বৌদ্ধ কীর্তন সমূহ-
১. জয়তু বনভান্তে
২. রাঙামাটির মাটিতে মোরঘোনা গ্রামেতে
৩. আমি ঘুমের ঘোরে দেখিয়াছি ভগবান
৪. ভগবান, এটুকু আমার প্রার্থনা
৫. সাধনানন্দ বনভান্তে নাইরে কোন তুলনা
৬. বনভান্তের রাজবন বিহার
৭. জয় জয় বুদ্ধ পতাকা
শ্রদ্ধেয় বনভান্তের জীবনী নিয়ে বৌদ্ধ কীর্তন - "জয়তু বনভান্তে", শাক্য মিত্র বড়ুয়া Buddha Kirton By Shakya , নিজে শুনুন এবং শেয়ার করে অন্যকে দেখার ও শুনার সুযোগ করে দিন...ধন্যবাদ.
বৌদ্ধ ধর্মীয় কীর্তন ও সংগীত শিল্পী শাক্যমিত্র বড়ুয়া
শাক্যমিত্র বড়ুয়ার জন্ম ও পরিবার সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারিনি। তবে উনি ছিলেন এক মহান শিল্পী।
চট্টগ্রাম বেতার ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কীর্তন ও সংগীত শিল্পী বাউল সম্রাট শাক্যমিত্র বড়ুয়া মহোদয় ৩০ জানুয়ারী ২০১৫ ভোর ৪ টায় শেষ-নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং বৌদ্ধরা সঙ্গীত জগতের এক মহান অবিভাবককে হারালো ৷ প্রয়াত বাউল সম্রাট শাক্যমিত্র বড়ুয়া মহোদয়এর সেই কীর্তিময় হৃদয় ছোঁয়া সুরের কন্ঠে গাওয়া বৌদ্ধ কীর্তন আজীবন সবাই শুনে যাবে।যতদিন বৌদ্ধ কীর্তন থাকবে ততদিন শাক্যমিত্র বড়ুয়া মহোদয় নাম চির অম্লান থাকবে।
#BanaBante #RajbanaBihar #ShakyamitraBarua_BuddhaKirton
বুদ্ধ কীর্তন বাঙালির প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বুদ্ধ কীর্তন দেখতে হলে আপনাকে বৌদ্ধ পল্লীগুলোতে যেতে হবে। মূলত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তি মারা গেলে কিংবা মারা যাওয়ার কয়েকদিন পরে শ্রাদ্ধ বা সংঘদান অনুষ্টানের আগের রাতে গ্রামের সবাই মিলে বুদ্ধের জন্ম, মৃত্যু এবং জীবন নিয়ে নির্দিষ্ট কয়েকজন কীর্তনীয়া গান, কথার সুরে গান করে থাকে। মাটিতে পাটি বিছিয়ে সবাই গোল হয়ে বসে। মাঝখানে থাকে বড় একটা জায়গা যেখানে কীর্তনীয়া বা কবিয়ালরা বসে পান-বিড়ি খেতে খেতে মাথায় বুদ্ধি জমাতে থাকেন।
বাংলা ঢোল, হারমোনিয়াম, ঝুরি (পিতলের দুই টুকরোর বাদ্যযন্ত্র), বাঁশি আর মিলে গেলে বেলা। এইসব নানান যন্ত্রপাতি থাকে একটি গ্রাম্য বুদ্ধ কীর্তনে। চারপাশ ধরে কীর্তনীয়াদের ঘিরে বসে গ্রামের যুবক, যুবতী, বুড়ো এবং অন্যান্য মানুষজন। সাধারণত কীর্তনীয়া যারা থাকেন তারা সেদিন ধুতি-পাঞ্জাবি, পায়জামা-পাঞ্জাবি পড়ে থাকেন। গ্রামের সাধারণ মানুষরাও লুঙ্গি-শাড়ী পড়েই কীর্তন দেখতে যান।
