অনেক সুন্দর আলোচনা, এই আলোচনা ছড়িয়ে দেওয়া হোক সর্বত্র, এবং এইধরনের মজলিস প্রতিটি ইউনিয়ন, থানা,জেলা,বিভাগ এ আয়োজন করা হোক, তাহলেই মানুষ বুঝবে ইসলাম সম্পর্কে এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে, তাহলেই ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ
এতো সুন্দর আলোচনা কিন্তু ভালো ভিউ হচ্ছে না, আমার ক্ষমতা থাকলে দেশের প্রতিটি মানুষকে এই আলোচনাটি শুনতে বাধ্য করতাম । যাই হোক এমন আলোচনা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে, ইসলামী শাসনতন্ত্রের পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে।
যারা ইসলামী শাসন চাই তারা দেশ ব্যপি এলাকা ভিত্তিক স্থানিয় মুফতিয়ানে কিরাম দ্বারা বিচারক বোর্ড গঠন করে ইসলামী হুদূদ ও কিসাস এর ফাইসালা জানাইয়া দেওয়া,এবং বর্তমান তওবার আহবান জানান ,আর পরবর্তিতে রাষ্ট্রিয় ভাবে হুদূদ ও কিসাস কার্যকর করা।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নিজের মাথা থেকে বের করলেই হইলো না। যিনি একবার ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছে তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার রাস্তাও দেখিয়ে দিয়েছেন। এসব আবল তাবল পদ্ধতি নিজের মাথা থেকে বের না করে সিরাত পড়ে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করেন।
শায়খ নামাজ পড়ার পদ্ধতি কয়টি। নিশ্চয়ই প্রসিদ্ধ চারটি। যাকে আমরা ইশতিহাদ বলে থাকি। শরিয়া আইন মানা যদি ফরজ হয়। তাহলে নিশ্চয়ই এটা পদ্ধতি ও নির্দিষ্ট যা কিনা কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে অবশ্যই আসতে হবে। কিন্তু আপনি ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি হিসেবে আপনার মন গড়া বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। সুতরাং আপনার প্রতি আমার নিবেদন আপনি এই ব্যাপারে হয় নিজের ইশতিহাদ করেন অথবা ইশতিহাদ অনুসরণ করতে পারেন। আপনার বর্ণনা কোরআন ও সুন্নাহর পরিপন্থী।
বর্তমান বিশ্বে মানুষ তার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ চায় না। তাই মানুষ ইসলামিক শাসন চায় না। বর্তমানে মানুষ গান-বাজনা , কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ইত্যাদি জিনিস কে উপভোগ করছে। আল্লাহর ভয় , আখেরাতের ভয় ছাড়া কোনো বাস্তবসম্মত সমাধান কি আপনাদের আছে এগুলোর বিরুদ্ধে? সময়ের সাথে সাথে মানুষের অভ্যাস, চিন্তা -চেতনার পরিবর্তন ঘটে। শুধুমাত্র আখেরাতের ভয় দিয়ে এগুলো ব্যাখ্যা করা যায় না। It's all about Human Race! আমি ইসলামী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে না, কিন্তু এই সহজ বিষয় না বুঝার কারণে আপনারা আপনাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে পারেন না। সবসময় গোঁজামিল দেন। ইসলামিক শাসনের যে ভালো দিক বললেন এগুলো বর্তমান ব্যবস্থায় সংযোজন করতে অসুবিধা কোথায়? অথবা ইসলামিক শাসনের খারাপ দিকগুলোই বা কেনো ব্যাখ্যা করলেন না? আপনাদের কওমি মাদ্রাসা হতে কয়জন লোক পুলিশ-প্রশাসন, বিচার বিভাগে আছে? কয়টা বড় শিল্পগ্ৰুপ আছে?দেশে অথবা আন্তর্জাতিক ভাবে কোনো শক্ত অবস্থান তৈরী করতে না পেরে শুধু কাল্পনিক ভাবে ইসলাম কায়েম করা যাবে? আপনারা আসলে ভন্ড , শরীয়াতের সাথে অনেক শিথিলতা করেন কিন্তু স্বীকার করেন না। মানুষকে শুধু নিজেদের কল্পিত এক ইসলামিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখান। ৪০ বছর পর হয়তো ইসলামিক বিপ্লব হবে, তবে সেটা মোটেও বর্তমানে প্রচার করা আপনাদের ইসলাম না, ইসলামিক শাসনের নতুন এক পরিবর্তিত রূপ। জনমতের সাথে খাপ খাওয়ানো রূপ। কথা টা মনে রাইখেন।