হিন্দু ধর্মে মানব জীবনের সকল ভালো মন্দের নমুনাই আছে যে মানুষ যেমন সে ভাবেই তা গ্রহন করে। বেদ, পুরাণ মানুষের নৈতিকতা, ঈশ্বর বোধ কে জাগ্রত করেতে পারে জীবন বোধকে জাগিয়ে তুলতে পারে মাত্র। হিন্দু ধর্ম কোন পুস্তক বা গ্রন্থের উপর ভিত্তি করে চলে না। এখানে কোন ধর্ম গ্রন্থ না মানলে কাওকেই ধর্ম ত্যেগি করান যায় না এখানে কেওই কাফের মুদ্দাদ হয়ে যায় না। হিন্দু ধর্ম কোন জীবন বিধান নয়। যত মত তত পথ। হিন্দু ধর্ম এক ঈশ্বরকে মানলেও এই ঈশ্বর রের কোন মন্দির, পুজা,বা তার কোন পার্থনা নাই। ঈশ্বর জ্ঞানের ভন্ডার,কিন্ত তা থাকে বিভিন্ন ব্যাক্তি,বস্তু বা কোন প্রতিকের মধ্যে। তাই জ্ঞান লাভের আসায় হিন্দুরা পুজা বা প্রার্থনা করে ঈশ্বরের কোন প্রতিককে। মুসলমান দের আল্লার মত ভালোমন্দ কোন কিছুর আদেশ নির্দেশ ঈশ্বর দেন না। আল্লা যদি এক অদ্বিতিয় হবে তবে শিরকের প্রশ্ন আসে কোথা থেকে। শিরকের প্রতি আল্লার রাগ এর কারন কি থাকতে পারে। সবই যখন তার। যার ঘট যতটুকু সে ততটুকুই গ্রহন করতে পারে। মানুষের জীবন খুই কম সময়ের। এই অল্প সময়ে ঈশ্বরকে সম্পুর্ণ রুপে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। এক জীবনে যতটু জেনে নিজ আত্মকে সন্তুষ্ট রাখতে পরলেই। বইকুন্ঠ লাভ হয়। এই বইকুন্ঠ লাভই একজন হিন্দুর জীবনের একমাত্র লক্ষ।