রাতে গানের ডালি অনুষ্ঠানে আবদুল আলিমের গান শোনার জন্য তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে বসে থাকতাম। আহ্ কি দরাজ কনঠের মানুষ ছিলেন তিনি।যুগের পর যুগ শুনলেও তৃষনা মিটে না।
আমি পশ্চিম বাংলা ভারত থেকে বলছি বাবলু শেখ আমার বয়স এখন 62 বছর কিন্তু আমি এই গান 55 বছর আগে শুনেছি তখন আমার বয়স ছিল মাত্র সাত থেকে আট তখন মাইকে রেকর্ডে গান বাজতো তাই আমি এই 55 বছর আগে গান শুনে এখনো আমি মনে রেখেছি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সুরকার গান এইটাই আমার সবথেকে ভালো লেগেছে আর এই 965 সালের যে চলচ্চিত্র ছিল এই চলচ্চিত্র আমি কুড়ি বছর যাবত খুজছি কিন্তু আজ আমি নেটে খুঁজে পেলাম বলে আমার মনটা যেন ভরে গেছে তাই এই পুরনো রেকর্ড সংগ্রহ করার জন্য আমাদের এই ইউটিউবার ভাইকে অনেক ধন্যবাদ মুর্শিদাবাদ ভারত
ছোট বেলায় পুরো পরিবার আলমাস সিনেমা হলে সিনেমা দেখেছিলাম। তখন টাকা কম ছিল কিন্তু মনে শান্তি ছিল। আজ আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। কিন্তু মা বাবা, ৩ ভাই বোন মারা গিয়েছে। সেই সাথে মনের ও দেহের সুখ বিদায় নিয়েছে।
বাল্যকাল আর কৈশোরে এসব গান বুঁদ হয়ে শুনতাম। যে কোন বিয়ে অনুষ্টানে মাইক লাগিয়ে এসব গান বাজানো হতো। জীবন ছিল কৃত্রিমতা ও জটিলতা বর্জিত । আহা ! সেসব দিন কতই না আনন্দের ছিল। ৫০ পেরিয়ে আজ আবার এসব সংগীত প্রান ছুয়ে যায়। কোথায় যেন আমাদের এ সরলতা, সহজতা, নির্মলতা হারিয়ে গেছে যা দখল করেছে সীমাহীন লোভ।
এ আমাদের অন্তরের সুর, সহজ সরল নির্ভেজাল জীবনের সেই সব দিনগুলো সত্য অনুভবের দিন ছিল। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেই পরিবেশ সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যর্থতা লোভ লালসা ধর্ম বিমুখতা এক অপরাধ প্রবণ সমাজব্যবস্থায় এখন আমরা বাস করতে বাধ্য হচ্ছি।
আব্দুল আলিম ও নিনা হামিদ ১৯৬৫ সালে রুপবান ছবির কলের গানের মধ্য দিয়ে গ্রাম বাংলাকে মাতিয়ে রাখতেন। বিয়ে বাড়িতে, মুসলমানীর (সুন্নত) অনুষ্ঠানে কলের গান না বাজলে মনেই হতোনা এ বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে। ৪০/৪৫ বছর আগের সেই হারানো দিনের গানগুলো আজো ভুলিনি,যতো বারই শুনতে চাই ততই ভালো লাগে। একমাত্র এ ছবিটি দেখার জন্য মাইলের পর মাইল হেঁটে গিয়ে হলে দেখতাম । কি মারপিট টিকেটের জন্য। ১০/১২জন দল বেধে একজনকে গাইট করতাম বাস ঠেকায় কে। সত্যি স্মৃতির পাতার আজো দাগ লেগে আছে। পরে অবশ্য রঙিন রূপবান কয়েকবার তৈরি করেছে কিন্তু রাজ্জাক- সুজাতার জুটির মতো জুটি হয়নি। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য স্মৃতিসরুপ মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য পোস্ট কারীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
আমরা আর একটু পরের প্রজন্মের। ১৯৮০ দশকে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় সকল গ্রামে আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল আলীম ও নীনা হামিদের গান বিয়ে বাড়িতে, মুসলমানী ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে ব্যাপকভাবে বাজানো হতো। আমাদের বাড়ি নদীর তীরে হওয়ায় ঐ গান আরো বেশি শোনার সুযোগ হয়। মানুষের মনে তখন আনন্দ উচ্ছ্বাস ছিল, ভালোবাসা ছিল এবং একে অপরের প্রতি সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং মধুর সামাজিক বন্ধন ছিল। ঐসব গানের সাথে সাথে এবং গ্রামীণ জীবনের সকল প্রাণের বন্ধন হারিয়ে গেছে। আপনার গ্রামের বাড়ি কোন উপজেলায়? ভালো থাকুন ইনশাল্লাহ।
