রবি চৌধুরী অনেক বড় মাপের একজন রুচিশীল শিল্পী কিন্তু তাকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি! কারণ আমাদের দেশে গুণী মানুষ সবসময় লাঞ্চিত হয় অপমানিত হয়৷ কিন্তু ঠিক মৃত্যুর পর বুঝতে পারে তার কদর!লাভ ইউ রবি ভাই❤️
রবি চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, কুমার বিশ্বজিৎ, মনির কিশোর, অন্যান্য ভালো শিল্পীদের মতো এদের গলায় আল্লাহ প্রদত্ত সুর আছে, এদের মধ্যে অনেকেই চলে গেছে , এবং যারা আছেন তাঁদের থেকে আরো সুন্দর সুন্দর সুরের গান আহরণ করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানের দৈর্ঘ্য বাড়ানো উচিত। এক একজন শিল্পী আসেন, তাদের কত কত জনপ্রিয় গান! কেন্তু সময় ফাঁকি দিয়া ঊড়ে। রবির প্রথম অ্যালবাম ব্যাপক জনপ্রিয়। ওই অ্যালবামের প্রায় সব গান জনপ্রিয় হইছিল। বিশেষ করে প্রথম 'বেদনার সবটুকু' গানটা। আরো বিশেষ করে ওই গানের হামিংটা। ও ও ও। পরের অ্যালবামগুলা ওই অর্ত্থে তোলপাড় করতে পারে নাই। সেটা কিছুটা স্বাভাবিকও! তবু প্রায় প্রত্যেকটি অ্যালবামে কিছু কিছু হিট করার চেষ্টা অন্তত আছে। রবির সমস্যা হইল, ওঁর গলায় স্বাতন্ত্র্য খুব অস্পষ্ট। যেমন বড়ো বড়ো অ্যান্ড্রু, আব্দুল জাব্বার, মাহমুদুন্নবী প্রভৃতিরা। যেকোনো বড়োর গলা কানে আসামাত্র শ্রোতা বোঝে হু ইজ হি। কেন্তু দুঃখ যে রবির ওখানে খামতি রইছে। রবি বেশি আবেগী। টিভিতেও উনি আবেগ ধরে রাখতে পারেন না, লাফাঙ্গে ফালাঙ্গে শুরু করে দেন। যেমন কুমার বিশ্বজিৎ। জিতের অবশ্য গলাও তেমন কিছু না! কাঁপাকাঁপিই সার, কেন্তু তার ফ্যাশনের চোদন আর বডিল্যাঙ্গুয়েজের চোদন দেখলে, হাহ। রবিও ওই একই দুর্ভাগ্য। সে ফোটার অগ্রেই ফেটে পড়ে। তার বেশির ভাগ গানের গোয়া মারছে প্রণব সাহা নামের আর এক ছাগল। এই ছাগল, ঠেকে, কয়েক সহস্র অডিও অ্যালবাম করছে। এক সময় আছিল অডিও অ্যালবাম মানেই প্রণব। গানে কোনো বৈচিত্র্য নাই, মিউজিকে নাই। একই সুর, একই বাজনা প্রায় প্রতিটা অ্যালবামে। হালায় প্রতিদিন একটা করে অ্যালবাম করত। রবির মঞ্চপ্রীতিও দেখার মতন। তিনি খালি মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার ধান্দা, আর মাল কামানি। তখনকার সবচাইতে লোভনীয় যে সিনেমা সেখানে তাকে তেমন পাওয়া যায় নাই। রবির প্রেমাপ্রেমিও রবির ক্ষতির কারণ। উনি হাভাইতার মতনঐ প্রেমাইতা। আরো স্পষ্ট করলে পাছাছ্যাদড়। যেখানেই জল, সেখানেই কল চালায়া দেওয়ার নেশা। কত ফুলের মধু যে লুটছে, ইয়ত্তা নাই। উনি যেমন করে উপস্থাপন করেন নিজেকে, কোনো ধারালো ব্যক্তি নাই। কেমন পাতলা খাঁ। অথচ জনগণ সবার অগ্রে খোঁজে প্রখর ব্যক্তিত্ব। পুরুষের ব্যক্তিত্বই হইল অস্ত্র, তেনার সেদিকে কোনো নজর নাই। পোলাপাইনের মতন যা মন চায়, তা-ই করতে করতে করতে করতে নিজের তেরোটা বাজায়া হাইলছে। ব্যাটার এমনকি চুলের স্টাইল মাসে মাসে বদলায়! ছাগলা না? যারাই জাতীয়ভাবে শ্রদ্ধেয়, এমন ক্ষণে ক্ষণে বদলানি একজনও নাই। এক আছে রিয়াজ হাগল। সেও গোয়ামারা খাইছে। আর রবির এই যুগেও এত মোডা ক্যারে? কত পদ্ধতি রইছে। হালা ষাঁড় একটু কমাইতে পারে না? বাড়তে বাড়তে বাড়তে বাড়তে অস্ত্র তো নাই হয়া যাইতেছে দিন দিন। থাইক আর না।