১৭ শ্রেণীর লোক মুসলমান হয়েও জান্নাতে যেতে পারবেনা 

প্রিয় আলোর পথের দর্শক মন্ডলি আজকের ভিডিওর কথা গুলো শায়খ আহ্ মাদ উল্লাহ্ হুজুরের আলোচনা থেকে নেয়া হয়েছে।
সুপ্রিয় আলোর পথের যাত্রী বিন্দ আসা করি আল্লাহর রহমত ও দয়ায় আপনারা সবাই ভালো আছেন । সুপ্রিয় দর্শক আল্লাহ তালা বলেছেন, দুনিয়াতে যত সফলতাই অর্জন করুক না মানুষ এটা চূড়ান্ত সফলতা নয়। সাময়িক সফলতা। কেয়ামতের দিন যে ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে দূরে সারিয়ে দেয়া হবে আর জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হবে, বলা হয়ে যাও তোমাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলো। এই ব্যাক্তি সবচেয়ে সফল হয়ে গেলো। এই হলো সফলতা। এর সফলতার পরে আর কোনো ব্যার্থতার গ্লানি, ব্যার্থতার কোনো আশংকা তাকে তাড়া করবে না। যে ব্যাক্তি একবার প্রবেশ করবে জান্নাতে আর সেখান থেকে সেই নেয়ামত তার কাছ থেকে কখনো ছিনিয়ে নেয়া হবে না। আল্লাহ তালা আমাদের সবাইকে জান্নাতের অধিবাসী হওয়ার তাওফিক দান করুক।আমিন। যারা অমুসলিম জাহান্নাম তো তাদেরই জন্য। কিন্তু মুসলমাদের মধ্যেও এইরকম অনেক হতভাগা, অনেক কপাল পোড়া মানুষ আছেন যারা তাদের কৃত কর্মের কারণে জান্নাতে যাওয়ার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হবেন। তারাও জাহান্নামে যাবে। রাসূলুল্লাহ সা: এর হাদিস থেকে সেইরকম ১৭টি শ্রেণীর কথা আজ আমরা উল্লেখ করবো যেই ১৭ শ্রেণীর লোক এরা জান্নাতে ঢুকে চূড়ান্ত সফলতা এবং সার্থকতা অর্জন করবার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হবে। বরং এরা জাহান্নামে যাবে এরপরে সেখানে তাদের শাস্তি হওয়ার পরে কোনো কালে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দয়া হলে তখন তারা জান্নাতে আসবে। তাহলে মুসলিম হয়েও যে সমস্ত লোকেরা জান্নাতে যাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করবে না এবং এই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হবে সেই হতভাগা লোকদের ভিতরে ১ নম্বর হলেন অবৈধ ভাবে হারাম পথে উপার্জন করে যে ব্যাক্তি দেহ গঠন করেছে ওই দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ওই দেহের জন্য জান্নাত হারাম। সে যতই ভালো কাজ করুক না কেন তার দেহ যদি হারাম খাদ্য দিয়ে তৈরী হয় তাহলে সেই দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ২ নম্বর হলো আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যাক্তি। যেই কোনো অজুহাতেই হোকনা কেনো নিজের ভাইয়ের সাথে, নিজের বোনের সাথে, মায়ের সাথে, বাবার সাথে, ফুফুর সাথে, চাচার সাথে,মামার সাথে, খালার সাথে, চাচাতো ভাইবোনের সাথে এক কোথায় রক্ত সম্পর্কিত যত আত্মীয়স্বজন আছে সাথে এমন কি শুশুর বাড়ির লোকজন আছে কোনো যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়া তাদের সাথেও আপনি সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। আত্মীয়ের সাথে যে ব্যাক্তি সম্পর্ক ছিন্ন করে এই ব্যাক্তির জন্য জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ নাই। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, যে ব্যাক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ককে ছিন্ন করে ফেলে, কোনো সম্পর্ক রাখে না, কথা বার্তা বন্ধ করে দেয়, উঠাবসা বন্ধ করে দেয়। এই ব্যাক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আপনার জান্নাতে যাওয়ার স্বার্থেই আপনাকে আত্মীয়স্বজন্দের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে রাখতে হবে। তৃতীয়ত মুসলিম হয়েও যে ব্যাক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তিনি হলেন ওই ব্যাক্তি ব্যাক্তি প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়। পাশের বাড়ির ছাদে ময়লা ফেলে, জমিন নিয়ে ধাক্কা ধাক্কি করে, জোরে সাউন্ড দিয়ে গান শুনে পাশের প্রতিবেশীর কষ্ট হয়। এক কোথায় প্রতিবেশীকে যারা কষ্ট দেয় এই লোকগুলো জান্নাতে যাবে না। এই বিষয়ে সহীহ মুসলিমে সুস্পষ্ট হাদিস রয়েছে, যে ব্যাক্তি তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। অতএব আমার আশেপাশে যারা বসবাস করবে, প্রতিবেশী যারা থাকবেন তাদের সাথে সুসম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। সম্পর্ক ভালো রাখতে পারেন আর না পারেন অন্তত আপনার কোনো আচরণ দ্বারা আপনার কোনো কাজ দ্বারা তাদের কোনো কষ্ট যেন না হয়। ৪ নম্বর মাবাবার অবাদ সন্তান। যেই সন্তান তার মা-বাবার নেয্য নির্দেশকে অমান্য করে লঙ্ঘন করে পাত্তা দেয় না, মানে না এই সন্তানের জন্য জান্নাত নিষেধ।
Fair Use Disclaimer:
=================
This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” as described in The Copyright Act 2000 Law No. 28 of the year 2000 of Bangladesh under Chapter 6, Section 36 and Chapter 13 Section 72. According to that law allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
"Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for fair use for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use."