মনে হয় সেই ষাট দশক সত্তর দশকের যুগে ফিরে যেতে পারতাম , যদি ও আমি ১৯৯৫ সনের পরে এসেছি পৃথিবীতে৷ তবু ও বড় জানতে ইচ্ছে হয় তখনকার মানুষ , মানুষের আচরন , সংস্কৃতি এসব কিছু না জানি কত সুন্দর ছিল৷ তখনকার । কিশাের বয়স , প্রেম , পথ - ঘাট , প্রকৃতি , চিন্তা ভাবনা , পাখিদের ডাক , বন্ধুরা , গান আর গানের কথারা , শান্ত নদী , মৃদু বাতাস , গ্রামের বাগানের ফাক দিয়ে । একটু খানি জোৎসন্যার আলাে , এসব যে কেমন । ছিল . . . . . . ? ? ? জানতে বড় ইচ্ছে হয় কোন কোন সময় ।
গানটির গীতিকার গাজী মাযহারুল আনোয়ার এখনো আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। তার সুযোগ্য এক কন্যা টেলিভিশনে মাঝে মাঝে গান করেন। আমরা এই কিংবদন্তী সুরকারকে তার যথার্থ সম্মান দেখাতে পারিনি। যেটা পেরেছি সেটা হচ্ছে রাজনীতিকীকরণ করা, যে ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশীরা খুবই সিদ্ধহস্ত। কে মানুষ--আগে তা না খুঁজে, খুঁজি কে আওয়ামী লীগ আর কে বিএনপি। একজন মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের কাছে যেন সবচেয়ে বড়। তার সৃষ্টিশীলতা নয়। অভিনেতা আনোয়ার হোসেনকেও আমরা দূঃখ দিয়েছি তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে। শিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহর রাজনৈতিক পরিচয়টা বড় করে দেখেছি। উর্দূতে গান করেছিলেন বলে তার দোষের অভাব ছিলনা। এসব কারনে কোনদিনই তাকে বিটিভিতে ডাকা হতোনা।
এসব গান যখন হয়েছিল ,তখন আমার বয়স ৬ কিংবা ৭ এখন ৫২।কিন্তু এসব গান শুনলে আমি সেই ছোট বেলায় ফিরে যাই।মনে হ্য এই গান আমার হাতে ধ রা ট্রান জিন জিস্টার থেকে বাজছে আর আমি আমাদের সেই বড় বাড়ী তে এখানে ওখানে ঘুরছি ।
কেন জানি এ প্রজন্মের হয়েও আমার স্বর্ণালী যুগের গানগুলোই ভালো লাগে, 2050 সালের জন্য রেখে রেখে গেলাম কমেন্টটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য,2021 এ। বাংলায় একসময় গান হত, গানের কথা সুর ছন্দ সবকিছু প্রাণবন্ত ছিল, বাংলা ভাষাও ছিল মধুর, গুণী শিল্পী আর গুনী লেখক , তাদের দক্ষতা , যে গানগুলো রচিত করে গিয়েছে , গ্রামবাংলা আকাশে বাতাসে আজ ও মিশে আছে মিশে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
2024 সালে এসেও এই গান শুনছি। আমার মা খালামনিরা খুব গান পাগল ছিলেন।আমি খুব ছোটবেলায় দেখতাম তারা রেডিও তে এই গান শুনছে। আমরা খেলতে খেলতে এসব গান শুনতাম। মুখস্ত ও হয়ে যেতো। জীবনের সেই অসম্ভব সুন্দর দিনগুলোর স্মৃতি মনে পড়ে যায় এসব গান শুনলে।❤❤❤
আমি যখন ক্লাস সেভেন এ পরি তখনকার বই অনেক স্রিতি চোখে ভেসে উঠে। ক্লাস ফাকি দিয়ে দল বেধে বলাকা হলে গিয়ে বই দেখতাম। সেই দিন আর আসবেনা ফিরে আমার জিবনে। কবরি আমার প্রিয় নায়িকা ছিল।
চোখে জল আসে। ক্লাশ সেভেন / এইটে পড়ার সময়কার গান। বাজার খরচের পয়সা বাঁচিয়ে এবং ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে কুমিল্লা শহরে এসে এসব ছবি দেখতাম। আজ আমার বয়স ৬৫ । কত চমৎকৃত দিন ছিল। আমরা যত পুরাতন দিনে ফিরে যাই ততই সময়গুলো সুখের, শান্তির এবং মনুষ্যত্ববোধে অনেক পরিপূর্ণ ছিল বলে মনে হয়। আজ সুখ নেই, শান্তি নেই। নেই অনেক কিছু।
কি অসাধারণ কথা, সুর, গায়কী। এমন একটি ধ্রুপদি সংগীত সারা বিশ্বেই বিরল। আজ এই সময়ে কি এই মানের সংগীত হওয়ার সুযোগ আছে? পুরো জাতি আছে অরুচিকর হিরো আলম নিয়ে।