শ্রদ্ধেয় শিল্পীর কন্ঠে এই রবীন্দ্র সংগীতটির অপূর্ব নিবেদন সহ সাবলীল ও সুন্দর ভঙ্গিমায় বর্ষা ঋতুর আগমন দিকে দিকে ঘোষিত হয়। এই মহান শিল্পীকে আমার অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
This song had 1st introduced me at an early with this legendary singer and woke me out of my sleep and made it a moment of truth by living an everlasting spot in my heart!!🙏🙏
ব্যাঙ্গালোরে বর্ষার প্রকোপ নেই বললেই চলে। আকাশ কিন্তু প্রায়শই মেঘলা। তাই পুরনো কথা মনে পড়ে গেল যা "এমন দিনে তারে বলা যায়, এমন ঘনঘোর বরষায়!" তখন বেশ ছোট। সম্ভবত বয়স দুই অঙ্কে পৌঁছাতে বাকি। সেসময়ে আমাদের মফস্বলের প্রকৃতি ভারি সুন্দর ছিল। সে দিনটা আমার আজো মনে পড়ে। বর্ষার আকাশের মুখ ভার। থমথমে অবস্থা। দুপুরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি, সামনে পুকুর, পেরিয়ে স্কুল। তারপরে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠ। তখন এত বাড়ি ছিলনা, বারান্দা থেকেই অনেক দূর দেখা যেত। দেখা যেত, বৃষ্টি কে সত্যিই পায়ে পায়ে এগিয়ে আসতে। সেদিনও দেখতে পাচ্ছিলাম, মাঠ শেষ করে স্কুল পেরিয়ে পুকুরে আসতে না আসতেই হঠাৎই দেখি ঘরের ভেতর রেডিওর থেকে মেঘমন্দ্র গলায়, "বহু যুগের ওপার হতে আষাঢ় এল, এল আমার মনে" -- প্রায় শিহরিত হওয়ার মত ব্যাপার। এদিকে তখন জোর বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে, সামনের বাগানে। আর পিছনে - "কোন সে কবির ছন্দ বাজে, ঝরঝর বরিষনে"!! পরে জেনেছি আষাঢ় এর " ঢ়" নাকি কেউ অমন উচ্চারণ করতে পারতেন না।