হুগলী নদীর দুই প্রান্তে পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে ব্যস্ততম দুই শহর কলকাতা ও হাওড়ার প্রধান এবং প্রাচীন সংযোগস্থল হল হাওড়া ব্রিজ। সারাদিন ভীষণ ব্যস্ত এই রবীন্দ্র সেতুতে অবিরাম মানুষ এবং গাড়ির যাতায়ায় লেগেই আছে। ব্রিজের উপর ভারী মাল বোঝাই যানবাহন নিষিদ্ধ হলেও হালকা পণ্যবাহী গাড়ি এবং বাস, ট্যাক্সি, প্রাইভেট কারের ক্ষেত্রে কোনো বাঁধা নেই। আপনি যে কোনো সময় পায়ে হেঁটে বা গাড়ি চড়ে ব্রিজের এমাথা ও মাথা বেড়িয়ে আসতে পারেন।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
Disclaimer:
Don't Download & Copy Anything From This Channel. Its a Cyber Crime. All Videos of this Channel is Copyrighted by Md. Shahriar
___________________________________________
For Invitation & sponsorship contact
📧 sponsorshahriarofficial@gmail.com
Get connected with me 🙂
Facebook
/ shahriar.sajon.9
Instagram
/ sajonshahriar
FB page
/ shahriartraveler
Travel Group
/ 190986061246044
✅ Make Sure you subscribe to my channel & press the bell icon to get the notifications of my New videos 🔥
_______________________________________________________
হাওড়া ব্রিজ (রবীন্দ্র সেতু) - সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
১৮৬২ সালে তৎকালিন বাংলার সরকার, ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানির চীফ ইঞ্জিনিয়ার জর্জ টার্নবুলকে হুগলি নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উপর পরিক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বলেন৷ সেই বছরেই ২৯ শে মার্চ তিনি প্রয়োজনীয় নকশা উপস্থাপন করেন৷ কিন্তু সেই সময়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা যায়নি।
১৮৭৪ সালে প্রথম হাওড়া সেতু নির্মাণ হয়, সেটি ছিল একটি ভাসমান সেতু। পরে ১৯৪৫ সালে বর্তমান সেতুটির উদ্বোধন করা হয়। এটি একটি ক্যান্টিলিভার সেতু এবং এটি ঝুলন্ত। এর দুইপারে দুটি স্তম্ভ থাকলেও মধ্যিখানে কোনো অবলম্বন নেই। যখন এই সেতু নির্মাণ হয়, সেই সময় এটি ছিল এই জাতীয় সেতুগুলির মধ্য তৃতীয় লম্বা ব্রিজ। বর্তমানে এই জাতীয় সেতুগুলির মধ্যে হাওড়া ব্রিজ পৃথিবীতে ষষ্ঠতম।
পরবর্তীকালে, কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ ১৯০৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়ার আর এস হায়েট এবং কলকাতা কর্পোরেশন এর চীফ ইঞ্জিনিয়ার ডাব্লিউ বি ম্যাকাবের নেতৃত্বে একটি কমিটি নিয়োগ করা হয়৷ সেই কমিটি প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে এবং তার উপর ভিত্তি করে নদীটির উপর একটি ভাসমান সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷ প্রায় ২৩ টি প্রতিষ্ঠান হতে ব্রিজ এর ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন এর উপর দরপত্র আহ্বান করা হয়৷ ১৯৩৫ সালে নতুন হাওড়া ব্রিজের আইন সংশোধিত হয় এবং পরের বছর ব্রিজটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়৷
Music from Uppbeat (free for Creators!):
uppbeat.io/t/n...
License code: B3IVJ2JSLTCAEBUN
Music from Uppbeat (free for Creators!):
uppbeat.io/t/a...
