Тёмный

সাদাকালো ভালোবাসা | When Mohammedan used to rule Asian Football (The Golden Generation) 

m0hin
Подписаться 36
Просмотров 5 тыс.
50% 1

সাদাকালো ভালোবাসা | When Mohammedan used to rule Asian Football | The golden era of Bangladesh Football
সাদাকালো ভালোবাসা | When Mohammedan used to rule Asian Football (The Golden Generation)
সাদাকালো ভালোবাসা
When Mohammedan used to rule Asian Football
History of mohammedan black and whites black panther
Mohammedan sporting club history
golden era of Bangladesh Football
golden generation of Bangladesh football
golden age of Bangladesh football
golden period of Bangladesh football
Facebook : www.facebook.c...
Instagram : www.instagram....
সাদা কালো ভালোবাসা
সেই শুরু! মাঠে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগ আর অনুমতি তখন খুব কম ছিলো। পেপার এর খেলার পাতা, টেলিভিশনের খেলার খবর ছিলো অবলম্বন। তখন ১৯৮২ সালে শুধু সাদা কালো শিবিরের জয়জয়কার! বছরের সম্ভাব্য সব শিরোপা সেবার মোহামেডানের দখলে। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন- সব শিরোপা মোহামেডানের দখলে ছিলো। শুধু দেশেই সাফল্য সীমিত থাকেনি, ভারতে গিয়ে ‘ আশীষ জব্বার ট্রফি‘ জয় করে এনেছিলো সেবার। সালাম মুর্শেদী ২৭ গোলের যে রেকর্ড গড়লেন, সেটা আজও অম্লান। সে বছর ই আবাহনীর সালাউদ্দিন, চুন্নু, হেলাল আর অনোয়ার কে খেলায় মারামারি করার অপরাধে জেল পর্যন্ত যেতে হয়েছিলো। খেলা নিয়ে কি অসাধারণ উন্মাদনাময় ছিলো দিন গুলি। সাদা কালো পতাকার পালে সব হাওয়া এসে যেন পতাকা উড়াচ্ছিলো অন্য এক উচ্চতায়!
কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠ টাও দেখে ফেললাম পরের বছর। শুধু পরের বছর না, পরের তিনটি বছর। ৮৩, ৮৪, ৮৫ হতাশা মোড়ানো তিনটি বছর। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী করে ফেললো শিরোপা জয়ের হ্যাটট্রিক! ৮৫ সালে আরামবাগের কাছে হেরে কপাল পুড়লো! শেষ খেলায় আবাহনী কে হারাতে পারলেই চলতো, কি ড্র করে সব শেষ। বাংলাদেশের ইতিহাসের সম্ভবত সেরা লীগ সেবারই হয়েছিলো। নতুন শক্তি হিসেবে ব্রাদার্স এর আবির্ভাব। ওয়াসিম, লিটন, খসরু, মানিক- এক ঝাঁক তরুণ প্রতিভা আর কোচিংয়ে আলী ইমাম। সেবার ব্রাদারসের শিরোপা জেতা টা প্রাপ্য ছিলো। আবাহনীর বিরুদ্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও ২-৩ গোলে পরাজয়।
তারপরের তিন বছর ছিলো অন্য চিত্র। তিনবারই শিরোপা মোহামেডানের এবং একটি খেলাও না হেরে। ঘোরের মধ্যে ছিলাম যেন তিনটি বছর। ব্রাদার্স থেকে কোচ আলী ইমাম কে এনে প্রথম বাজি জেতা ৮৬ তে। শেষ খেলার আগে কলকাতা থেকে আবাহনী উড়িয়ে আনলো ভাস্কর গাঙ্গুলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য্য, চিমা অকেরি। আত্মবিশ্বাসে ভরা আবাহনী হার মানলো আমাদের কাছে ২-০ গোলে। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে করা মনুর দ্বিতীয় গোল টি ফুটবল প্রেমী রা কোনোদিন ভুলতে পারবেনা। তারপর ৮৭-৮৮ তে ইরানের নাসের হেজাজি কোচ হয়ে এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন!
