মাননীয় স্যার! আপনার আলোচনা, উপস্থাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন! আপনার হিতাকাঙ্খী হিসেবে বলছি., আপনার নাম আব্দুল ওহাব। শুধু ‘ওহাব‘ নয়।বরং এটা আল্লাহর নাম। তাই আপনার থেকে এটাই কামনা করি-আপনি ইসলামী বিষয়টি খেয়াল করে নাম সংশোধন করবেন। আইডি কার্ডে যেমনই থাকুক ডাক নাম পরিবর্তন হলে কোন সমস্যা হবে মনে হয় না!!
ইতিহাস এমন এক বিষয়, পড়তে গেলে যত খেলাফত আছে আবার বংশ পরিচয় জানার প্রয়োজন হয়, কিন্তু ইসলামের ইতিহাস কোথায় থেকে শুরু করবো সেটাই বুঝতে পারি না। সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ায় বির্ভান্তিতে পড়তে হয়😢
আমার বিণীত একটি প্রশ্ন-উমাইয়া শাসনামল এবং আব্বাসীয় শাসনামলকে কেন খেলাফত বলা হয়?? তারা আদৌ খেলাফতের কোনো নীতি বা বৈশিষ্ট্যে পড়ে কিনা...আশাকরি বিষয়টা ক্লিয়ার করবেন
ধন্যবাদ। 'খিলাফত' প্রথমে ইসলামের একটা ধর্ম-রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও খোলাফায়ে রাশেদিনের পর এটি তার ধর্মীয় আদর্শিক চরিত্র হারায়। এটি শুধু মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের একটি নামমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যমান থাকে। উমাইয়া, আব্বাসি ছাড়াও এভাবে আমরা ফাতেমীয় খিলাফত, উসমানীয় খিলাফতের নাম বলতে পারি। সুতরাং ধর্মীয় আদর্শ থাকুক বা না থাকুক প্রতিষ্ঠানটি যে নামে পরিচালিত হয়েছে, সেটা সে নামেই পরিচিতি পাবে, তাই না?
এই খেলাফত এর সাথে প্রকৃত ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই, বরং লাখ লাখ জাল হাদিস রচনা, ফেকাহ্ শাস্ত্র রচনা করে তাদের শাসন নিঃকন্ঠক করতঃ ইসলাম ধর্মের অপুরনিয় ক্ষতি সাধন করে গেছেন এসব লৌহ কঠিন মানুষেরা। যা আজও আমাদের মুসলিম দের আষ্ট্রপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে।
খিলাফত বলতে হবে কারণ ইসলামী হুকুমত ক্বায়েম ছিল কমবেশি।কিন্তু খোলাফায়ে রাশেদিনের খিলাফতের সাথে পরবর্তীর উমাইয়া,আব্বাসীয়,ফাতেমি,কর্ডোবার আমিরাত,উসমানীয় খিলাফতের মূল পার্থক্য হলো রাশেদিনের সময়ের খিলাফত ছিল খিলাফাহ আ'লা মিনহাজিন নবুওয়্যাহ অর্থাৎ নবুয়তের আদলে খিলাফত যা ছিল খিলাফতের আদর্শ নীতি ধারণকারী আর পরবর্তী খিলাফতগুলো ছিল রাজতন্ত্রের আদলে খিলাফত।কিন্তু খিলাফত বলতেই হবে কারণ ইসলামী শরীয়ত এবং হুকুমত সর্বসময় ক্বায়েম ছিল। বর্তমানের মানব রচিত কুফুরী বিধান থেকে হাজার গুণে উত্তম।