মূলত মাউন ছোট ও সামান্য পরিমাণ জিনিসকে বলা হয়৷ এমন ধরনের জিনিস যা লোকদের কোন কাজে লাগে বা এর থেকে তারা ফয়দা অর্জন করতে পারে৷ এ অর্থে যাকাতও মাউন৷ কারণ বিপুল পরিমাণ সম্পদের মধ্য থেকে সামান্য পরিমাণ সম্পদ যাকাত হিসেবে গরীবদের সাহায্য করার জন্য দেয়া হয়৷ আর এই সংগে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) এবং তাঁর সমমনা লোকেরা অন্যান্য যেসব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোও মাউন৷ অধিকাংশ তাফসীরকারের মতে , সাধারণত প্রতিবেশীরা একজন আর একজনের কাছ থেকে দৈনন্দিন যেসব জিনিস চেয়ে নিয়ে থাকে সেগুলোই মাউনের অন্তরভুক্ত ৷ এ জিনিসগুলো অন্যের কাছ থেকে চেয়ে নেয়া কোন অপমানজনক বিষয় নয়৷ কারণ ধনী - গরীব সবার এ জিনিসগুলো কোন না কোন সময় দরকার হয়৷ অবশ্যি এ ধরনের জিনিস অন্যকে দেবার ব্যাপারে কার্পণ্য করা হীন মনোবৃত্তির পরিচায়ক৷ সাধারণত এ পর্যায়ের জিনিসগুলো অপরিবর্তিত থেকে যায় এবং প্রতিবেশীরা নিজেরদের কাজে সেগুলো ব্যবহার করে , কাজ শেষ হয়ে গেলে অবিকৃত অবস্থায়ই তা ফেরত দেয়৷ কারো বাড়িতে মেহমান এলে প্রতিবেশীরা কাছে খাটিয়া বা বিছানা - বালিশ চাওয়াও এ মাউনের অন্তরভুক্ত৷ অথবা নিজের প্রতিবেশীর চুলায় একটু রান্নাবান্না করে নেয়ার অনুমতি চাওয়া কিংবা কেউ কিছুদিনের জন্য বাইরে যাচ্ছে এবং নিজের কোন মূলবান জিনিস অন্যের কাছে হেফাজত সহকারে রাখতে চাওয়াও মাউনের পর্যায়ভুক্ত৷ কাজেই এখানে আয়াতে মূল বক্তব্য হচ্ছে , আখেরাত অস্বীকৃতি মানুষকে এতবেশী সংকীর্ণমনা করে দেয় যে , সে অন্যের জন্যে সামান্যতম ত্যাগ স্বীকার করতেও রাজি হয় না৷
ইসলাম মানুষের মানবীয় গুনাবলীকেই প্রাধান্য দিয়ে রেখেছে। একজন খুব বেশী সালাত ও তাসবিহ করাতে অভ্যস্থ কিন্তু সূরার প্রথম দুটি গুন নেই বা মানুষের কল্যানে কোন কাজ করে না সেক্ষেত্রে তার আখেরাতের বিশ্বাসের ব্যাপারটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ সঠিকভাবে দ্বিনকে বুঝার ও আমল করার সুযোগ করে দিন।
14 окт 2024