হে আল্লাহ আপনি আপনার এই কুরআনের পাখি ও হাদিসের পাখি কে সকল ধরনের বিপদ আপদ থেকে হেফাজত করুন ও সকল ধরনের ফেতনা থেকে হেফাজত করুন ও সুস্থতা দান করুন ও শেফায়ে কামেলা দান করুন ও নেক হায়াত দান করুন ও দীর্ঘ জিবি দান করুন ও যাতে করে আপনার বাণী কুরআন ও হাদীসের দাওয়াত আমাদের বিস্সের সকল মসুলমান দের কাছে পৌঁছে দিতে পারে আমীন ছুম্মা আমীন
সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ মহান মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর বয়ান পেশ করেছেন হজরত ও আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের বাণী কুরআন শরীফ থেকে ও হজরত মোহাম্মদ সাঃ এর হাদীস মুবারক থেকে হে আল্লাহ আপনি আমাদের বিস্সের সকল মানুষ দের কে হেদায়েত দান করুন ও ছহীহ শুদ্ধ বুজ দান করুন ও আপনার মনোনীত ধর্ম যে ইসলাম ধর্ম সেই টা বুজার জন্য তৌফিক দান করুন আমীন ছুম্মা আমীন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। كَيْفَ وَإِنْ يَظْهَرُوا عَلَيْكُمْ لَا يَرْقُبُوا فِيكُمْ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً يُرْضُونَكُمْ بِأَفْوَاهِهِمْ وَتَأْبَى قُلُوبُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ فَاسِقُون [التوبة: 8] অর্থঃ কিভাবে? তাঁরা তোমাদের উপর বিজয়ী হলে তোমাদের আত্মীয়তার ও অঙ্গীকারের কোন মর্যাদা দেবে না। তারা মুখে তোমাদের সন্তুষ্ট করে, কিন্তু তাদের অন্তরসমূহ তা অস্বীকার করে, আর তাদের অধিকাংশই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী। (সূরা তাওবাঃ ৮) ভারতের হিন্দুরা আরও একবার এই কথাকে ভিত্তি প্রদান করল যে, তারা ইসলামের শত্রু, মুসলমানদের আক্বীদার দুশমন, মুসলমানদের জীবন, সম্পদ, সম্মান ও পবিত্রতার শত্রু। ভারতের মুসলমানদের জোরপূর্বক হিন্দু বানানো, “বন্দে মা তারাম” বলানো, গরু জবাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা - এসবের পরে এখন অবস্থা এই পর্যন্ত পৌঁছে গেছে যে, মুসলমানদের ‘কুফরে বাওয়াহ’ অর্থাৎ প্রকাশ্য কুফর বলায় বাধ্য করা হচ্ছে। হাফেযে কুরআনকে এই কথার উপর বাধ্য করা হচ্ছে, যেন তিনি মূর্তি ও মন্দিরের ভূমিকে দেবী হিসেবে মেনে নেন, তার মা’বূদ হওয়াকে স্বীকৃতি দিয়ে তার বড়ত্বের ঘোষণা দেন। কাফেরের কথার উক্তি দেওয়া কুফরি নয়, “জে মাতা”, “ভারত মাতা কি জে” - আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) এর অনুগতদের এসব স্লোগান দেওয়ায় বাধ্য করা হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংযমের গান গাওয়া লোকেরা আজ কোথায়, যখন লাঠিসোঁটা আর রাষ্ট্রীয় শক্তির জোরে মুসলমানদেরকে কুফরি কথা বলায় বাধ্য করা হচ্ছে, বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদেরকে হিন্দু বানানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে?আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেনঃ ”هُوَ الَّذِيْٓ اَرْسَلَ رَسُوْلَهٗ بِالْهُدٰي وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهٗ عَلَي الدِّيْنِ كُلِّهٖ ۙ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُوْنَ” “তিনিই হচ্ছেন সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁর রসূলকে (যথার্থ) পথনির্দেশ ও সঠিক জীবন বিধান দিয়ে পাঠিয়েছেন, যাতে করে আল্লাহ’র রসূল (দুনিয়ার) অন্য সব বিধানের ওপর একে বিজয়ী করতে পারেন, (সত্যের পক্ষে) সাক্ষ্য দেয়ার জন্যে আল্লাহ ত’আলাই যথেষ্ট।”[সুরাঃ আল-ফাতহ; আয়াতঃ ২৮] আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেনঃ “وَقَاتِلُوْهُمْ حَتّٰي لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ وَّيَكُوْنَ الدِّيْنُ كُلُّهٗ لِلّٰهِ ۚ فَاِنِ انْتَهَـوْا فَاِنَّ اللّٰهَ بِمَا يَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ” “(হে ইমানদারগণ) তোমরা কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না (আল্লাহ’র যমীনে কুফরির) ফিতনা বাকী থাকবে এবং দীন সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ তা’আলার জন্যেই (নির্দিষ্ট) হয়ে যাবে, (হাঁ) তারা যদি (কুফর থেকে) নিবৃত্ত হয়, তাহলে আল্লাহ তা’আলাই হবেন তাদের কার্যকলাপের পর্যবেক্ষণকারী।” [সুরাঃ আল-আনফাল; আয়াতঃ ৩৯] আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেনঃ وَلَوْلَا دَفْعُ اللّٰهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ ۙ لَّفَسَدَتِ الْاَرْضُ وَلٰكِنَّ اللّٰهَ ذُوْ فَضْلٍ عَلَي الْعٰلَمِيْنَ ٢٥١ “(আসলে) আল্লাহ তা’আলা যদি (যুগে যুগে) একদল লোককে দিয়ে আরেকদল লোককে শায়েস্তা না করতেন, তাহলে এই ভূখণ্ড ফিতনা ফাসাদে ভরে যেতো, (কিন্তু আল্লাহ তা’আলা তা চাননি, কেননা) আল্লাহ তা’আলা এ সৃষ্টিকুলের প্রতি বড়োই অনুগ্রহশীল!” [সুরাঃ আল-বাকারা; আয়াতঃ ২৫১)ে না।[সহিহ বুখারী,৬৯১৫] -অর্থাৎ কোনো মুসলিম যদি কোনো (nikotborti awami) কাফেরকে হত্যা করে দেয়, যদিও সে কাফের চুক্তিবদ্ধ হয় তবুও ঐ কাফেরের বদলে উক্ত মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না বা ক্বিসাস (hudud) কার্যকর হবে না। • আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন কাফির ও তার হত্যাকারী (মুসলিম) কখনও জাহান্নামে একত্র হবে না।[সুনানে আবু দাউদ,২৪৯৫] -অর্থাৎ কোনো মুসলিম কোনো (awami) কাফেরকে হত্যা করলে তাকে আল্লাহ উত্তম বিনিময় দান করবেন, এরজন্য সে জাহান্নামি হবে না, যেহেতু কাফেররা চিরস্থায়ী জাহান্নামি। • قال القرطبي: (والمسلم إذا لقي الكافر ولا عهد له: جاز له قتله). [تفسير القرطبي 338/5] "আর কোনো মুসলিমের সামনে যদি কোনো কাফের পড়ে যায়, যার সাথে কোনো চুক্তি নেইঃ তার