আমাদের প্রেমটাও ২০২১ সালের নভেম্বরের ৩০ তারিখ ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ মনোমুগ্ধকর ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছিল একটা অচেনা ছেলের সাথে প্রথমবার হাত ধরার মাধ্যমেই, আর আজ আমাদের বিয়ের ২.৫ বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনো স্মৃতি রোমন্থন করে অতীতের সেই যায়গায় ফিরে যেতে ইচ্ছে হয়, ভালোবাসার মানুষটির হাতটা ধরে কয়েকশ বিকেল হাঁটতে ইচ্ছে হয়।❤❤❤
cu তে চান্স পেয়েছিলাম, বেশ কিছুদিন আব্দুর রফ হল, শার্টল, ঝুপড়ি, পাহাড় পর্বত, ঝিড়ি ঘুরে বেড়িয়েছি। যদিও দীর্ঘ দিন থাকা হয়নি কিন্তু অসম্ভব সুন্দর কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরেছি। ভালো থাকুক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
Onk kicu Mone pora jay 😢je icea kora amr hath dure Rasta par kora ditoh😢😢😢aj se onno dike r Ami tar seriti Niya pora aci😢ajke 4 year janina r kuto year sesh hube tar opekka r
ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য। এ বছর আমরা শুনতে চাই আপনার প্রতিদিনের কাছে আসার গল্প। #Closeup লিখে যেকোনো গল্প আপলোড করুন আপনার ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক প্রোফাইলে অথবা সরাসরি ইনবক্স করুন আমাদের Closeup Bangladesh এর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে । ইয়াশ রোহানের সাথে আপনার সেই গল্পটি শোনানোর সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন সারা বাংলাদেশকে।
এই রকম মেয়েরাই জীবন থেকে হারিয়ে যায়😢💔 আমারও ঠিক এইভাবে হাত ধরছিলো আমি নিষেধ করছিলো কারণ আমার লজ্জা লাগতো,আর ও মেয়ে হয়ে বলতো, ভালোবাসতে হলে নাকি লজ্জা সরম ত্যাগ করা লাগে, যখন আমি আস্তে আস্তে তারে ভালোবাসা শুরু করলাম ঠিক তখনি আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেলো,💔💔🙂😀
দৃশ্যপট-১ ভীষণ শাড়ি পাগল মেয়ে তাসনুভা। নাইন-টেনে উঠার পর থেকে নিয়ে কলেজে ও ভার্সিটি লাইফের প্রথম দু'বছর প্রচুর শাড়ি পরতো। শাড়িতে ফুটে ওঠা নিবেদিত প্রেয়সীসুলভ, কমনীয় ও স্নিগ্ধ সৌন্দর্যে নিজেকে প্রকাশ করাটাকে খুবই উপভোগ করতো সে। তাইতো ইন্টারমিডিয়েট লাইফ এবং ভার্সিটি লাইফের প্রথম দু'বছর যেকোনও অনুষ্ঠানে, স্টাডি ট্যুর বা পিকনিকে শাড়িই ছিল তার প্রথম পছন্দ। এমনকি বিয়ের পরে বরের সাথে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে কপালে টিপ লাগিয়ে চুলে খোঁপা বা বেণী করে আবার কখনো চুল ছেড়ে রাখা সাজে নিজেকে কল্পনা করার সময়ে শাড়ি ছাড়া অন্য কিছুর কথা ভুলেও ভাবতে পারতো না তাসনুভা। যদিও ইসলামের পথে আসার পর ও পর্দার গুরুত্ব বোঝার পর আস্তে আস্তে শাড়ি পরাটা একদমই ছেড়ে দেয় তাসনুভা। দ্বীনি পরিমণ্ডলে পর্দা রক্ষার ক্ষেত্রে নেতিবাচক দিকগুলোর কারণে শাড়িকে সম্পূর্ন পরিত্যাজ্য হিসেবে গন্য করার প্রবনতা অনেকের মাঝে লক্ষ্য করেছে সে। তবে তাসনুভা তার হৃদয়ে এই সুপ্ত আকাংখাকে লালন করতে থাকে যে, বিয়ের পর স্বামী যদি পছন্দ করে তাহলে সে অবশ্যই অবশ্যই প্রাইভেসি বজায় রেখে শুধু স্বামীর সামনে শাড়ি পরবে। কারণ স্বামীর সামনে কোনও পর্দা নেই, তার সামনে শাড়ি পরলে কিছু ঢেকে রাখা বা দেখা যাওয়ার টেনশন নেই, বরং সে আকৃষ্ট হয়ে তাকিয়ে থাকলে দুজনেরই নেকী এসব ভেবে ভেবে এক অদ্ভূত শিহরণ মাখা আনন্দ অনুভব করতো । অন্যদিকে তাসনুভার বর তাহমিদ সেই টিনএজ বয়সে ইসলামের পথে গুটি গুটি পায়ে অগ্রসর হওয়ার সময় থেকেই আল্লাহ্'র কাছে একজন নেককার ও চক্ষুশীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার জন্য দুআ করতো। কিন্তু নিজের কল্পনার সেই স্বপ্নমানবীর যথাযথ অবয়ব হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে তাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তাহমিদ কখনো তার স্বপ্নমানবীকে কল্পনা করেছে নাটক-সিনেমার শাড়ি পরা কোনও নায়িকার বেশে। কখনো মুখ খোলা রাখা হিজাবীর বেশে। সবশেষে হিদায়াতের অনুভূতি দিয়ে যখন অন্তরের আবেগ আর আকাংখাগুলোকে পুরোপুরি শাসন করতে শিখলো তখন হিজাব-নিক্কাবে আবৃত অবয়বই হয়ে উঠলো হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত কল্পনার মানবীর সবচেয়ে কাঙ্খিত অবয়ব। আল্লাহ্ তাকে নিরাশ করেননি! দ্বীনের ওপর অটল অবিচল থেকে ধৈর্য, আত্মসংবরণ ও অব্যাহত দুআর মাধ্যমে আল্লাহ্'র পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে তাসনুভার মতো জীবনসঙ্গীনীকে সে পেয়েছে যার বোরকা পরিহিত রূপ আর শাড়ি পরিহিত অবস্থা একই গাছের ভিন্ন আকৃতির কিন্তু একই সুবাসযুক্ত দুটি ফুল! একটি প্রস্ফুটিত হলে রবের হুকুমে আপাদমস্তক ঢেকে যায় সবকিছু। আর অন্যটি প্রস্ফুটিত হলে স্ত্রীসুলভ স্নিগ্ধ, কমনীয় ও মোহনীয় সৌন্দর্য আল্লাহ্'র সন্তুষ্টির জন্য শুধু স্বামীর সামনে উন্মোচিত হয়।
