#Debotakhum_Bandarban
My Instagram Id : / mdfizz02
বাংলাদেশের ভূসর্গ বলা হয় বান্দরবানকে এছারা খুমের স্বর্গরাজ্য আর এই রাজ্যের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট দেবতাখুম। যার অর্থ জলপ্রপাত।
কাঁচা বাশের শক্তপোক্ত ভেলা রূপকথার উড়ে যাওয়া চাদরের মতো লাগে। দেবতাখুমের পানি প্রচণ্ড নীল ও ঠাণ্ড। শীতের মৌসুমেও প্রশান্তির বার্তা দিয়ে যায়।
খুমের ভেতরে বৈঠা ঠেলে ভেলা নিয়ে যতই ভেতরে প্রবেশ করেছি, ততই শ্বাস-প্রশ্বাস ভারি হচ্ছিল আমাদের।আসলেই এই বান্দরবান অপার্থিব তার সৌন্দর্যের ডালি উজার করে দিয়েছে প্রতিটি ভ্রমন পিপাসুদের।
দেবতাখুম বান্দরবানের অন্যতম আকর্শনীয় স্থান পর্যটকদের কাছে। তাই আমাদের আজকের যাএা দেবতাখুম। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা-উঁচুনিচু পথ দিয়ে চান্দের গাড়ির যাত্রায় শান্ত প্রকৃতি পর্যটকদের অন্তরে সুখের পরশ বুলিয়ে দেয়। বান্দরবান শহর থেকে প্রথমেই রোয়াংছড়ি পৌঁছাতে হয় সেখানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর চ্যাকিং তারপর কচ্ছপতলি যেয়ে আমাদের প্রায় ৬কিলোমিটার পায়ে হেটে যেতে হয় দেবতাখুম।
পথিমধ্যে যতদূর চোখ যায়, রাস্তার দু'ধারে ধরা পড়ে ঢেউ খেলানো অসংখ্য পাহাড়। দিগন্তবিস্তৃত উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড়ে ঘিরে থাকা অঞ্চল তার বিশালতা প্রমাণ করে। পাহাড়ের চূড়ায় গুচ্ছাকারে কিছু জমে থাকা মেঘ ধরা পড়ে চোখে।
বাসের ভেলায় অসম্ভব রকমের এডভেঞ্চার, একেবারে মনকে ভয়ার্ত করে দেয়ার জন্যে পারফেক্ট দেবতাখুম। ট্রেকিং, এডভেঞ্চার, রিস্ক, ভেলার কায়াকিং সবকিছুর একটি কম্বো প্যাকেজ এই দেবতাখুম। একেবারে নেটওয়ার্ক এর বাইরে, ভিন্ন এক পরিবেশ। আশেপাশের সব সুনসান। শব্দ হিসেবে থাকবে উপর থেকে পানির ফোটা পরার শব্দ, নিজেদের ভেলার আওয়াজ এবং আপনার কথারই প্রতিধ্বনি! আশেপাশের পরিবেশটা এত ভুতুড়ে আর নিরবতার যে এটা আপনাকে সত্যি সত্যিই রিয়্যল এডভেঞ্চারের ফিল এন দিবে।
খুমের ভিতরে গভীরতা ৫০ থেকে ৭০ ফিট ও দৈর্ঘ্যে ৬০০ ফিট।
27 мар 2022