির্ভরযোগ্য ও পূর্ণ স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন. যার সনদ পরস্পর সম্পৃক্ত, তার মধ্যে গোপন কোনো ত্রুটি নেই এবং তা অন্য কোনো অধিকতর নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীর বর্ণনার বিরোধীও নয়- তাকে সহিহ হাদিস বলে।
প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থগুলো হলো- সহিহ বোখারি, সহিহ মুসলিম, সুনানে তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসাঈ ও সুনানে ইবনে মাজাহ। এই ছয়টি গ্রন্থকে একত্রে সিহাহ সিত্তা বলা হয়। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রসিদ্ধ হা‍দিস গ্রন্থ হলো- মুসনাদে আহমাদ, মুয়াত্তা মালেক, দারাকুতনি, সুনানে দারেমি ও সুনানে বায়হাকি।
আর জাল হাদিস বলা হয়, যে কথাটি মানুষ তৈরি করেছে, অতঃপর সেটা তা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাল হাদিস মূলত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী নয়। এগুলো মানুষের বানানো কথা। মুহাদ্দিসরা একে ‘মাওযু’ নামে অভিহিত করেছেন। ‘মাওযু’ শব্দটি আরবি। যা মূলধাতু ‘ওয়াযাআ’ হতে নির্গত। এর আভিধানিক অর্থ তৈরি করা, সৃষ্টি করা, বানানো ইত্যাদি।
লিসানুল আরব গ্রন্থে উল্লেখ হয়েছে, এটি ‘উঁচু’ এর বিপরীতার্থক শব্দ। মাওযু হাদিসের পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে, ইমাম ইবনে সালাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘মনগড়া ও বানোয়াট হাদিসকে মাওযু বলা হয়। ’ -মুকাদ্দামায়ে ইবনে সালাহ : পৃ. ৭৭
মুহাদ্দিস আল্লামা জাফর আহমদ ওসমানি (রহ.) বলেন, ‘নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীর নামে স্বেচ্ছায় মিথ্যা কথা বানানো হয়েছে, এমন হাদিসকে মাওযু বলা হয়। ’ -মুকাদ্দামায়ে ইলাউস সুনান : ১/২৯
উপরোক্ত সংজ্ঞাসমূহে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, স্বেচ্ছায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে মনগড়া-বানানো মিথ্যা বাণীর প্রচার-প্রসারকে জাল হাদিস বলা হয়।
মুহাদ্দিসগণ এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, স্বেচ্ছায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে মানব সমাজে মিথ্যা ও বানোয়াট হাদিস বানিয়ে প্রচার-প্রসার করা জঘন্যতম অপরাধ; যা কবিরা গুনাহের শামিল।
►► সুন্দর এই ভিডিওটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন। ভিডিওতে লাইক দিন এবং কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান। ইসলামের প্রতিটি বানী ছড়িয়ে দিতে ''anzinfo360'' চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনে ক্লিক করুন, যেন নতুন নতুন ভিডিও দেওয়া মাত্রই সবার আগে পেয়ে যান । জাযাকাল্লাহ । ◀️◀️
কারণ, এটি এমন একটি মহাঅপরাধ, যার চূড়ান্ত পরিণতি হলো জাহান্নাম। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ প্রসঙ্গে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি স্বেচ্ছায় মিথ্যারোপ করে, সে যেন নিজেই জাহান্নামে তার স্থান বানিয়ে নেয়। ’ -সহিহ বোখারি : ১/৩১৭
অতএব, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট হাদিস বানিয়ে প্রচার-প্রসার করা সম্পূর্ণ হারাম। -আল-ওয়াজউ ফিল হাদিস : ১/৩১৭
এ জঘন্যতম অপরাধ তথা জাল হাদিস প্রচার-প্রসারের প্রারম্ভিক কাল সম্পর্কে কয়েকটি মতামত রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য মত হচ্ছে, হিজরি ১ম শতাব্দীর চল্লিশের দশকের পর মিথ্যা বা জাল হাদিসের সূচনা হয়। বর্তমানে এ অপকর্মের সঙ্গে যোগ দিয়েছে মুসলিম নামধারী কিছু ভণ্ড ও প্রতারক। তারা এসব জাল হাদিসকে ব্যবহার করে তাদের অসৎ স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। আবার এক শ্রেণীর অসচেতন আলেমের দ্বারাও তাদের অজান্তে কিছু জাল হাদিস জনসমাজে ছড়িয়ে পড়ছে।
কিন্তু উলামায়ে কেরামের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বরাবরই তাদের এ ধরনের অপপ্রয়াস ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। কেননা, প্রত্যেক যুগে বিদগ্ধ মুহাদ্দিসরা এসব জাল হাদিসের বিষয় সমসাময়িক মানুষকে সতর্ক করেছেন। বস্তুত আল্লাহতায়ালা দ্বীন ইসলামকে হেফাজত করার ওয়াদার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন এর মাধ্যমে।

Опубликовано:

 

25 авг 2024

Поделиться:

Ссылка:

Скачать:

Готовим ссылку...

Добавить в:

Мой плейлист
Посмотреть позже
Комментарии    
Далее