রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই সেতু উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত অনেক সহজ হলো। বিশেষ করে বুড়িমারী স্থলবন্দর এবং ভুটান ও নেপাল থেকে মালামাল আমদানি ও রফতানি অনেক সহজ হবে। কারণ লালমনিরহাট দিয়ে ঘুরে আসতে অন্তত ৬০/৭০ মাইল পথ ঘুরে আসতে হতো অথচ এ সেতু নির্মাণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হলো।’
তিস্তা সড়ক সেতু উদ্বোধন হওয়ার ফলে বুড়িমারী স্থল বন্দরের কার্যকারিতা অনেকে বেড়ে যাবে। ভারত, নেপালও ভুটানের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। অর্থনৈতিকভাবে এই দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশও লাভবান হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট জেলার কালেক্টরেট মাঠে জনসভাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর ফলক উদ্বোধন করেন। ২০১৪ সালের ৩১ জুন নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দুই দফায় সময় বৃদ্ধি করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ শেষে লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাভানা কন্সট্রাকশন-ডবি¬উএমসিজি।
তিস্তা সেতুর উত্তরপ্রান্ত থেকে লালমনিরহাটের কাকিনা মোড় পর্যন্ত ৫ দশমিক ২৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ৩টি কালভার্ট ও ২টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। অপরদিকে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর দক্ষিণপ্রান্ত থেকে রংপুরের বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ১টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
5 окт 2024