শিক্ষকতা পেশায় আছি। আমার সাবজেক্ট ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের কোর্সগুলোকে ছবি, মানচিত্র, ছক ও ভিডিও সংযুক্ত করে যুগোপযোগী পদ্ধতিতে সহজবোধ্য করে শিক্ষার্থী ও ইতিহাস অনুরাগী ব্যক্তিদের জন্য উপস্থাপনের তাগিদ থেকে এ ক্লাসগুলো তৈরি করা হয়েছে। শুরুটা হয়েছিল বিশ্বমহামারী কভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে অনলাইন ক্লাসের মধ্য দিয়ে। ক্লাস উপযোগী করে ইউটিউব ভিডিও তৈরি, এডিটিং, অনলাইনে আপলোড ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত শিখছি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে কাজে লাগাচ্ছি। ক্লাসগুলোর ক্ষেত্রে অন্যান্য ইউটিউবারদের ভিডিও থেকে অনেক সাহায্য নেওয়া হয়েছে। কার্যত এটা অনৈতিক হলেও যেহেতু এর সাথে আর্থিক বা বাণিজ্যিক সংশ্লেষ নেই, শুধুই শিক্ষা সহজিকরণে ব্যবহৃত হচ্ছে,সুতরাং বিষয়টা ক্ষমার্হ।
আলাউদ্দিন জিহাদী মাজার পূজারীদের বিরুদ্ধে আছেন,উনারা মাজার জিয়ারত করেন যা সবাই করে। আরবের ওহাবী আন্দোলন বা নজদীরা পথভ্রষ্ট, এবং আমাদের উপমহাদেশের আহমদ শহীদ এর আন্দোলন বা তীতুমীর এদের আন্দোলন মূলত প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআত তথা সুন্নিয়তের মতাদর্শী,। বাংলাদেশের (কওমী +আলিয়া)=দেওবন্দি কওমী ও আলিয়া উভয়ই দেওবন্দি হতে, তবে বাংলাদেশে কিছু মাজারে সিজদাকারী গোষ্ঠী আছে এরা পথভ্রষ্ট। আলিয়া বা সুন্নিরা মাজারে জিয়ারাত করে যা কওমীরা ও করে থাকে।তবে কিছু সুন্নি নামধারী শিরিকিরা মজারে সিজদা দেয়, এরা আসল সুন্নি নয়।
ইতিহাস এমন এক বিষয়, পড়তে গেলে যত খেলাফত আছে আবার বংশ পরিচয় জানার প্রয়োজন হয়, কিন্তু ইসলামের ইতিহাস কোথায় থেকে শুরু করবো সেটাই বুঝতে পারি না। সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ায় বির্ভান্তিতে পড়তে হয়😢
আমার তো মনে হয়, আপনি একপেশে ইতিহাস জানেন। অথবা একটা পক্ষের প্রতি পূর্ব ধারণা থেকে বিদ্বেষ বশত নিজের জানাটাকেই নির্ভুল মনে করেন। আপনার জানা থাকা উচিত, ইতিহাসে মীমাংসিত সত্য বলতে কিছু নেই। ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে অনেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ১০০% নির্ভুলতা যাচাই করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের যাচাই-বাছাই করে ইতিহাসবিদ নিজস্ব বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করে একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার চেষ্টা করেন। এবং সেটাই তার গ্রন্থে উল্লেখ করেন। একই বিষয় নিয়ে গবেষণা করে একেক জন ঐতিহাসিক ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করে থাকতে পারেন। ঐতিহাসিকরা কেউই তার ব্যাখ্যার ১০০% নির্ভুলতা দাবী করেন না। ধরুন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলো। দুই দেশের মিডিয়াই তাদের দেশের পক্ষে এবং প্রতিপক্ষকে হেয় করে রিপোর্ট প্রকাশ করবে। উভয় দেশের যুদ্ধ কৌশল কখনোই সঠিকভাবে জানা সম্ভব হবে না। কারণ কোনো পক্ষই তার রণকৌশল প্রকাশ করবে না। আবার উভয় দেশে গিয়ে আর্মির সাথে থেকে থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করাও সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে মিডিয়ায় প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে বিশ্লেষণ করা ছাড়া উপায় নেই। এমনও হতে পারে আপনার আলোচনা বা বিশ্লেষণ ঘটে যাওয়া মূল ঘটনার ধারে কাছে নাও যেতে পারে। তারপরেও আপনাদের এসব বিশ্লেষণ নিয়েই একসময় ইতিহাস রচিত হয়। ভিডিও ক্লাসের আলোচনায় আমি যা বলেছি তারও বৃহত্তর অংশ বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের লেখা মতামতের সংকলন মাত্র। এক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। ওহাবী আন্দোলন নিয়ে আবদুল মওদুদের লেখা বইটা পড়ে দেখতে পারেন। তার সাথে অনেক ব্যাপারে আপনি একমত হতেও পারেন, নাও পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের লেখাপড়া সম্পর্কে আপনার কতটুকু ধারনা আছে জানিনা। এ পর্যায়ে যুক্তি সহকারে মুক্তমত প্রকাশকে উৎসাহিত করা হয়। আমাদের ক্লাসগুলোতে টপিকের ওপর একটা ব্যাসিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শিক্ষার্থীদেরকে টপিকের ওপর বিভিন্ন লেখকের মতামত পর্যালোচনা করে নিজের আইডিয়া গ্রো করতে বলা হয়, যেখান থেকে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে । আমরা যা আলোচনা করি, তার ওপর শতভাগ বিশ্বাস করতে উৎসাহিত করা হয় না। উত্তর লেখার ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীদের যু্ক্তিসংগত সকল মতামতকেই গ্রহণ করা হয়। আরেকটা ব্যাপার হলো, ইতিহাস আলোচনা আমাদের কাজ। ধর্মীয় বিষয় নয়। আবার কারা সঠিক, কারা বেঠিক আকিদা লালন করে সে সার্টিফিকেট দেওয়াও আমাদের কাজ নয়। আমার লেকচার ভালো না লাগলে আপনার মতবাদ বা বিশ্বাস করা আকিদা নিয়ে ক্লাস তৈরি করে আপনিও প্রচারে নেমে যেতে পারেন। কোনো বিতর্কিত বিষয়ে সঠিক মূল্যায়ন করতে হলে, আপনার আকিদার বিপরীতে যারা আছেন, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও উদার মনে স্টাডি করুন, তাদের যুক্তিগুলো পর্যালোচনা করুন। আশাকরি, আপনার জানা বিষয়ই ১০০% সঠিক এই কূপমণ্ডূকতা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবেন। ধন্যবাদ।
আমি গুনাহগার আপনার আলোচনা মনযোগের সাথে শুনে গত 2 দিন আগে 2.5 আড়াই লাইনের 1 টা Comment no.19 করে ছিলাম এবং আজকে 1টা Dislike দিয়েছি এর ই প্রেক্ষিতে আপনি ড.ওহাব মিয়া ঘন্টা 3 আগে নাতি দীর্ঘ 68. 25 সোয়া আটষট্টি লাইনের 1 টা Relpy দিয়েছন এই জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই । তো আমি গুনাহগার আপনার আলোচনা এই প্রথম শুনেছি আর আমার জানা নেই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পদ্ধতি তে ক্লাস এ পড়ানো হয়!! আর আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্ৰী নিয়েছেন !! যাই হোক এই টা আপনার একান্ত ই ব্যক্তিগত ব্যপার ! তবে আপনার এই ভিডিও তে 80 আশি টা Like 1 টা