License code: TI8Y6GPPC7D0C6P3
এক নজরে হাওড়া ব্রিজ (রবীন্দ্র সেতু) সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১) হাওড়া ব্রিজের মোট দৈর্ঘ্য ৭৫০ মিটার।
২) সবথেকে দীর্ঘতম স্পানটি হল ৪৪৭ মিটার লম্বা।
৩) প্রতিদিন ব্রিজটির উপর দিয়ে প্রায় ১,৫০,০০০ জন পথযাত্রী এবং ১,০০,০০০ গাড়ি চলাচল করে থাকে৷
৪) এই ব্রিজের আলোকসজ্জা করেছেন নাট্যজগতের বিখ্যাত আলোক শিল্পী তাপস সেন।
৫) এই ব্রিজে কোনো নাটবল্টু নেই।
৬) ২৬ হাজার ৫০০ টন স্টীল দিয়ে এই ব্রিজ নির্মিত, এই স্টিল সাপ্লাই করেছিল টাটা স্টিল কোম্পানী।
৭) হাওড়া ব্রিজের নকশা করেছিলেন Mr.Walton of M/s Rendel, Palmer & Triton
৮) নোবেল জয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে, ১৯৬৫ সালে হাওড়া ব্রিজের নতুন নাম করণ হয় রবীন্দ্র সেতু।
হাওড়া ব্রিজ যাবেন কিভাবে ?
পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের যেকোনো প্রান্ত থেকে হাওড়া স্টেশান যাওয়ার ট্রেনে চেপে বসুন। শেষ স্টেশানে নেমে বাইরে বেরোলেই আপনি দেখতে পাবেন হাওড়া ব্রিজ, যার আনুষ্ঠানিক নাম রবীন্দ্র সেতু। বিশালাকায় এই সেতু না দেখে আপনি থাকতে পারবেন না।
কলকাতার প্রায় সব জায়গা থেকে বিভিন্ন বাস হাওড়া ব্রিজের উপর দিয়ে হাওড়া স্টেশান যায়।
গঙ্গার ধারে বিভিন্ন ফেরিঘাট থেকে লঞ্চে করেও আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন হাওড়া স্টেশান। সেক্ষেত্রে হাওড়া ব্রিজের নীচ থেকে আপনি একে দেখতে পাবেন।
হাওড়া ময়দান অবধি মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে বেশ কিছু বছর, আগামী কিছু বছরের মধ্যে কলকাতা হাওড়া মেট্রো যোগাযোগ স্থাপিত হবে, তখন মেট্রো করেও হাওড়া স্টেশান যাওয়া যাবে। এবং হাওড়া ব্রিজ দেখা যাবে।
হাওড়া ব্রিজ দেখার সঠিক সময়
হাওড়া ব্রিজ পরিদর্শনের সঠিক সময় হল ভোর বেলায়। অন্ধকার নামার পরেও এই ব্রিজের আলোকসজ্জা দেখার মত হয়। দিনের বিভিন্ন সময় এই ব্রিজ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে।
হাওড়া ব্রিজ (রবীন্দ্র সেতু) যাওয়ার আগে যেগুলি জেনে রাখা উচিত
সুরক্ষার খাতিরে এই ব্রিজের উপর ছবি তোলা নিষিদ্ধ হলেও প্রচুর যাত্রীকে এই ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে গঙ্গাকে পিছনে রেখে সেলফি তুলতে দেখা যায়।
এই ব্রিজে দাঁড়ালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সহাবস্থান লক্ষ্য করা যায়।
গঙ্গাবক্ষ থেকেও এই ব্রিজের দর্শন করা যায়। হাওড়া ফেরী ঘাট থেকে বাগবাজার মুখী যেকোনো লঞ্চে চড়লেই আপনি প্রাণ খুলে এই ব্রিজের নানান অ্যাঙ্গেল থেকে ভিউ পেয়ে যাবেন। লঞ্চ থেকে ব্রিজের ছবি তোলাতেও কোনো বাঁধা নেই।
#kolkatacitytour #howrahbridgekolkata #haorah #haora #kolkatatouristplaces #kolkatavlog #shahriarofficial #kolkatatravelvideo #kolkatatourguide #kolkatatrip
3 окт 2024