নম: নম: বুদ্ধ নম, বুদ্ধাং সারানাং গাচ্ছামি এসব কথাকে গানের সুরে তুলে কীর্তনীয়ারা মূলত কীর্তন শুরু করেন আর সাথে সাথে সুর মিলিয়ে অন্যান্য সকল মানুষরা সেসব কথার সাঁই জ্ঞাপক করেন সুরে সুরে। একটি গ্রাম্য বুদ্ধ কীর্তন অবশ্যই মাইক এর মাধ্যমেই করে থাকেন। সেখানে উন্নত কোন সাউন্ড সিস্টেম থাকে না।
আমার মনে হয় যদি মাইক না দিয়ে উন্নত সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে বুদ্ধ কীর্তন করা হয় তাহলে বুদ্ধ কীর্তনের আসল রসবোধ হারিয়ে যাবে। যিনি হারমোনিয়ামে থাকেন ওনি মূলত মূল কীর্তনীয়ার গানের পর পর গান ধরে থাকেন এবং ওনার সাথে সাথেই সবাই গান করেন।
অসাধারণ বাংলা ঢোলের শব্দ আর বাঁশির সুরে আপনি কখনোই সাধারণ অবস্থায় বসে থাকতে পারবেন না, আপনার মনে হবে একটু তাদের সাথে গলা মিলিয়ে নিই আর একটু গা ঝাঁকা দিয়ে সুরে হারায়। তবে গলা মিলিয়ে নেওয়া এবং গা ঝাঁকানো আপনার পক্ষে একদম সহজ হবে কারণ কীর্তন যারা মন দিয়ে শুনবেন সবাই নিশ্চয় গান না ধরে এবং গা না ঝাঁকিয়ে বসে থাকতে পারবেন না সুতরাং তাদের সাথে এসব নির্দ্বিধায় মিলানো যায়।
একটি গ্রাম্য কীর্তনের মাধ্যমে আপনি মহামানব গৌতম বুদ্ধের জীবন, যৌবন এবং মৃত্যু পর্যন্ত সব ঘটনা খুব সহজেই জেনে যেতে পারেন। সংক্ষিপ্ত আকারে যেকোন একজন কীর্তনীয়া এসব বলতেই পারেন সচরাচর।
তাছাড়া যেটা অত্যান্ত মজার বিষয় সেটি হলো, যখন পালটা কীর্তন শুরু হয় তখন একজন একজন করে কীর্তনীয়া দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ বুদ্ধের নানান কাহিনী নিয়ে গান করেন এবং প্রতিপক্ষ কীর্তনীয়াকে দু-তিনটে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি মাইকের স্পিকার প্রতিপক্ষের হাতে দিয়ে দেন এবং প্রতিপক্ষ কীর্তনীয়া সেই প্রশ্নের উত্তর নানান অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ভাঙাতে ভাঙাতে উত্তর দেন।
আবার মাঝেমধ্যে আপনি লক্ষ্য করবেন অনেক প্রশ্নের উত্তর না জানার কারণে কীর্তনীয়ারা বইয়ের কথা টেনে আনেন এবং বলেন অনেক বই পড়েছি কোথাও পাইনি এই প্রশ্ন।
মাঝেমধ্যে দেখবেন কীর্তনীয়ারা অনেক কৌশলের মাধ্যমে তাদের কথা গানের মাধ্যমে সমাবেশকে বুঝিয়ে দেন। অসাধারণ সব অভিজ্ঞতা এবং নতুন অনেক কিছু জানার আগ্রহ জন্ম নেবে একটি প্রকৃত বুদ্ধ কীর্তন দেখার মধ্য দিয়ে।
Thanks for watching and subscription!
May Supreme Buddha bless us and save us from Mara/Soytan!
Regards -Rupak Barua
বৌদ্ধ শাসন চিরজীবি হোক ।
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
Sadhu 🙏🏻 Sadhu 🙏 Sadhu 🙏🏻
5 сен 2024