পাবলাখালী অভয়ারণ্য
====================
বাংলাদেশের যে ক’টি বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্যে পর্যটকদের আনাগোনা খুবই কম, পাবলাখালী তাদের মধ্যে অন্যতম। পাবলাখালী বাংলাদেশের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। সুন্দরবনের পরে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংরক্ষিত বন। বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের সংরক্ষিত বন এলাকার তালিকা অনুযায়ী পাবলাখালী বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্যের আয়তন ৪২ হাজার ৮৭ হেক্টর। পাবলাখালী পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে রাঙামাটি শহর থেকে ১১২ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের একেবারে উত্তর প্রান্তে কাসালং নদীর পাশে অবস্থিত। রাঙামাটি জেলার কাসালং রেঞ্জের দক্ষিণ-পূর্বে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সীমানা অবধি পৌঁছেছে অভয়ারণ্যটির সীমানা। যেখানে হাতিসহ প্রায় কয়েক হাজার প্রাজাতির বন্যপ্রাণি আর পাখির বসবাস। জলাভূমি হিসেবেও জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ। পাবলাখালী অভয়ারণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালের জুন মাসে। ১৯৮৩ সালে ঘোষিত হয় বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্য হিসেবে।
পার্বত্য জেলা রাঙামাটির শেষপ্রান্তে এ বন্যপ্রাণি অভয়াশ্রমটি জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। একসময় এ বনের উল্লেখযোগ্য বাসিন্দা ছিল বন্যহাতি, গয়াল বা পাহাড়ি গরু, সাম্বার হরিণ, কালচিতা বাঘ, বন্য কুকুর, বানর, হনুমান, উল্লুুক, এশিয়ার ভাল্লুুক, বন্য শুকর এমনকি বেঙ্গল টাইগার বা ডোরাকাটা বাঘও। এদের মধ্যে কিছু প্রাণি বন থেকে হারিয়ে গেলেও এখনও দেখা মেলে বুনো হাতি, বিভিন্ন প্রজাতির বানর, উল্লুক, বুনো কুকুর, বন্য শুকর, সাম্বার হরিণ, বনরুই প্রভৃতির। এছাড়া এ বনে আরও আছে নানান জাতের পাখ-পাখালি।
পাবলাখালী মূলত পাহাড়ি বন। কোথাও কোথাও বনের ভেতরের পাহাড় চূঁড়ার উচ্চতা ১০০০-১১০০ ফুটের মতো। পাহাড়ি ঢালু এ বনে আছে আদি গর্জন, জারুল, চম্বল, সেগুন, কাঞ্চন, চাপালিশ ইত্যাদি ধরনের গাছ।
7 окт 2024