Dislike এবং 24 টা Comments হয়েছে৷ আমি গুনাহগার সবগুলা Comments Reply সহ পাঠ করার মাধ্যমে এই টা বুঝতে পারছি. ....... আপনার নাম যেমন ওহাব মিয়া তেমনই আপনার আলোচনা শুনে সাধারণ সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ওহাবী ভ্রান্ত মতবাদ এর আক্বীদা পোষন করার মাধ্যমে গোমরাহ হয়ে যাচ্ছে আপনার জ্ঞাতার্থে. …..... আমি গুনাহগার 1994 ইং সনে প্রাচ্যের Oxford খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰী নিয়ে সফল ভাবে ছোট্ট একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। যেহেতু আপনি একজন জনপ্রিয় গবেষক এবং অধ্যাপনায় জড়িত আছেন সেই জন্য আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজীর শানে রেসালাতের বিষয়ে সঠিক আক্বীদা পোষন করার এবং তাহা প্রচার প্রসারে কাজ করে যাবেন এই প্রত্যাশায় যাতে দয়াল নবীজীর শাফায়াত নিদানে আখেরাতে নসীব হয় ....... আপনার ইহকাল এবং পরকালীন মুক্তি কামনায় আমি গুনাহগার আপনার কাছে ও এক ই দোয়া প্রত্যাশায় এই পর্যন্ত ই....... মহান আল্লাহপাক নবীজীর উছিলায় আমাদের কে ক্ষমা করুন আমীন ছুম্মা আমীন ❤
ভাই ওহাবীরা কোন আলেম বা পীর মানেন না কিন্তু সাইয়েদ আহমেদ বেরেলী তিতুমীর হাজী শরীয়তুল্লাহ এনারা সকলেই পীর মুরিদী করেছেন কিন্তু আপনি যেটা বলতেছেন এটার সাথে মিল হইতেছে না আব্দুল হাব নজদী আর বাদশা সোদ লরেন্সের দালাল ছিল যার মাধ্যমে ওসমানীয় খেলাফত ধ্বংস করেছেন তাদেরকে কিভাবে শিরিক বেদাত উৎখাতকারী বলতে পারি বরঞ্চ বলতে পারি এরা ছিল ইহুদি খ্রিস্টানদের দোসর ইশিয়া সুন্নাহ পত্রিকায় লিখেছেন ওয়াহাবীরা ব্রিটিশদের অনুগত তারপরে প্রতিটি মহকুমায় লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন করে আহলে হাদিস নাম চেনেন হ্যাঁ ভাই এদের পরিচয় আমি এভাবেই জানি
মাজার নিয়ে কথা গুলো ঠিক আছে। কিছু কিছু মুরখ লোক মাজার শরীফ এ, ভুল কাজ করে। কিন্তু উহাবী সম্প্রদায় এর মানুষ অনেক গ্যানি ও চালাক চতুর মনে হয়। তবে ওরা মিথ্যাবাদী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক নয়। মুসলিম এর পোশাক পড়ে কাদিআনিদের মত ই অন্য চেহারা বা পোশাক পড়ে ইহুদীদের মিশন পরিচালনা করছেন।
অল্প সময়ে যে তথ্য উপাত্ত সংযুক্ত করেছেন, তা এক মাসের ক্লাশেও জানা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ আমাদের প্রানপ্রিয় শ্রদ্ধেয় স্যার। আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন।
"বাগদাদ" কথাটি ফারসি শব্দ। একটি মতে, এখানে 'বাগ' অর্থ বাগান, আর 'দাদ' অর্থ ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা। সুতরাং বাগদাদের অর্থ ন্যায়পরায়ণতার বাগান। আরেকটি মতে, 'বাগদাদ' শব্দের অর্থ "ঈশ্বরের প্রদত্ত" বা "ঈশ্বরের দান"। এখানে 'বাগ' অর্থ "ঈশ্বর" এবং 'দাদ' শব্দটি 'দেয়া' বা 'দান' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই "বাগদাদ" নামের আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় "ঈশ্বরের দান করা শহর"। ধন্যবাদ।