এমেকা, নালজেগার, বোরহান জাদে, মর্তুজা, ভিজেন তাহেরি- কি দারুন বিদেশি রিক্রুট ছিলো। সাথে কায়সার হামিদ, কানন, সাব্বির, মন্টু, বাদল, রেহান, জুয়েল রানা, বাবুল, জনি!! মোহামেডান তখন এশিয়ার অন্যতম সেরা শক্তি। ইরানের পিরুজি কে হারিয়ে দিলাম, উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল ২৫ কে হারিয়ে দিলাম! সাফল্য এবং মোহামেডান তখন এক সূত্রে গাঁথা। ৮৭ সালের শেষ খেলায় কানন আহত হবার পর, দস্তানা হাতে হেজাজী গোল কিপার হয়ে মাঠে নামা আর বাবুলের সেই জয়সুচক গোল করা- আজও চোখের সামনে দেখতে পাই।
শুধু কি ফুটবল? ক্রিকেটেও দেখেছি নান্নু, রাকিবুল, বুলবুল দের জয়ের ইতিহাস। হকি তে দেখেছি মমতাজ, শাহবাজ দের মত বিশ্বমানের খেলোয়ার দের দারুন সব সাফল্য! সারাদিন বায়তুল মোকাররম stadium এ ক্রিকেট দেখে বাসে চেপে মিরপুরে গিয়ে ফুটবল ম্যাচ ধরতাম। দলবদলের সময় ক্লাবে গিয়ে খেলোয়াড় দের পাহারা দেয়া। কায়সার হামিদ থাকবেন থাকবেন তো? সাব্বির চলে যাবে না তো? কি সব দিন গুলি। সন্ধ্যায় খেলা থাকলে, দুপুরে গিয়ে মাঠে জায়গা দখল করা!! খেলা শেষে মারামারির মুখে পড়া, কাঁদানে গ্যাস খাওয়া ছিলো নিয়মিত ঘটনা!!
নব্বই এর পর ও সাফল্য ধরা দিতো সামান্ন্য অনিয়মিত ভাবে হলেও। রহমভের ঝলকানি দেখেছিলাম, আমিনুলের গোল কিপিং, মধ্য মাঠে আরমানের বল কন্ট্রোল, বরুণ- মামুন জোয়ারদার; এখনও ঠিক মনে করতে পারি সোনালী সেই দিন গুলি!! তারপর কিভাবে তলানি তে তলাতে শুরু করলাম যেন।
ব্যাবসায়ী দের হাতে চলে গেলো খেলা! ক্লাব হয়ে গেলো ক্যাসিনো টেবিল। লাদি বাবালোলা- বডি বাবালোলা, নামের আফ্রিকান জাম্বুরা player এ সয়লাব হলো ফুটবল। দুই এক বার তো অবনমনের আশঙ্কায় পড়লো প্রাণ প্রিয় দল টি! তবু সব সময় খোঁজ নেয়া বন্ধ করতে পারিনি। কোটি টাকার সুপার কাপে ফাইনালে মাঠে গিয়ে গলা ফাটিয়ে কোটি টাকা জিতেই ঘরে ফিরেছি। মাঠ ভর্তি দর্শক মাঠে ফিরতে দেখে কতো দিন পর পুলকিত হয়েছি আবার!!
জীবনের অংশ হয়ে যাওয়া মোহামেডান কে নিয়ে এই ভালোবাসা থেকে মুক্তি নেই, এ এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন। রক্ত পরীক্ষা করলে আমি নিশ্চিত আমার রক্তের রং সাদা কালো পাওয়া যাবে! আজ সন্ধ্যায় ঢাকা ডার্বি তে প্রিয় দল মাঠে নামবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিরুদ্ধে। হাজার মাইল দূরে থেকেও মন পড়ে থাকবে খেলার ফলাফলের দিকেই! তিরিশ বছর পর লিভারপুল শিরোপা জিততে পারলে, আমরাও নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়াবো একদিন। সেদিন বেশি দূরে নেই, এই আশাতেই বুক বাঁধি আবার!!
#banglafootball #mohammedansportingclub #msc #mohammedansportingclub #mohammedan

Опубликовано:

 

11 сен 2024

Поделиться:

Ссылка:

Скачать:

Готовим ссылку...

Добавить в:

Мой плейлист
Посмотреть позже
Комментарии    
Далее
Growing fruit art
00:33
Просмотров 2,3 млн
Apple Event - September 9
1:38:50
Просмотров 25 млн
When Interviews Go Terribly Wrong...
11:42
Просмотров 1,5 млн
Growing fruit art
00:33
Просмотров 2,3 млн