রবি চৌধুরী এক সময় প্রিয় শিল্পী ছিল। আর আমি সহ ঐ প্রজন্মের কম বেশি সবাই তার গানের নিয়মিত শ্রোতা ছিলাম। সম্ভাবত ২০০৬ কিংবা ২০০৭ সালে অডিও প্লেয়ারে রবি চৌধুরীর ঘুরাও দু নয়ন এর গানগুলো অসংখ্য বার শুনেছিলাম। ইউটিউবের সৌজন্যে আবারও ভালো লাগিয়ে শুনলাম। সত্যি অসাধারণ। ওই সময় ডলি সায়ন্তনীর সাথে তার একটা রসায়ন ছিল, তা পত্রিকায় প্রায়ই চাউর হত এবং রসায়নের কারণে তার সাথে ডুয়েট এলবাম কিংবা গান প্রায়ই হিট হত। পত্রিকায় তাদের নেগেটিভ পজেটিভ রসায়ন নিয়ে লিখালিখির পরবর্তীতে তাদের যে এলবামে বের হত তা বেশি মাত্রায় হিট হত। আর আমরা শ্রোতারা রবির গান শুনে ফিল করতাম যে, গানের কথাগুলো ডলির দিকে ছুড়ে মারছে, আর ডলির এলবাম শুনলে মনে হত রবির দিকে ছুড়ে মারছে। বেশ ভালই লাগতো। এখনও শুনে তাই মনে হচ্ছে। আসলে তারা তো সেই আগের জীবনে নেই, বুড়ো বুড়ি হতে যাচ্ছে। তবুও তাদের গান শুনলে আগের সেই রসায়ন মেখেই শুনি। যার দরুন আগের মতই ভালো লাগে। তবে এতগুলো বছর পরে যে পার্থক্যটা উপলদ্ধি করেছি সেটা হল ফিলিংস। আগে আবেগ কিংবা ভাবাবেগের মাত্রা বেশি ছিল আর এখন কম কিন্তু বাস্তবতা ও বিবেকের মাত্রা বেশি। আগে গানের সুর তাল লয় ভাল লাগতো, আর এখন গানের কথা ভাল লাগে। তাই এখন গান শুনতে গেলে আগে ভালো মানের গীতিকার কিনা সেটা দেখি। তবে কথা ও জ্ঞান সমৃদ্ধ গান হলেতো কথাই নেই, যেমন- লালনগীতি, নজরুলগীতি, লোকগীতি ও রবীন্দ্রসংগীত।