দৃশ্যপট-২ ছুটির দিনে তাসনুভার কাছে তার বর তাহমিদের আবদার- আজ সারাদিন সে শাড়ি পরে থাকবে। চুলে খোঁপা করে তাতে বেলি ফুলের মালা লাগাবে। দু'হাতে পরবে রেশমি চুড়ি। বিকেল বেলা বেড়াতে যাওয়ার সময়ে বোরকা-নিকাবের ভেতরে সেই শাড়ি পরা সাজটাই থাকবে। তাহমিদের এই অদ্ভূত আবদারে তাসনুভা কিছুটা আশ্চর্য বোধ করে জিজ্ঞেস করলো, " বাসায় না হয় তোমার জন্য শাড়ি পরলাম, কিন্তু বাইরে বোরকা-নিকাবের ভেতরে শাড়ি পরে সাজগোজ করে কী হবে?" "আমার স্বপ্ন মানবী ও প্রেয়সীর সাথে অতিবাহিত কিছু সুন্দর মুহূর্তে আমার আবদারে সে শাড়ি পরে আমাকে সঙ্গ দেবে যেটা শুধু আমিই জানবো আর অন্য কেউ নয়। আবার সেটার উপরে থাকবে আল্লাহ্'র হুকুম পালনের জন্য বোরকা নিকাবের আবরণ। ভেতরে কী আছে সেই ব্যাপারে ধারনা করার সামান্যতম সুযোগ কারো থাকবেনা!" তাহমিদের এমন উত্তরে তাসনুভার অন্তরটা জুড়িয়ে গেল। সকাল সকাল ফ্রেশ হয়ে একটা ফ্লোরাল প্রিন্টের জর্জেট শাড়ি পরে আকর্ষণীয় সাজে সাজলো তাসনুভা। আল্লাহ্'র হুকুম ও আত্মমর্যাদার চেতনায় বলীয়ান হয়ে অন্য কোনো পুরুষকে নিজের নারীত্বের আকর্ষণীয়, কমনীয় ও প্রলুব্ধকর সৌন্দর্য দেখার ও উপভোগ করার সুযোগ না দিতে সে বদ্ধ পরিকর ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অথচ শুধু তাহমিদের সামনে কোনও পর্দা নেই, শাড়ি পরার কারণে কোনো কিছু দেখা যাওয়া বা ঢেকে রাখা নিয়ে টেনশন নেই বরং সে আকৃষ্ট হয়ে তাকিয়ে থাকলে দুজনেরই নেকী---এসব কিছুই তাসনুভার সত্যনিষ্ঠ ও সহজাত নারীসুলভ অনুভূতিতে শিহরণ মিশ্রিত আনন্দের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। সে মনেপ্রাণে অনুভব করছে যে স্বামীর জন্য স্নিগ্ধতা, কমনীয়তা ও প্রশান্তিময়তার উৎস হয়ে নিবেদিত প্রেয়সীসুলভ অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলার মাঝেই তার শাড়ি পরিহিত সৌন্দর্যের সার্থকতা। শাড়ি পরে, সাজগোজ শেষে আয়নায় ফ্লোরাল প্রিন্টেড জর্জেট শাড়িতে নিজের কমনীয় ও লাস্যময়ী সাজ দেখে তাসনুভা মনে মনে বলে উঠলো, “নাহ্! আমি নাটক-সিনেমার কোনো রোমান্টিক নায়িকা নই! আর না আমি কোনো কবি-সাহিত্যিকের ফুটিয়ে তোলা কোনো কল্পিত স্বপ্নমানবী! এদের শাড়ি পরা রূপটা হল মাকাল ফলের মত। বাইরের কাংখিত রূপটা থাকলেও অন্তর্নিহিত মধুময়তা শূণ্য। আমি তো আল্লাহ্’র হুকুমের কাছে আত্মসমর্পণকারিণী, আনুগত্যের মস্তক অবনতকারী এক মুসলিমাহ্। আমার নিক্কাবসহ হিজাব পরিহিত রূপ আর সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে ধারণ করা এই শাড়ি পরিহিত রূপতো ভিন্ন আকৃতির কিন্তু একই সুবাসযুক্ত দুটি ফুল! একটি প্রস্ফুটিত হলে রবের হুকুমে আপাদমস্তক ঢেকে যায় সবকিছু। আর অন্যটি প্রস্ফুটিত হলে স্ত্রীসুলভ স্নিগ্ধ ও কমনীয় সৌন্দর্য শুধু স্বামীর জন্য উন্মোচিত হয়। বিকেল বেলা শাড়ির উপরে বোরকা নিকাব পরতে গিয়ে তাসনুভা এই ভেবে মনে মনে হাসলো যে শাড়ির