গুপ্তিপাড়ায় সরোজমোহন ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলোজি কলেজে আমার ভাই পড়তো। সেই সুবাদে বেশ কয়েকবার ওখানে গেছি। কিন্তু গুপ্তিপাড়ায় যে এতসব ঐতিহাসিক মন্দির, জমিদার বাড়ি আর স্থাপত্য রয়েছে সেটা জানতুম না। আপনাদের চ্যানেলে প্রথমবার দেখে জানতে পারলুম। খুব খুব সুন্দর লাগলো দাদা। আগামী দিনে সাবেকি বাংলার সমস্ত ঐতিহাসিক মন্দির, মঠ, জমিদার আর রাজবাড়ি গুলো ও বনেদি বাড়ির দুর্গা, কালি আর জগধাত্রি পূজাগুলো আপনাদের চ্যানেলে দেখতে চাই।
আমার আত্মার সাথে মিশে আছে গুপ্তিপাড়া। আমার মামার বাড়ি ছিল। ৩ বছর বয়েস থেকে যেতাম। বছরে ২ বার। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর অনেক বার করে গিয়েছি। স্টেশন রোডের ওপর অনেকখানি জায়গা নিয়ে আমার মামার বাড়ি ছিল। ভান্ডার লুট, রথের মেলা এগুলো এখনো ভুলতে পারিনি। আমার মামা ওখানকার একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এখনো ভুলতে পারেননি হয়ত অনেকেই। চিত্তরঞ্জন দাশ গুপ্ত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এই নামটাই একটা নস্টালজিয়া আমার কাছে।❤❤❤
সন্ধ্যা 6:52 কাটোয়া - হাওড়া লোকাল। এছাড়াও কাটোয়া থেকে ব্যান্ডেল যাবার ট্রেন আছে অনেক গুলো। আমি "where is my train" app টি ব্যবহার করি। ওতে আরও তথ্য পাবেন। ঘুরে আসবেন, ভালো লাগবে।
আপনার চোখ দিয়ে গুপ্তিপাড়া দর্শন হল। কর্ম সুত্রে সারা ভারত ঘুরেছি, নিজের রাজ্যের অনেক কিছুই দেখা হয়ে ওঠেনি। Background music and voice-over রুচিশীল এবং সুশ্রাব্য। ধন্যবাদ এবং নমস্কার।
নিজের গ্রাম কে, এইভাবে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো, তবে ভান্ডার লুঠের তথ্যটি ভুল বললেন, প্রতিটি হাঁড়িতে পাঁচ কেজি থাকে না, বিভিন্ন মাপের সড়া ও হাঁড়ি থাকে,আর ভোগ বিলানো হয় না,ওটা লুটপাট হয়, এবং এটা আর কোথাও হয় না তাই ভাণ্ডার লুঠ দেখতে প্রচুরসংখ্যক মানুষের আগমন ঘটে।এ ছাড়াও আরো একটি অনুষ্ঠান বাদ গেছে, সেটা হলো মা লক্ষ্মী ও রাজা বৃন্দাবন চন্দ্র জগন্নাথ দেব কে মাসির বাড়ি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসেন, কিন্তু প্রভু ফিরে যান না,তাই ভান্ডার লুঠের ব্যবস্থা।
অসংখ্য ধন্যবাদ। তথ্য সংগ্রহ করতে অনেক সূত্রের সাহায্য নিতে হয়। তা সব সময় সঠিক হয় না, এটি বোঝাই যাচ্ছে। আপনার মতো স্থানীয় মানুষরা সেই ভুল ভ্রান্তি ধরিয়ে দিলে আমরা সত্যিই উপকৃত হই। আমি চেষ্টা করব description এ সঠিক তথ্য গুলি দিয়ে দিতে। আবার একবার ধ্যনবাদ জানাই আমার প্রয়াস ভাল লাগার জন্য ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবার জন্য।
অসাধারণ উপস্থাপনা। কিন্তু গুপ্তিপাড়ার সার্বজনীন যে পুজোটা প্রথম হয়েছিল দুর্গাপুজো নয় জগদ্ধাত্রী পুজো। ওখানে যতবার গিয়েছি সেটাই জেনেছি এবং তৎকালীন হুগলি জেলার গেজেটে এই বিষয়টির উল্লেখও আছে।
আপনাদের ভালো লেগেছে এটা বোধহয় সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। মোহনলাল সম্বন্ধে সহজে কোনও তথ্য জোগাড় করতে পারিনি। তাই আর কিছু বলতে পারিনি। তবে পেলে নিশ্চই তা description box এ যোগ করে দেব। আবারও ধন্যবাদ জানাই। চোখ রাখুন পরের গুলিতে।
