১০৮ কক্ষের সুবিশাল দ্বিতল মাটির বাড়ি ।। এতো বড় বাড়ি কেনো বানালো ? 

Content Quality valo laglo

Osadharon sundor

❤❤❤❤

Khub valo ekta anuvuti holo, thanks for sharing

অসাধারণ ভিডিও ভাইয়া, তুলনা হয়না

So beautiful

Nice

মোর্শেদ সাহেব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে সুন্দর রুচি সম্পন্ন মাটির বাড়ি দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায়। এই সমস্ত বাড়ি তে শিক্ষিত ধনী মানুষের বসবাস।

এক কথায় অনবদ্য

চমৎকার ভিডিওটা দেখে খুব লম্বা একটা কমেন্ট লিখে ফেলেছি আবেগের বশে ৷ কিন্তু ইউটিউব আবেগের ধার ধার ধারেনা ! ফলে মন্তব্যটা দুই ভাগে পোস্ট করছি ৷ আশা করি দর্শকগন পড়বেন ৷ ১) অসাধারন লাগলো ভিডিওটা ৷ এই বাড়িটা বসবাস করার মানুষের অভাবেই আরও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে ৷ আগেকার মানুষদের ছিলো একসঙ্গে বসবাস করার মানসিকতা ৷ কিন্তু কালের প্রভাবে ও ব্যক্তিসাতন্ত্র মানসিকতার জন্য মানুষ এভাবে একান্নবর্তী পরিবার পছন্দ করে না ৷ মাত্র বছর পঁয়তাল্লিশ-ছেচল্লিস আগে এমন মানসিকতার মানুষও যে ছিলেন সেটা ভাবতেও বিষ্ময় জাগে ৷ একান্নবর্তী পরিবারের ধারনা মানুষ ত্যাগ করেছে গত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ৷ সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পঁয়তাল্লিশ বছর পরে মানুষের এমন মানসিকতা বজায় ছিলো, ভাবতেই বিষ্ময় জাগে মনে ৷ বিশাল একান্নবর্তী পরিবারে সবথেকে সুখে থাকে কর্তৃস্থানীয় কিছু পুরুষ মানুষ ৷ বাড়ির বৌদের অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন কাটাতে হতো ৷ সবচেয়ে অবহেলিত হতো , যাদের সবচেয়ে বেশি আদর-যত্ন পাওয়া দরকার সেই সব শিশুরা ৷ বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মানুষ আর গোষ্ঠীবদ্ধ ও কড়া অনুশাসনের মধ্যে থাকতে চায়না ৷ যৌথ পরিবারে চিরকালই চলে আসছে হিটলারি শাসন ৷ একথা বলতে পারছি, কারন আমি এককালে নিজেও এমন হিটলারি শাসন ব্যবস্থায় শৈশব কাটিয়েছি তিন ভাইয়ের যৌথ পরিবারে ৷ আমার বাবা ছিলেন তিন ভাইদের মধ্যে সবার ছোট ! বাবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময় দেশ-বিদেশ ঘুরতে পারবেন বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে বৃটিশ ফৌজে যোগ দিয়েছিলেন ৷ বাবা শৈশবেই, মাত্র দেড় বছর বয়ছে পিতৃহারা হয়েছিলেন সম্ভবত ১৯০৫-'০৬ সাল নাগাদ ৷ অনেক জমিজমা থাকলেও বাড়িতে পিতৃস্থানীয় ও বয়স্ক পুরুষ মানুষ না থাকাতে সেইসব জমিজমাতে চাষও করার মত সাধ্য ছিলো না ৷ এখনকার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগণা জেলার এক প্রত্যন্ত গণ্ডগ্রামে তাঁরা থাকতেন ৷ গ্রামের নাম চাকলা ৷ যে গ্রামে জন্মেছিলেন বিখ্যাত সাধক পুরুষ বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী ৷ যিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করার পর আর নিজ জন্মভূমিতে ফিরে না এসে এখনকার বাংলাদেশের ঢাকা শহরের অদূরে বারদী গ্রামে আশ্রম তৈরী করে বসবাস করেছিলেন আমৃত্যু ৷ তাঁর জন্মভূমি চাকলা গ্রামে আজ বিশাল লোকনাথ মন্দির তৈরী হলেও গ্রামের তেমন করে কোন উন্নতি হয়নি ৷ বাবা লোকনাথের মত গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই গ্রাম ছেড়ে কলকাতামুখী হয়েছিলেন মূলত জীবিকা ও সুযোগ সুবিধার কারনে ৷

❤❤❤❤

❤❤❤❤