ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুটি স্থলবন্দর হল চেংরাবান্ধা ও ফুলবাড়ি।দার্জিলিং,শিলিগুড়ি ও সিকিম যেতে চাইলে যে দুটি স্থলবন্দর শিলিগুড়ি শহর থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে তা হল ফুলবাড়ী ও চেংরাবান্ধা স্থলবন্দর।আর দার্জিলিং বা সিকিম যেখানেই বেড়াতে যান শিলিগুড়ি হয়েই যেতে হবে।তাই,এই দুটি স্থলবন্দরের কিছু সুবিধা অসুবিধা তুলে ধরার চেষ্টা করব যাতে আপনাদের পোর্ট সিলেকশনের সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।
পরিচিতি:
✔️ভারতীয় অংশ-চেংরাবান্ধা বর্ডার
জেলা-কুচবিহার, রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ
বর্ডার থেকে শিলিগুড়ি- ৮১ কি:মি ( ২ ঘন্টা লাগবে )
বাংলাদেশ অংশ- বুড়িমারী বর্ডার
জেলা-লালমনিরহাট
✔️ভারতীয় অংশ- ফুলবাড়ী বর্ডার
জেলা-জলপাইগুড়ি, রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ
বর্ডার থেকে শিলিগুড়ি - ১২ কি: মি (২৫ মিনিট লাগবে)
বাংলাদেশ অংশ- বাংলাবান্ধা বর্ডার
জেলা- পন্চগড়
ঢাকা থেকে যাতায়াত:
✔️বুড়িমারী পর্যন্ত সরাসরি বাস আছে, এছাড়া এই বর্ডার হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত শ্যামলী পরিবহনের সরাসরি বাসও রয়েছে।ট্রেন যোগাযোগ নেই।
✔️বাংলাবান্ধা পর্যন্ত সরাসরি বাস নেই।শুধুমাত্র শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস যায় শিলিগুড়ি পর্যন্ত ।পন্চগড় পর্যন্ত বাস আছে পর্যাপ্ত।এছাড়া পন্চগড় এক্সপ্রেস,দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেন দিয়ে পন্চগড় যাওয়া যায়।
রেস্ট রুম/রেস্ট হাউজ:
সারারাত জার্নির পর সকালে বর্ডারে পৌছে রিফ্রেশ হওয়ার জন্য রেস্ট হাউজ দরকার হয়।বুড়িমারীতে রেস্ট হাউজ রয়েছে, চাইলে ১/২ ঘন্টার জন্য রুম ভাড়া নিয়ে গোসল/ফ্রেশ হয়ে রেস্টও নিতে পারবেন।অন্যদিকে বাংলাবান্ধা বর্ডারে এ সুবিধা নেই
খাবার হোটেল :
বুড়িমারী বর্ডারে কিছু খাবার হোটেল আছে তবে বেশী সুবিধার নয়।বাংলাবান্ধায় কোন খাবার হোটেল নেই,পন্চগড় থেকেই খেয়ে নিতে হবে।
ইমিগ্রেশন ও কাষ্টমস:
✔️বুড়িমারী বন্দরে ইমিগ্রেশনে শুধু অফিস NOC লেগেছিলো আর কাষ্টমস এ ট্রাভেল ট্যাক্স ও ১০০ টাকা বর্ডার খরচ দিতে হয়েছে।অপরপাশে চেংরাবান্ধাতে কাষ্টমস ও ইমিগ্রেশন সহজেই শেষ করা যায়।উভয়পাশেই ডিজিটাল/মেশিন রিডেবল সিস্টেম হওয়ায় ঝামেলা বিহীন।
✔️বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন ডিজিটাল হলেও এ্যামবারগেশন ফর্ম ওরা পূরন করে এজন্য
#chengrabandha #phulbari #সিকিম #দার্জিলিং #বুড়িমারী #বাংলাবান্ধা
7 сен 2024