থাকার মতো ভালো ব্যবস্থা কিছু দেখলাম না। সুলেমান সাধু র আশ্রমে থাকার ব্যবস্থা আছে। খুবই সাধারণ ব্যবস্থা, আর জায়গাটা বড় নির্জন। তাছাড়া ওই জায়গাটা দূরও হবে। পুজোর সময় দিনের দিন কলকাতা থেকে ঘুরে নেওয়াই ভালো হবে। এছাড়া WBTDC র জেলার পুজো tour এ গুপ্তিপাড়া নিয়ে যায়।
রীঁ বিন্ধ্যবাসিনী মায়ের পূজোটা শারদীয়া দুর্গাপূজো নয় , শ্রীশ্রীজগদ্ধাত্রীপূজো। বাংলার প্রাচীনতম দুর্গাপূজো গুপ্তিপাড়ার দুর্গাবাড়ীর, আনুমানিক 576বছর, তবে সেটা বারোয়ারী নয়।
খবর জেনে বলুন। এটা কীর্ত্তিচন্দ্রসেনের বাড়ি নয়.. এর পাশ দিয়ে যে রাস্তা..সোজা চলে যান..ঝকঝকে 'সেন বাড়ি' বলে প্রসিদ্ধ যে বাড়ি...যেখানে দুর্গাপুজা দেখার মত। এই বাড়ি সেনেদের হলেও এমন বাড়ি অনেক আছে। এটি প্রথম গার্লস স্কুল।
রাজা বিশ্বেশ্বর সেন রায়ের জমিতে এই মন্দির ও এই চৈতন্য মন্দির তিনিই নির্মাণ করে বৃন্দাবনচন্দ্রকে রাখা হয়। পরে অন্য মন্দির নির্মাণ হলে ওটি চৈতন্যদেবের মন্দির করা হয়। বিশ্বেশ্বর সেন রায়ের এই মন্দির তৈরী হবার আগেই মারা যান।
প্রথম বারোয়ারীর উৎপত্তিস্হল গুপ্তিপাড়া কিন্তু দুর্গাপুজো নয় জগদ্ধাত্রী পুজো..বিন্ধবাসিনীর মন্দির টাই এই পুজাস্হল। দুর্গাপুজো এখানে হয়নি কোনদিনই। কেউ ভুল বললে আমি ঠিক করে দিই কারণ আমার পূর্বপুরুষ রাজা বিশ্বেশ্বর সেন রায়। আমাদের পুরুষানুক্রমে বাস করা এই গুপ্তিপাড়া।
এদিক সেদিক খুঁজে চেষ্টা করি তথ্য জোগাড় করার। সঠিক তথ্য কি না যাচাই করার সুযোগ থাকে না। আপনাদের মত মানুষেরা আমাকে সমৃদ্ধ করেন। এই বাড়িটির বা আরও এরকম অন্যান্য স্থান সম্বন্ধে তথ্য যদি share করেন বিশেষ উপকৃত হব। এবং ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। সব থেকে ভাল লাগলো আপনি পুরো প্রতিবেদনটি দেখেছেন, তবেই ভুলটি লক্ষ্য করেছেন। আপনাকে সেই জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
@@pranabsasmal4142 নমস্কার। আপনাদের চেষ্টাও থাকে মানুষের কাছে এই পুরনো মন্দিরের ছবি পৌঁছে দেওয়ার। ভাণ্ডার লুঠের দিন সব আয়োজক ও পুরোহিতরা,যাঁরা আমার সমবয়সী,তাঁদের সঙ্গে। বেশ কিছু ইউটিউবার দের এরকম তথ্য দেওয়া হয় যে গুলোর মধ্যে ভুল থাকে। আমারদের এমনকি বাবা জেঠাদের সময় শুনিনি গুপো বা ভোলা ময়রার অস্তিত্ব সম্পর্কে। গুপ্তিপাড়ার পক্কান্ন, নিঁখুতি ও মাখা সন্দেশ বিখ্যাত। গুপো বলতে কিছুই ছিলনা..ওটা আমরা পুজো দিতে কিনতাম , মাখা সন্দেশ বেশী চিনি দিয়ে পাক করে শক্ত করে..চ্যাপ্টা করে জোড়া...সেটাই হঠাৎই গুপো নামে ইউটিউবে আত্মপ্রকাশ করেছে..কার হাত ধরে জানিনা.. এবার দেখি ব্যানার টাঙান..আমরা একটা আলোচনা করছিলাম যে মানুষের বিশ্বাস নিয়ে। এমন কে করছে এত কেন দাম বাড়ানো হচ্ছে? তেমনই ঐ বাড়িটাকে বিখ্যাত সেনবাড়ী দুর্গামণ্ডপ ছিল এই সব বলা হচ্ছে। ঠিক তথ্য আপনাদের দেয়া হচ্ছেনা। আমি আপনাকে অনেকবার ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্যে লিখেছি।
@@jhumabhattacharya9869 যদি দয়া করে একটু সবিস্তারে জানালে , তাহলে আমিও জানবো ও অন্যরাও জানবে। সম্ভব হলে গুপ্তিপাড়া র অন্যান্য দ্রষ্টব্য নিয়ে আরও একটি video করার চেষ্টা করব।
দুশো টাকা ঘণ্টা প্রতি। তারপর দর দাম করতে হয়। তবে থোক এ ঠিক করাও যায়। সে ক্ষেত্রে মোটামুটি কত ঘণ্টা লাগবে জেনে নেওয়া ভালো। আমার ঘণ্টা তিনেকের একটু বেশিই লেগেছিল, ছবি তোলার জন্য।