উপরে বোরকা পরে বের হওয়াটা আগের জেনারেশনের মা-খালাদের কিংবা দাদী-নানীদের একটা ট্রেন্ড ছিল! তবে তারা আটপৌরে পোশাক হিসেবেই সারাদিন সবসময়ে শাড়ি পরে থাকতেন আর সেটার উপরেই বোরকা চাপিয়ে নিতেন। কিন্তু স্বামীর আবদারে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে বোরকা নিকাবের ভেতরে তাসনুভার শাড়ি পরার একটা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে যে কারনে এটাকে তার মোটেও সেকেলে কোনো বিষয় মনে হচ্ছেনা। বরং বোরকা-নিকাবের ভেতরে এই শাড়ি পরা অবস্থাটা তার কাছে আল্লাহ্'র হুকুম ও স্বামীর আবদারের সমন্বয়ে এক পূণ্যময়, বুদ্ধিদীপ্ত ও শিহরণ মাখা অত্যাধুনিক 'বোরকা-শাড়ি' ফ্যাশন বলেই অনুভব হচ্ছে। “বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ্” বলে স্বামী তাহমিদের হাত বেড়া বেরিয়ে পড়লো তাসনুভা।
দৃশ্যপট-১ ভীষণ শাড়ি পাগল মেয়ে তাসনুভা। নাইন-টেনে উঠার পর থেকে নিয়ে কলেজে ও ভার্সিটি লাইফের প্রথম দু'বছর প্রচুর শাড়ি পরতো। শাড়িতে ফুটে ওঠা নিবেদিত প্রেয়সীসুলভ, কমনীয় ও স্নিগ্ধ সৌন্দর্যে নিজেকে প্রকাশ করাটাকে খুবই উপভোগ করতো সে। তাইতো ইন্টারমিডিয়েট লাইফ এবং ভার্সিটি লাইফের প্রথম দু'বছর যেকোনও অনুষ্ঠানে, স্টাডি ট্যুর বা পিকনিকে শাড়িই ছিল তার প্রথম পছন্দ। এমনকি বিয়ের পরে বরের সাথে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে কপালে টিপ লাগিয়ে চুলে খোঁপা বা বেণী করে আবার কখনো চুল ছেড়ে রাখা সাজে নিজেকে কল্পনা করার সময়ে শাড়ি ছাড়া অন্য কিছুর কথা ভুলেও ভাবতে পারতো না তাসনুভা। যদিও ইসলামের পথে আসার পর ও পর্দার গুরুত্ব বোঝার পর আস্তে আস্তে শাড়ি পরাটা একদমই ছেড়ে দেয় তাসনুভা। দ্বীনি পরিমণ্ডলে পর্দা রক্ষার ক্ষেত্রে নেতিবাচক দিকগুলোর কারণে শাড়িকে সম্পূর্ন পরিত্যাজ্য হিসেবে গন্য করার প্রবনতা অনেকের মাঝে লক্ষ্য করেছে সে। তবে তাসনুভা তার হৃদয়ে এই সুপ্ত আকাংখাকে লালন করতে থাকে যে, বিয়ের পর স্বামী যদি পছন্দ করে তাহলে সে অবশ্যই অবশ্যই প্রাইভেসি বজায় রেখে শুধু স্বামীর সামনে শাড়ি পরবে। কারণ স্বামীর সামনে কোনও পর্দা নেই, তার সামনে শাড়ি পরলে কিছু ঢেকে রাখা বা দেখা যাওয়ার টেনশন নেই, বরং সে আকৃষ্ট হয়ে তাকিয়ে থাকলে দুজনেরই নেকী এসব ভেবে ভেবে এক অদ্ভূত শিহরণ মাখা আনন্দ অনুভব করতো । অন্যদিকে তাসনুভার বর তাহমিদ সেই টিনএজ বয়সে ইসলামের পথে গুটি গুটি পায়ে অগ্রসর হওয়ার সময় থেকেই আল্লাহ্'র কাছে একজন নেককার ও চক্ষুশীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার জন্য দুআ করতো। কিন্তু