আহা রে। সেই ছোট্ট বেলায় ছবিটা দেখেছিলাম। দাদির মুখে কাহিনীটা শুনে ছিলাম তার কাছে শুয়ে শুয়ে। আজ দাদি নেই, মা নেই, বাবা নেই, প্রিয় গোলজার ভাই নেই। শুধু স্মৃতি গুলো অঝোরে কাঁদে।
১৯৭৫ সালে কলেজ জীবনে এই ছবিটি দেখেছিলাম। খুবই মনোমূগ্ধকর ছবি।পরিচালক সালাউদ্দিনের এই ছবির মূল ভূমিকায় ছিল সুজাতা ও মনসুর। আজকের এই গানগুলো সত্যিই কিছুক্ষণের জন্য হলেও অতীতের ঐ দিনগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিল।
কী অপূর্ব মধুনির্ঝর কণ্ঠ। এ কণ্ঠস্বর বক্ষ বিদীর্ণ করে হৃদয়ের অন্তঃস্থল এ প্রবেশ করে ও মরম বিদ্ধ করে। বাঙলা পল্লী সংগীতে এরকম কণ্ঠশিল্পী ক্ষণজন্মা ও বিরল। ---------কোলকাতা থেকে।
ক্যামনে পাবেন, আব্দুল আলীম তো একজন। এরা বারবার জন্মায় না ! এটা পল্লীগীতি , ভাওয়াইয়া নয়। পল্লীগীতি ভাওয়াইয়া গানের প্রধান পার্থক্য - স্বর ভংগ, পল্লীগীতিতে স্বর ভংগ হয় না, ভাওয়াইয়া গানে স্বর ভংগ হয়। এটা মনে রাখলে পার্থক্য বুঝতে সহজ হয়।
আগের সবকিছুই সহজ সরল ছিল সহজ সরল ছিল মানুষের জীবন গুলো ছিলোনা অভিমান ছিলোনা কোন ছলনা মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ছিলো অনেক গভীর ' তাই আমার মন কাঁদে ফিরে যেতে চাই সেই জীবনে যেখানে শুধু সুখ আর সুখ ছিল ৷৷ ধন্যবাদ ভাই
Thank you .....................আগের সবকিছুই সহজ সরল ছিল সহজ সরল ছিল মানুষের জীবন গুলো ছিলোনা অভিমান ছিলোনা কোন ছলনা মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ছিলো অনেক গভীর ' তাই আমার মন কাঁদে ফিরে যেতে চাই সেই জীবনে যেখানে শুধু সুখ আর সুখ ছিল ৷৷ ধন্যবাদ ভাই
ছোট বেলায় খুব শুনতাম এইসব গান। অনুষ্ঠান বাড়িতে মাইক বাজিয়ে রূপবান যাত্রা পালা চলত। পরে সিনেমা বের করেছে। গান গুলি অসাধারণ গেয়েছেন ভাটিয়ালি শিল্পী শ্রদ্ধেয় আব্দুল আলীম সাহেব ও নীনা হামিদ। শ্রদ্ধা জানাই অমর শিল্পীদের।
শ্রদ্ধেয় মনসুর সাহেব গত হয়েছেন ২ বছর হতে চলল। আজ যদি উনি বেঁচে থাকতেন আমরা আরো অনেক গান পেতাম উনার চ্যানেলে। মনসুর সাহেবের আত্মার শান্তি প্রার্থনা করছি।
খুব ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে বসে রেডিওতে এবং কলেরগানে এই সব গান শুনতাম এবং সাথে সাথে গলা মিলিয়ে কতো গান করতাম। সেই দিন গুলো খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় ছিল। নমস্কার।
এই রূপবান ছবি দেখার জন্য কত কষ্ট আর আনন্দ নিয়ে পাঁচ / ছয় কিলোমিটার পায়ে হেটে রাতে দোলপূর্ণিমায় আসা সিনেমা দেখতে যেতাম। সেই দিনের অন্যরকম একটা অনুভূতি ছিলো। আর হয়তো কোনদিন ফিরে আসবে না।
Whenever I listen those songs, those songs take me away across the Atlantic ocean from US to Victoria college which is in Comilla where I passed romantic and golden period of my life. Moreover, whenever any kind of arguments or bargaining arise with my wife who does not understand bengali that much , at that time I listen those songs and cry. Thereafter according to the last song of that series (No.9. Dhyukha je moner maje aanila aamaar..........) I just pray for her.
এই গান গুলো যখন শুনি তখন মনে চলে যায় সোনালী দিনগুলোর কিছু আনন্দময় মুহূর্তে কথা খুব বেশি মনে পড়ে যায় । পৃথিবী যত দিন থাকবে মানুষের মনে গাঁতা থাকবে এ গান গুলো ।
আলকাছ মামা,যাকে নিজের আপন মামা বলেই জানতাম ছোট বয়সে,পর বড় হয়ে জানি তিনি মা'য়ের একমাত্র ফুপাতো ছোট ভাই, এতো মায়া,এতো আদর মামা করতেন এখন বুঝি, বর্তমানে যা কল্পনাতীত,আমি খুবই চোট ছিলাম( হাঁটতে পারি)মামার বাড়িতে গেলে মামা ছাড়া কিছুই বুঝতাম না,কান্না করলে মামা ছাড়া আর কেউ থামাতে পারতোনা,তখন আমন ফসল ছাড়া বৃষ্টি নির্ভর একটি ফসল হতো আউশ ফসল বলা হতো,মামা ভোরে উঠে নামাজ পড়ে আউশ ক্ষেতে আঁচড়া দিতে যেতেন,আমাকে ফেলে তো যেতেই পারতেন না,মামা নামাজে জোরে জোরে কেরাত( শব্দকরে)পড়তেন, আর তাতেই আমি টের পেয়ে উঠে যেতাম,আর কি আমায় রেখে মামা যেতেই পারতেন না,মামা নির্দ্বিধায় আমাকে কাঁধে তুলে ঘাঁড়ের দু,পাশে দু,পা দিয়ে বসিয়ে দিতেন,আমি মামার মাথার চুল ধরে বসে থাকতাম,মামা রুপবান ছবির সব গুলো গান খুবই সুন্দর করে গাইতে পারতেন,আমাকে কাঁধে করে মামা কাজ করতে কোন অসুবিধা মনে করতেন না,মা,নানী,মামী সবাই নিষেধ করলেও মামা কারো কথা শুনতেন না,মামার আদর কাকে বলে আমি পুরোপুরি পেয়েছি,মামার সেই' ফাঁন্দে পড়িতে বগা কাঁন্দেরে...'অপূর্ব সে গান ভূলার নয়, আপন মামা (মায়ের আপন ভাই) তাদেরকে চিনতামও না, মামা ছোট বয়সে পিতৃ হারা ছিলেন, নানু আর বিয়ে করেননি,বাপের বাড়ি চলে আসেন এক ছেলের দিকে তাকিয়ে জীবন পার করে দেন,নানুর আদর,মামার আদর এতো বেশী ছিল যে গেলে আসতে চাইতাম না,হায় বাল্য স্মৃতি খুবই মধুর, ও কষ্টের,আজ তাঁরা কেউ নেই,মা,বাবা,নানা,নানী,প্রিয় মামা,নেই কেউ নেই, "আল্লাহ" তাঁদের কে জান্নাতের উচ্চ মাকামে স্হান দাও,আমিন।
যে আদর স্নেহ মায়া মমতার বিবরণ আপনি দিয়েছেন তা নিতান্তই অকৃত্রিম ও বাস্তব। একদিন আমাদের জীবন ঠিক এমনই মমতায় ঘেরা ছিল। যা স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মনে হবে অবাস্তব ও অকল্পনীয়।
জীবনের প্রথম শুনেছি রেডিওতে,, রেডিওতে রাতের ১০ টার পরে পল্লিগীতি গান দিতো,, শৈশবের আজ শুধু সৃতি,,, অনেক সুন্দর ছিলো ১৯৮৮ - ১৯৯০ সন,,, আর কলের গান আরো ভালো লাগতো,,
+ Azad Kalam : ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ। কিন্তু কি করার আছে বলুন ? আগামীতে হয়তো এখনকার গান ভালো লাগবে। সম্ভবত এভাবেই চলবে। কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। ওল্ড ইজ অলওয়েজ গোল্ড।
Thankyou Mansur bhai for those heart touching tunes. Looking at the picture where rupbaan carrying the baby in the picture. Reminds me when mum was carrying me like that when i was baby. Brings tears to your eyes.😥 No chance of turning back the time. Thanks again, salaam.
Thanks to Producer & Director who has produced and offered us such a song. Thanks to singers (Abdul Alim & Nina Hamid) as well from Tallinn, Estonia, Europe.
সে সময়ের বাংলার শ্রেষ্ট ভাওয়াইয়া কন্ঠ শিল্পী মরহুম আব্দুল আলিম ও কন্ঠ শিল্পী নিনা হামিদ দুইজনই চির স্মরনীয় ও বরণীয় তো বটেই বিশেষ করে ছায়া ছবি রুপবান, গুনাই বিবি,এসব পুরানা ফ্লিম দেশের সম্পদ। যদি আবার দেখতে পারতাম কতই না ভালো লাগতো। জানি না সেগুলো এখন কারও সংগ্রহে আছে কি না?
A master peace of burning of heart. the film touched the hearts of all. It ran in the cinema hall 5 to 7 years. every one used to come out in tears.. It is realy nostalgic those who watched the film.
I remember great music director Kuti Munsur of Rupban with due respect. & Abdul Alim great singer. Dada Sattah.shah composer lyric of the song was famous composer of Bangla song.