রবীন্দ্র পক্ষে, রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে প্রকাশিত হল ‘৭০-এর দশকে জর্জদা’-র চতুর্ত্রিংশতিতম অর্থাৎ ৩৪-তম পর্ব। এবারের পর্বের নাম - ‘রবি প্রণামে দেবব্রত’। এই পর্বে যে ছয়-টি রবীন্দ্রসঙ্গীত আপনারা দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠে শুনবেন, সেগুলি রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে রবীন্দ্রনাথকেই নিবেদিত। এক অর্থে এ গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজা। এবং এ ছাড়া তো আমাদের উপায়ও নেই। এই ছয়-টি গানের মধ্যে দিয়েই দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠ অবলম্বন করে রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমার ব্যথার পূজা সমাপন করেছি। আরেকটি কথা এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই গানগুলি রবীন্দ্রসদনে জর্জদার একটি অনুষ্ঠানের অন্তর্গত। মূল অনুষ্ঠানে আরও বেশ কয়েকটি গান ছিল - তার থেকে ছয়-টি গান বেছে এবারের প্রতিবেদন সৃষ্টি করা হল। এই গানগুলির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই আলোদা - অর্থাৎ প্রয়াত আলো কুণ্ডু মহাশয় কে। দেবব্রত বিশ্বাসের এই প্রিয়পাত্রকে আমি ভুলতে পারি না - আজও ওঁর দুটি ফোন নম্বর আমার মোবাইলে বিদ্যমান।
এবারের আপলোডে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমি উপস্থাপিত করার চেষ্টা করেছি নানা রূপে। কখনো তাঁকে দেখেছি ফসল পূর্ণ ক্ষেতের ধারে বসে থাকতে, কখনো দেখেছি সমুদ্রের পাড়ে আবার কখনো দেখেছি বট গাছের তলায় উদাস চোখে নদীতে দিনান্তের শেষ খেয়ার দিকে চেয়ে থাকতে। প্রথাগত ছকের বাইরে রবীন্দ্রনাথের এই ভিন্ন রূপকল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে, তাহলে জানবো, আমার প্রয়াস সার্থকতা পেয়েছে।
আজ আর বাড়তি কিছু লিখতে মন চাইছে না। রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আবেগ, প্রণাম প্রকাশ করলাম আমার সামান্য দুর্বল লেখনীর মাধ্যমে।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
কূজনহীন কাননভূমি
দুয়ার দেওয়া সকল ঘরে
সেই সে এক ঝড়ের রাতে
একলা পাগল, একলা ফেরে
বিজুলি তার বীণার তারে
বৃষ্টিসুরে দেয় যে আখর
সে কোন ক্ষেপা যায় রে একা
খোঁজে সে কোন পরশপাথর
ডাক দিয়ে তাই বলি তারে,
'ঝড়ের রাতে, খুঁজিসটা কি?'
কালো হরিণ চক্ষু মেলে
বলে পাগল, 'খুঁজছি রবি।'
'দেখেছিলেম কোপাই পাড়ে,
দেখেছিলেম শালের বনে
শালপ্রাংশু মানুষটিকে
খুঁজে বেড়াই সকলখানে।'
'দুর্ভাগা এই দেশে আমার
কোথায় আলো? কোথায় রবি?
জন্মদিনে তোমায় বসাই
এ হেন ঠাঁই, নাই যে কবি।’
নমস্কারান্তে,
জয়ন্তানুজ ঘোষ
১১ই মে, ২০২৪
23 авг 2024
