@arifmia1666 ডেড রেকনিং বইটাতে এটাও স্পষ্ট ভাবে প্রমাণ করা হয়ছিল যে মিলিটারিকে বাঙ্গালীদেরই একটা গোষ্টি মনস্তাত্বিক ভাবে তৈরী করে দিছিল যাতে তারা অস্ত্র হাতে চরম কঠোরতা অবলম্বন করে। তাদেরকে আমি মাসুম বলছি নাহ কিন্তু তাদেরকে তাদের পরিবারকে হত্যা করার মাধ্যমে বিক্ষুব্ধ করে তুলা হয়ছিল। আর ২৫ মার্চের রাতে ঢাবিতে কোন নিরস্ত্র অসহায়কে আক্রমণ করা হয়নি। এমন কিছু মানুষকে আক্রমণ করা হয়ছিল যারা প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে প্রশিক্ষণ নিত আসন্ন স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য। এসব সর্মিলা বসুর গবেষণা লব্ধ দাবি। আমার কথা নাহ।
40:30 দ্বিমত পোষণ করলাম। পাকিস্তানের ক্ষমতায় পূর্ব পাকিস্তানের নেতারাও গিয়েছে এবং সেটা পাকিস্তানিরা মেনেও নিয়েছে। পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন, তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ আলি বগুড়া, পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী , অষ্টম প্রধানমন্ত্রী নুরূল আমিন-ইনারা এই অঞ্চলের লোকজন ছিলেন। পাকিস্তানিদের তাদের মানতে আপত্তি হয় নাই। মুজিবকে নিয়ে সমস্যা লাগায় ভুট্টো আর আর্মি। আর্মির মেইন পয়েন্টটা যতদূর মনে হইছে, ৬০ এর দশকে মুজিবের এই আগরতলা আর বিচ্ছিন্নতাবাদ ফ্যান্টাসি তারা জানত। পাশাপাশি সিরাজুল আলম খানদের উগ্র কর্মকাণ্ডের দায় মুজিবের উপরেই যাচ্ছিলো। এজন্য মুজিবকে ডিপস্টেট বিশ্বাস করতে পারে নাই, এবং ক্ষমতাও দেয় নাই। 56:25 আর যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ হয়েছে। আপনি নিজেই ডেড রেকনিং এর উদাহরণ দিয়েছেন। ঐ বইয়েই আছে যুদ্ধাপরাধ সবপক্ষই করেছে, আবার ভালো লোকজন দুই পক্ষেই ছিলো। ধরুন, আমি ঐ সময়ে সিরাজুল আলমের নের্তৃত্বে ছাত্রলীগ করতাম। সিরাজুল আলমরা বিহারী গণহত্যা করে যুদ্ধাপরাধ করছে বলেই মুক্তিবাহিনীর নের্তৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করাটা যেমন আমার জন্য জাস্টিফাইড হয় না, ঠিক তেমনি পাক আর্মির অনেকের দ্বারা যুদ্ধাপরাধ হচ্ছে বলেই আল বদররা নিজেদের হাত পরিষ্কার রাখার জন্য পাকিস্তান রক্ষার জন্য অস্ত্র তুলে নিবে না- এটাও জাস্টিফাইড না। যুদ্ধ ভোলেটাইল একটা বিষয়। তার উপর এটা একটা গৃহযুদ্ধ- যার দুইপাশেই মুসলমান। এখানে এরকম সাদা-কালো পর্দা ছিলো না যে এতো হিসাব নিকাশ করে কেউ অস্ত্র হাতে তুলে নিবে। সিভিল ওয়ারের নেচার ই এরকম। নিঃসন্দেহে পাকিস্তান আর্মি ৭১ পরবর্তী সময়েও অনেক ভুল-ভাল কাজ করেছে, পাকিস্তান আফগানিস্তান এরিয়া গুলোতে অনেক ভাইদের রক্তের দাগ এই সেনাবাহিনীর হাতে লেগে আছে। কিন্তু আপনি ৭১ এর ইস্যুতে পাক আর্মিকে যেভাবে ভিলিফাই করছেন, শর্মিলা বোস তার ডেড রেকনিং বইয়েও এভাবে যুদ্ধাপরাধ তুলে ধরেন নাই। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন যে পাকিস্তান আর্মির প্রতি গণহত্যা, ধর্ষণ সহ যত বড় বড় অভিযোগ এসেছে, তার অনেক গুলোই অতিরঞ্জিত এবং মিথ্যা। তবে হ্যাঁ, সেনাবাহিনী যে যুদ্ধাপরাধ করেছে বিভিন্ন জায়গায়, এটা সত্য। কিন্তু এটার মাত্রা এরকম ও ছিলো না যে আলেম ওলামারা পাকিস্তান আর্মির বিপক্ষে গিয়ে পাকিস্তানের বিরোধিতা শুরু করবে। বরং বিভিন্ন জায়গায় আলেমরা পাকিস্তান আর্মির সাথে কলাবোরেট করেই ঐ এলাকার জনমানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করেছে। বাকি আলোচনা প্রাসঙ্গিক ছিলো। ভালো লেগেছে।