নামায আদায় করেন পাঁচ ওয়াক্ত । রমজানের রোজা রাখেন । সকল অন্যায় থেকে বিরত থাকুন আর দোয়া কবুলের পূর্ব শর্ত হলো , হালাল খাবার । কারণ , হারাম খেয়ে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করবেন না ।
আচ্ছা আমি যখন সালাত এ দাঁড়াই তখন মাঝেমধ্যে আমি অমনোযোগী হয়ে পরি এবং মুখস্থ সুরা পাঠ করি কিন্তু খুব একটা ভুল হয়না করান মুখস্থ হয়তো তাই। মূল কথাটা হল সূরা অমনোযোগী অবস্থায় তেলাওয়াত করে ফেললে আবার শুরু থেকে শেষ করি অথবা শেষ করে আবার সেই সূরাই প্রথম থেকে শুরু করি এতে কি সালাত এর কোন সমস্যা হবে?
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। সুরা মূলক প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত পড়তে পারেন। সকালে সুরা বাকারা,, আলে ইমরান,,, ,, সুরা ইখলাস, ফালাক, এবং সুরা নাস,, সকাল সন্ধ্যা,, এবং ফরজ নামাজের পর একবার করে।। কুরআন তেলোয়াত অর্থসহ যত বেশি পড়বেন ততোই ভালো। হিসনুল মুসলিম অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন সেখানে হাদিস এর রেফারেন্স সহ অনেক দোয়া যিকির আছে নিয়মিত আমল করতে পারেন।
কাহাফের ১-১০ এবং ১০১-১১০ নং আয়াত) বিস্তারিতঃ (১) হযরত সওবান (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের শেষ দশ আয়াত পড়িয়া লয়, এই পড়া তাহার জন্য দাজ্জালের ফিতনা হইতে পরিত্রান হইবে। (আমালুল ইয়াওমে ওল্লাইলাহ) (২) হযরত আলী(রাযিঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি জুমুআর দিন সূরা কাহাফ পড়িয়া লইবে, সে আট দিন পর্যন্ত---অর্থাৎ আগামী জুমুআ পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা হইতে নিরাপদ থাকিবে। আর যদি এই সময়ের মধ্যে দাজ্জাল বাহির হইয়া আসে তবে সে তাহার ফেতনা হইতেও নিরাপদ থাকিবে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর) (৩) হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) বর্ননা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যেব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম তিন আয়াত পড়িয়া লইয়াছে তাহাকে দাজ্জালের ফিতনা হইতে বাঁচাইয়া লওয়া হইয়াছে। (তিরমিজী) (৪) হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যেব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত ইয়াদ করিয়া লইয়াছে সে দাজ্জালের ফিতনা হইতে নিরাপদ হইয়া গিয়াছে। এক রেওয়াতে সূরা কাহাফের শেষ দশ আয়াত ইয়াদ করার কথা উল্লেখ করা হইয়াছে। (মুসলিম) (৫) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যেব্যক্তি সূরা কাহাফ অক্ষরসমূহের সঠিক উচ্চারনের সহিত এমনভাবে পাঠ করিয়াছে যেমনভাবে উহা নাজিল করা হইয়াছে, তবে এই সূরা উহার পাঠকারীর জন্য কেয়ামতের দিন তাহার বসবাসের স্থান হইতে মক্কা মুকাররমা পর্যন্ত নূর হইয়া যাইবে। যে ব্যক্তি এই সূরার শেষ দশ আয়াত তেলওয়াত করিল, তারপর দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটিল, তাহার উপর দাজ্জালের কোন শক্তি কার্যকর হইবে না। (মুসতাদরাকে হাকেম) play.google.com/store/apps/details?id=com.dua.bangla