স্বাধীনতা তুমি- শামসুর রাহমান /Swadhinata Tumi-Shamsur Rahman
আবৃত্তি - সারা অদিপ্রা (নিবেদিতা সরকার) #Ghashphul
মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক প্রবল সৃষ্টিশীল সময়। গানে, কবিতায়, ছবি আঁকায়, সিনেমায় বাঙালির সৃজনশীলতার শতমুখী স্ফুরণ ঘটেছিল ওই উত্তাল সময়েও। এসব সৃষ্টি মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, বিশ্ব জনমত গঠনে ভূমিকা রেখেছে। এ রকমই কিছু সাংস্কৃতিক সৃষ্টির কথা-
স্বাধীনতার প্রবল প্রতিজ্ঞায় উত্তাল মানুষ। প্রতিদিন অস্ত্রশস্ত্র আর গোলাবারুদ নিয়ে দেশের ভেতরে গেরিলা অভিযান চালাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধ চলছে। সেদিনের সেই অগ্নিগর্ভ, রক্তাক্ত বাংলাদেশে-কখনো অবরুদ্ধ ঢাকা, কখনো নরসিংদীর এক গণ্ডগ্রামে বসে একজন কবি তখন সক্রিয় ভিন্ন অভিযাত্রায়। খুব সন্তর্পণে একের পর এক তিনি আগরতলা বা কলকাতায় পাঠাচ্ছেন অন্য রকম অস্ত্র। শব্দ, বাক্য আর পঙ্ক্তিতে প্রস্তুত করা ঝাঁঝালো সেই অস্ত্রের নাম-কবিতা। আর ওই অজর কবিতাগুচ্ছের একটি ‘স্বাধীনতা তুমি’। আর সেই সাহসী কবি আমাদের শাসুর রাহমান।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেই কলকাতার পত্রপত্রিকায় ছাপা হচ্ছিল কবিতাগুলো। তারপর ‘স্বাধীনতা তুমি’ কিংবা ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’-এসব কবিতাই হয়ে উঠল আমাদের প্রাণের প্রতীক, স্বাধীন বাংলার অনন্য পোস্টার।
তবে লেখা থেকে শুরু করে সেসব গোপনে কলকাতায় ‘পাচার’ করা-পুরো প্রক্রিয়াটি-আজ মনে হতে পারে কোনো রহস্যগল্প। ভয় ছিল, ছিল পদে পদে বিপদের আশঙ্কা।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে পৃথিবী দেখেছিল ঢাকায় এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। পরে মরণপণ স্বাধীনতার যুদ্ধে সবাই যখন শামিল, যুদ্ধের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ নিতে অনেকেই যখন দেশ ছেড়ে ঠাঁই নিচ্ছেন কলকাতা, আগরতলা ও ভারতের অন্যান্য জায়গায়; কবি শামসুর রাহমান সে সময় বাংলাদেশে। আরও অনেকের মতোই অবরুদ্ধ। একাত্তরের এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে তিনি তাঁর গ্রামে এক দুপুরে লিখে ফেললেন “স্বাধীনতা তুমি” ও “তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা” কবিতা দুটি।
ভিডিও সংগ্রহ- mixkit.co/
10 окт 2024