সবার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, বাংলাদেশীরা অবশ্যই ভারতীয় দেরকে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবেই বিবেচনা করে, বিশেষ করে ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের সহযোগিতার কারনে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পেরেছিল। কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষাপট সম্পুর্ন ভিন্ন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অনেক নীতিই প্রশ্নবিদ্ধ! সবচে বড় কথা হলো শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আছে সেই ২০০৯ সাল থেকে এবং তার সরকারের অধীনে হওয়া গত তিন নির্বাচনে ভোটে জয়লাভ করা নিয়েও অনেক সমালোচনা রয়েছে কারন সেসব ভোটে প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থীদেরকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি এবং ভোট কারচুপি করে জয়লাভ করেন। শেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারীতে হওয়া নির্বাচনের আগেও তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন করেছেন এবং অনেক নেতা-কর্মীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে গিয়ে হত্যা কিংবা গুম করেছেন। এমনকি সরকারের সমালোচনা করার কারনে অনেক নামী-দামী মানুষকেও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই দেননি তিনি! ফিরে আসি ছাত্রদের ‘কোটা’ আন্দোলনে। সর্বশেষ খবর পাওয়া অবধি লাশের মিছিল হয়ে গেছে, ১৮ জুলাই রাতেই প্রায় ২১০ জনকে গুলি করে মারা হয়েছে, আনঅফিসিয়ালি এর চাইতে ও অনেক বেশী! আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সাথে জনতার সংঘর্ষে ৪ অগাষ্ট মারা গেছে প্রায় ১০০ জন। হাজার হাজার ছাত্র এবং সাধারণ জনগণ আহত হয়েছে, যার মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে! মানুষ মারা আর গুম করা ছাড়া সরকারের সামনে কি আর কোন রাস্তা ছিল না? একবার শুধু চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো, যাদের ছেলে-মেয়ে আজকে হারিয়ে গিয়েছে, তাদের পরিবারের কি অবস্থা?! কি এমন বড় অপরাধ করেছে তারা, কিছু যৌক্তিক দাবী তুলে ধরেছিল শুধু! তবে হ্যাঁ, এ দাবি এখন আর ‘কোটা’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং দীর্ঘ সময়ের স্বৈরাচারী শাসনের ফলে উদ্ভুত অনেক সমস্যায় জর্জরিত জনতার ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ও ঘটেছে এই ‘কোটা’ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে! ভিন্ন মত বা ভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকতেই পারে, তাদের সাথে আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান বের না করে, রাস্তায় গিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দিয়ে পাখীর মত মানুষ হত্যা করেছে তার সরকার। তার সরকার কখনোই শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের রাস্তা বের করেননি, বরং সবকিছু দমন-পীড়নের মাধ্যমে সমাধান করেছেন। তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে তিনি ছাত্রলীগ ও শসস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা ও গুম করেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইট্স ওয়াচ -মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংস্থাগুলোকে জিগ্যেস করে দেখুন, তার আমলে সংঘটিত সমস্ত বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রমান আপনি পাবেন! দেখেন আপনার দেশেরই চ্যানেল বিষয়টি কত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন: ru-vid.com/video/%D0%B2%D0%B8%D0%B4%D0%B5%D0%BE-k6mM4uTKoRw.html ru-vid.com/video/%D0%B2%D0%B8%D0%B4%D0%B5%D0%BE-m0cILR4Av7k.html ru-vid.com/video/%D0%B2%D0%B8%D0%B4%D0%B5%D0%BE-a6On9sr0Urs.html ru-vid.com/video/%D0%B2%D0%B8%D0%B4%D0%B5%D0%BE-CyuVrZsSu-A.html ru-vid.com/video/%D0%B2%D0%B8%D0%B4%D0%B5%D0%BE-wmPW1YWnCmA.html আরো খবর: ru-vid.com/video/%D0%B2%D0%B8%D0%B4%D0%B5%D0%BE-7bEhBAh3mnY.html ru-vid.com/video/%D0%B2%D0%B8%D0%B4%D0%B5%D0%BE-8lSI3CIongw.html ru-vid.com/video/%D0%B2%D0%B8%D0%B4%D0%B5%D0%BE-ZmbbUg_Bba4.html সুতরাং আপনারা দয়া করে কাউকে ভুল না বুঝে বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করুন। সমস্যা যেমন থাকে, তেমনি এর সমাধান ও থাকে! বড় প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সবসময় সন্দেহ মিশ্রিত চোখে তাকিয়ে লাভ হবে না! সকলেই সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন!