ODI ক্রিকেটে সেরা ৯ জন অলরাউন্ডার যারা তাদের দেশের মধ্যে সর্বকালের সেরা 

ক্রিকেটের ইতিহাসে অনেক অলরাউন্ডার ছিলেন, যারা প্রায় একাই নিজেদের দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারতেন। Golpo Kotha'র প্রচারিত ভিডিও গুলো ভাল লাগলে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করবেন প্লিজ। Subscribe to our channel: goo.gl/IxkDlw
যেকোনো অলরাউন্ডারের জন্য বল ও ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করে যাওয়া সব সময়ে খুব সহজ নয়, তবে একেবারে দুর্লভও নয়।তাহলে চলুন বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিই ওয়ানডে ক্রিকেটে শীর্ষ ৯ টি দলের সেরা ৯ জন অলরাউন্ডার সম্পর্কে যারা তাদের দেশকে অনেক জয় এনে দিয়েছিলেন
সনাৎ জয়সুরিয়া (শ্রীলঙ্কা)
ওডিআইতে সনাৎ জয়সুরিয়ার নামের পাশে ১৩ হাজার ৪৩০ রান ও ৩২৩টি উইকেট রয়েছে, যা তাকে শ্রীলঙ্কার সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট। জয়সুরিয়া ক্রিকেট বিশ্বে সাধারণত বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি বল হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। বিশেষ করে ডেড ওভারে তার বল খুবই কার্যকরী ছিল।
তবে শ্রীলঙ্কার ওডিআই ইতিহাসে জয়সুরিয়া ছাড়াও তিলকারত্নে দিলশান ও চামিন্দা ভাসের মতো অলরাউন্ডারও ছিলেন। তবে তিনি যে শ্রীলঙ্কার সেরা ওডিআই অলরাউন্ডার, এ বিষয়ে কারো কোনো সন্দেহ নেই বললেই চলে।
কার্ল হুপার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
অনেকের মতে, বিংশ শতাব্দির ওডিআই ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্ল হুপার। তিনি তার ক্যারিয়ারে মোট ২২৭টি ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৫ হাজার ৭৬১ রান করেছেন, বল হাতে ১৯৩টি উইকেট নিয়েছেন এবং ফিল্ডার হিসেবে ১২০টি ক্যাচ নিয়েছেন।
হুপার ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ও অফস্পিন বোলার। তার সময়ে তাকে একই সাথে স্টিভ ওয়াহ ও শেন ওয়ার্নের সাথে তুলনা করা হতো। ওডিআইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা এই অলরাউন্ডার তার অভিষেক ম্যাচ খেলেন ১৯৮৭ সালে। তিনি তার দ্বিতীয় ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন।
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
ক্রিকেটে বাংলাদেশ বর্তমান অবস্থানে আসার পেছনে যে কয়েকজন ক্রিকেটারের কথা বিশেষভাবে বলতে হবে, তাদের মধ্যে সাকিব আল হাসান একজন। বাংলাদেশের সেরা এই অলরাউন্ডার দীর্ঘদিন সকল ফরম্যাটের ক্রিকেটের শীর্ষ অলরাউন্ডার ছিলেন এবং এখনো তিনি ওডিআইতে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন।
অভিষেকের পর থেকেই তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে ধারাবাহিকভাবে খেলে যাচ্ছেন। ওডিআইতে তার নামের পাশে ৫ হাজারের বেশি রান, দুই শতাধিক উইকেট ও ৪৫টি ক্যাচ রয়েছে। সাকিব একই সাথে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন। তবে ব্যাটের চেয়ে তার বোলিং অধিক কার্যকরী।
শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া)
শেন ওয়াটসন তার ক্যারিয়ারে মোট ১৯০টি ওডিআই ম্যাচ খেলে ৫ হাজার ৭৫৭ রান করেছেন এবং ১৬৮টি উইকেট নিয়েছেন। ক্যারিয়ারের বড় একটি সময় খেলার পাদপ্রদীপের বাইরে থাকলেও তিনি তার প্রতিভা দিয়ে ঠিকই সেরাদের মাঝে জায়গা করে নিয়েছিলেন ।
জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
জ্যাক ক্যালিস শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা অলরাউন্ডার নন, বলতে গেলে তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা পাঁচজন অলরাউন্ডারের মধ্যে একজন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর একটানা খেলে গেছেন এবং এখন পর্যন্ত প্রোটিয়া দলে তার জায়গা কেউ নিতে পারেননি।
ক্যালিস তার দেড় যুগের ক্যারিয়ারে ৩২৮টি ওডিআই ম্যাচ খেলে মোট ১১ হাজার ৫৭৯ রান করেছেন। এর মধ্যে ১৭টি শতক এবং ৮৬টি অর্ধশতক রয়েছে। এছাড়া বল হাতে তিনি ২৭৩টি উইকেট নিয়েছেন।
ক্রিস হ্যারিস (নিউজিল্যান্ড)
নিউজিল্যান্ডের ওডিআই ক্রিকেটে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ক্রিস হ্যারিসের নাম খুব কম মানুষই শুনেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি খু্ব বেশি পরিচিত না হলেও ক্রিকেটে তার অর্জন ছিল ঈর্ষণীয়। ১৯৯০ সালে কিউইদের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় হ্যারিসের। ২০০৪ সালে কাঁধের ইনজুরির কারণে তিনি ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান।
ক্রিস হ্যারিস তার ক্যারিয়ারে ২৫০টি ওডিআই ম্যাচ খেলে ৪ হাজার ৩৭৯ রান করেছেন ও ২০৩টি উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ১৩০ রান করেছেন সাত নম্বরে ব্যাট করে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার ১৩০ রানের ইনিংসটি এখনো অনেক ক্রিকেট ভক্তকে নাড়া দেয়। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যাচটি নিউজিল্যান্ড হেরে যায়।
শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির অন্য নাম বুম বুম আফ্রিদি। গেইল বা ডি ভিলিয়ার্সদের আগমনের আগে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান বলতে সবাই আফ্রিদিকেই বুঝতেন। তবে তিনি শুধুমাত্র ব্যাট হাতে ঝলক দেখাননি, বল হাতেও সমান সফলতা পেয়েছেন।
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (ইংল্যান্ড)
ইংলিশ ক্রিকেটে ইয়ান বোথামের পর অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ছিলেন সবচেয়ে সেরা অলরাউন্ডার। ব্যাট ও বল হাতে সমান দক্ষ এই ক্রিকেটার তার সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ক্রিকেটার ছিলেন। ব্যাট হাতে একইসাথে স্পিন ও পেস আক্রমণ মোকাবেলা করে প্রচুর রান করেছেন তিনি।
ফ্লিনটফ তার দশ বছরের ওডিআই ক্যারিয়ারে মাত্র ১৪১টি ম্যাচ খেলে ৩ হাজার ৩৯৪ রান করেছেন এবং ১৬৯টি উইকেট নিয়েছেন। ফ্লিনটফ অবসর নেওয়ার পর থেকে এখনো তার জায়গায় যোগ্য কাউকে পায়নি ইংল্যান্ড।
কপিল দেব (ভারত)
ওডিআইতে ভারতের হয়ে অনেক বিখ্যাত অলরাউন্ডার খেলেছেন। কিন্তু তাদের কেউ কপিল দেবকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। অনেকের মতেই তিনি ভারতের শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার। ভারতীয় ক্রিকেট বর্তমান যে অবস্থানে রয়েছে, সে পর্যন্ত নিয়ে আসার পেছনে যে কয়জন ক্রিকেটারের বড় ভূমিকা রয়েছে, তাদের মধ্যে কপিল দেব একজন। ভারতের হয়ে তার বড় অর্জন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়।
লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন। দেখতে থাকুন আমাদের প্রোগ্রাম।
Our Goople Plus Page: plus.google.co...
RU-vid Channel: / golpokotha
Twitter: / caught_camera
Website: allbanglanewspa...
Pinterest: / golpokotha
For any kinds of issue please contact us at admin@allbanglanewspaper.today