নিজের কল্পনার সেই স্বপ্নমানবীর যথাযথ অবয়ব হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে তাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তাহমিদ কখনো তার স্বপ্নমানবীকে কল্পনা করেছে নাটক-সিনেমার শাড়ি পরা কোনও নায়িকার বেশে। কখনো মুখ খোলা রাখা হিজাবীর বেশে। সবশেষে হিদায়াতের অনুভূতি দিয়ে যখন অন্তরের আবেগ আর আকাংখাগুলোকে পুরোপুরি শাসন করতে শিখলো তখন হিজাব-নিক্কাবে আবৃত অবয়বই হয়ে উঠলো হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত কল্পনার মানবীর সবচেয়ে কাঙ্খিত অবয়ব। আল্লাহ্ তাকে নিরাশ করেননি! দ্বীনের ওপর অটল অবিচল থেকে ধৈর্য, আত্মসংবরণ ও অব্যাহত দুআর মাধ্যমে আল্লাহ্'র পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে তাসনুভার মতো জীবনসঙ্গীনীকে সে পেয়েছে যার বোরকা পরিহিত রূপ আর শাড়ি পরিহিত অবস্থা একই গাছের ভিন্ন আকৃতির কিন্তু একই সুবাসযুক্ত দুটি ফুল! একটি প্রস্ফুটিত হলে রবের হুকুমে আপাদমস্তক ঢেকে যায় সবকিছু। আর অন্যটি প্রস্ফুটিত হলে স্ত্রীসুলভ স্নিগ্ধ, কমনীয় ও মোহনীয় সৌন্দর্য আল্লাহ্'র সন্তুষ্টির জন্য শুধু স্বামীর সামনে উন্মোচিত হয়।
দৃশ্যপট-২ ছুটির দিনে তাসনুভার কাছে তার বর তাহমিদের আবদার- আজ সারাদিন সে শাড়ি পরে থাকবে। চুলে খোঁপা করে তাতে বেলি ফুলের মালা লাগাবে। দু'হাতে পরবে রেশমি চুড়ি। বিকেল বেলা বেড়াতে যাওয়ার সময়ে বোরকা-নিকাবের ভেতরে সেই শাড়ি পরা সাজটাই থাকবে। তাহমিদের এই অদ্ভূত আবদারে তাসনুভা কিছুটা আশ্চর্য বোধ করে জিজ্ঞেস করলো, " বাসায় না হয় তোমার জন্য শাড়ি পরলাম, কিন্তু বাইরে বোরকা-নিকাবের ভেতরে শাড়ি পরে সাজগোজ করে কী হবে?" "আমার স্বপ্ন মানবী ও প্রেয়সীর সাথে অতিবাহিত কিছু সুন্দর মুহূর্তে আমার আবদারে সে শাড়ি পরে আমাকে সঙ্গ দেবে যেটা শুধু আমিই জানবো আর অন্য কেউ নয়। আবার সেটার উপরে থাকবে আল্লাহ্'র হুকুম পালনের জন্য বোরকা নিকাবের আবরণ। ভেতরে কী আছে সেই ব্যাপারে ধারনা করার সামান্যতম সুযোগ কারো থাকবেনা!" তাহমিদের এমন উত্তরে তাসনুভার অন্তরটা জুড়িয়ে গেল। সকাল সকাল ফ্রেশ হয়ে একটা ফ্লোরাল প্রিন্টের জর্জেট শাড়ি পরে আকর্ষণীয় সাজে সাজলো তাসনুভা। আল্লাহ্'র হুকুম ও আত্মমর্যাদার চেতনায় বলীয়ান হয়ে অন্য কোনো পুরুষকে নিজের নারীত্বের আকর্ষণীয়, কমনীয় ও প্রলুব্ধকর সৌন্দর্য দেখার ও উপভোগ করার সুযোগ না দিতে সে বদ্ধ পরিকর ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অথচ শুধু তাহমিদের সামনে কোনও পর্দা নেই, শাড়ি পরার কারণে কোনো কিছু দেখা যাওয়া বা ঢেকে