মনে অনেক বড় শক্ খেয়ে আছি। তাই এক কথায় বলতে চাই এন্ড্রু কিশোর স্যারের গান গুলো যেনো আমার ঘুমের ঔষধ। ছোট সময় থেকেই গান ভালোবাসি গাই শুনি। এই স্যারের গান শুনেই জীবনে প্রথম গানের প্রতি প্রেম শুরু এখনও সেই প্রেম আছে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবে। এখনো চোখের পানি মুছছি আর লিখছি কারণ উনি মারা যাওয়ার পর থেকেই গান শুনি আর কাঁদি। কেউ যানে না কেউ শোনেনা। নিরবেই কাঁদি। আমি এতো শুন্যাতা অনুভব করছি যা বলে বুঝাতে পারবো না। বালিশ ভিজিয়ে যাচ্ছে। তবু আজ লিখছি। এতো দিন পর্যন্ত কোন কিছু লিখতে পারিনি কারণ লিখতে গেলেই আটকে যেতাম । যেমন ভাত গলায় আটকে যায়। একটা পোস্টও দেইনি এই কারণে। ছোট সময় থেকেই তার যে গানটি ভালো লাগতো তা হুবহু না গেয়ে ছারতাম না। আমি গান করিনা শিখি নাই, শিল্পীও হতে কখনো পারিনি। তবে ওনার গান একদম নকল করতে পারি যেকোনো গান। ওনার জীবনের সমস্ত গান শুনা না হলেও তবে রেডিও টেলিভিশন ইউটিউবে পাওয়া যতো গান শুনেছি আর গেয়েছি তা প্রায় ৮০% গান শুনেছি। এবং নিজেই শুর ধরেছি শেষ করেছি তাতে কোথাও আটকে যাইনি গাইতে পেরেছি। আমার জীবনে অনেক শিল্পীর অনেক শুনেছি গেয়েছি তাই গান নিয়ে গবেষণা করতে করতে স্যারকেই আমার গানের আইডল মনে করা শুরু করলাম। তাই ওনাকে আমি স্যার বলতে বাধ্য হলাম। ভাল আছি এলবামের গান বেশ চমৎকার হয়েছে। এগান গুলোও মুখস্ত করেছি গাই আর আমার আত্তার খিধে মেটাই। ওনার শুন্যতায় এখন আরো বেশি বেশি গান তালাশ করি আর গাই। শিল্পী হওয়া যায়। কিন্তু গান গাওয়া যায়না। যদি না তা গড্ গিফট হয়। স্যার হলেন আল্লাহ থেকে হওয়া শিল্পী (এটাই গড গিফট)। আমিও তেমনই একজন শিল্পী । আফসোস আমার গলার ভয়েচটা স্যারের মতোই বেশি মানাতো। তার গানই পছন্দের শীর্ষে ছিলো।আশা করতে পারি রেডিও তে আমার গানও শোনা যেতো কিন্ত ছোট বেলায় ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারনে গলায় মাংশ বেড়ে যায় এবং এ পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান হলো না। অর্থাৎ আওয়াজ কমে যায় কন্ঠ একটু চিকন স্বর হওয়ার কারণেই শিল্পী আর হওয়া হলো না। বাবার অর্থাভাবের কারণে এ সমস্যাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এখন এসমস্যার কারণে গানের দিতে অসুবিধে হয় না। তিন মাস একটা শিল্পী গোষ্ঠীর সাথে কাজ করেছিলাম। তাই নতুন গান ইচ্ছে করলে সুর দিতে পারবো। আমি কয়েকটি গান লিখে স্যারের মতোই কন্ঠ দিয়ে সুর করেছি। বন্ধুরা অনকেই শুনে অজন্তেই স্যারের কথা বলে উঠলো পরে তাদেরকে বললাম। আমার কন্ঠ স্যারের কন্ঠের মতোই সুর দিতে সক্ষম এটাই তার প্রমাণ। তার বিদেহী অত্তার শান্তি কামনা কারছি। বাংলাদেশের মানুষের বিনোদন পাওয়ার বা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি ছিলোনা। দেশের রাজনীতিতে আমরা জনগন পেয়েছি কিছু কুত্তা। সে হিসেবে এন্ড্রু দা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন কার্পন্য ভাব দেখাননি। বরং ভারত তাকে কিনতে চেয়েছিলো তা পারেনি এন্ড্রু দা তাদের মুখের উপর বলে দিয়ে আসছে আমি আমার জন্মভূমিকে ভালবাসি। মরার আগেও বার বার বলতো আমাকে দেশে নিয়ে চলো আমি ওখানেই মরতে চাই। এতোটা দেশ প্রেম ছিলো তার। তাই সে গণমানুষের জন্য নিজেকে উজাড় বিনোদন দিয়ে গেছেন। যা এখন পর্যন্ত কেউ পারেনি। আর কেউ পারবে বলে তা আমার মনে হয়না। এজন্য ওনাকে আমি স্যালুট দেই এবং মনের ইচ্ছায়ই ওনাকে স্যার বলি। সামনা সামনি কখনো দেখা হয়নি কিন্তু নিরবে তার গানের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছি সব সময়। যেহেতু উনি নিরলস ভাবে বাংলাদেশের মানুষের চিত্ত বিনোদনের রাজা হয়ে কাজ করে গেছেন সেহেতু ওনার শান্তি কামনা করতে পারি।