রাখা নিয়ে টেনশন নেই বরং সে আকৃষ্ট হয়ে তাকিয়ে থাকলে দুজনেরই নেকী---এসব কিছুই তাসনুভার সত্যনিষ্ঠ ও সহজাত নারীসুলভ অনুভূতিতে শিহরণ মিশ্রিত আনন্দের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। সে মনেপ্রাণে অনুভব করছে যে স্বামীর জন্য স্নিগ্ধতা, কমনীয়তা ও প্রশান্তিময়তার উৎস হয়ে নিবেদিত প্রেয়সীসুলভ অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলার মাঝেই তার শাড়ি পরিহিত সৌন্দর্যের সার্থকতা। শাড়ি পরে, সাজগোজ শেষে আয়নায় ফ্লোরাল প্রিন্টেড জর্জেট শাড়িতে নিজের কমনীয় ও লাস্যময়ী সাজ দেখে তাসনুভা মনে মনে বলে উঠলো, “নাহ্! আমি নাটক-সিনেমার কোনো রোমান্টিক নায়িকা নই! আর না আমি কোনো কবি-সাহিত্যিকের ফুটিয়ে তোলা কোনো কল্পিত স্বপ্নমানবী! এদের শাড়ি পরা রূপটা হল মাকাল ফলের মত। বাইরের কাংখিত রূপটা থাকলেও অন্তর্নিহিত মধুময়তা শূণ্য। আমি তো আল্লাহ্’র হুকুমের কাছে আত্মসমর্পণকারিণী, আনুগত্যের মস্তক অবনতকারী এক মুসলিমাহ্। আমার নিক্কাবসহ হিজাব পরিহিত রূপ আর সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে ধারণ করা এই শাড়ি পরিহিত রূপতো ভিন্ন আকৃতির কিন্তু একই সুবাসযুক্ত দুটি ফুল! একটি প্রস্ফুটিত হলে রবের হুকুমে আপাদমস্তক ঢেকে যায় সবকিছু। আর অন্যটি প্রস্ফুটিত হলে স্ত্রীসুলভ স্নিগ্ধ ও কমনীয় সৌন্দর্য শুধু স্বামীর জন্য উন্মোচিত হয়। বিকেল বেলা শাড়ির উপরে বোরকা নিকাব পরতে গিয়ে তাসনুভা এই ভেবে মনে মনে হাসলো যে শাড়ির উপরে বোরকা পরে বের হওয়াটা আগের জেনারেশনের মা-খালাদের কিংবা দাদী-নানীদের একটা ট্রেন্ড ছিল! তবে তারা আটপৌরে পোশাক হিসেবেই সারাদিন সবসময়ে শাড়ি পরে থাকতেন আর সেটার উপরেই বোরকা চাপিয়ে নিতেন। কিন্তু স্বামীর আবদারে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে বোরকা নিকাবের ভেতরে তাসনুভার শাড়ি পরার একটা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে যে কারনে এটাকে তার মোটেও সেকেলে কোনো বিষয় মনে হচ্ছেনা। বরং বোরকা-নিকাবের ভেতরে এই শাড়ি পরা অবস্থাটা তার কাছে আল্লাহ্'র হুকুম ও স্বামীর আবদারের সমন্বয়ে এক পূণ্যময়, বুদ্ধিদীপ্ত ও শিহরণ মাখা অত্যাধুনিক 'বোরকা-শাড়ি' ফ্যাশন বলেই অনুভব হচ্ছে। “বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ্” বলে স্বামী তাহমিদের হাত বেড়া বেরিয়ে পড়লো তাসনুভা।
Valoi to....emni e bf gf er je ghoshaghoshi dekhi rastay....apnaro aro encourage korte thaken....haat to shobai dhorte pare pashe chole koyjon amn concept banaileo hoito....