ভাই আপনার আয়েশা (রাঃ) বলা যে বয়ানের কথাকে হাদিস বলতে পারেন? রসুল (সঃ) এর মুখের কথা আয়েশা (রাঃ) বললে বা বর্ননা করলে হাদিস বলে কিন্তু রসুল যে কথা বলেল নাই সেই কথা আয়েশা (রা) বল্লে হাদিস বলা কি ঠিক হবে?
আলিপুরি হুজুরের মুখের প্রত্যেকটি কথা এতো এতো মজা এবং দামি , যেন পৃথিবীর সমস্ত মজা এবং দামি জিনিস গুলুর কুনটারই মুল্য থাকে না। হে আল্লাহ আপনি, আমাদের মত গুনাহ গারদের উপর দয়া করে এমন আলেমদের নেক হায়াত দান করুন আমীন সুম্মা আমীন।
মুহতারাম, আসসালামু'আলাইকুম... আমাদের সন্দেহ নেই আপনি দেশের একজন বরেণ্য আলেম। তবে নিজে নিজেকে বড় মনে করা আর অন্যদের ছোট মনে করা কত বড় অপরাধ, প্রত্যাশা দুনিয়াতেই বুঝবেন নয়তো আফসোসের শেষ থাকবে না। আপনার ওয়াজ অনেক শুনেছি আপনি নিজেকে পৃথিবীর সেরা মনে করেন। মহান আল্লাহ আপনার জ্ঞানচক্ষু খুলে দিক।
ইমাম মালেক বলেনঃ দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবরবাসী ছাড়া অর্থাৎ রসূল( সঃ) এর কথা ছাড়া। (১) রাসূল( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা মসজিদে যেতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিও না (সহি বুখারী- 824 নম্বর হাদিস। সহিঃ মুসলিম- 873 নং হাদিস)। (২) রাসূল( সঃ) বলেছেন, মেয়েদের রাতের বেলায় মসজিদে আসার অনুমতি দাও (সহি বুখারী-846 নম্বর হাদিস)। (৩) হযরত ওমর( রাঃ) এর এক স্ত্রী (আতেকা) ফজর ও এশার নামাজ মসজিদে জামাতে পড়ার জন্য যেতেন। তাকে বলা হল, তুমি কেন বাইরে যাও? অথচ তুমি জানো এটা ওমর অপছন্দ করেন। জবাব দিলেন, আমাকে নিষেধ করতে তাকে কিসে বাধা দিচ্ছে? বলা হল তাকে বাধা দিচ্ছে, রসুলের( সঃ) উক্তি, "আল্লাহ বাদীদেরকে তোমরা মসজিদে যেতে বাধা দিও না" ( সহি বুখারী- 847 নম্বর হাদিস)। হযরত ওমর( রাঃ) মৃত্যুর পূর্বে মসজিদে যখন আহত হন, তখন তার স্ত্রী ( আতেকা) মসজিদেই ছিলেন। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর এর ছেলে বলেছে, আল্লাহর কসম অবশ্যই আমি তাদের বাধা দেব। কারণ এভাবে তারা স্বামীদেরকে ধোঁকা দেবে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর( রাঃ) তাকে এমন গালমন্দ করলেন, যা ইতিপূর্বে তার মুখ থেকে কখনো শোনা যায়নি। এরপর তিনি বললেন, আমি তোমাকে রসুলের( সঃ) হাদিস শোনাচ্ছি, আর তুমি বলছো আল্লাহর কসম, আমি তাদেরকে মানা করবোই (সহিঃ মুসলিম- 874 নম্বর হাদিস) আহমদের বর্ণনায় রাবী বলেন, অতঃপর হযরত আব্দুল্লাহ( রাঃ) মৃত্যু পর্যন্ত ওই পুত্রের সাথে আর কথা বলেননি। হাদীসঃ মা আয়েশার( রাঃ) থেকে বর্ণিত। "রাসুল( সঃ) যদি দেখতেন, তবে তিনি মেয়েদের মসজিদে যেতে মানা করতেন"। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় রসুলের( সঃ) মৃত্যুর পরও মহিলাদের মসজিদে যাওয়ার প্রচলন ছিল। কিন্তু মা আয়েশা( রাঃ) রসুলের( সঃ) হাদিসের বিরোধিতা করে মহিলাদের মসজিদে যাওয়া বন্ধ করার সাহস দেখাননি। উম্মে হুমাইদ সংশ্লিষ্ট হাদীসটি তার সাথে সংশ্লিষ্ট। অন্যান্য মোমেন নারীর সাথে নয়। মহিলারা মসজিদে যেতে চাইলে তার অবিভাবকের জন্য অনুমতি দেয়া ওয়াজিব, নিষেধ করা হারাম। আমার বুঝে আসেনা মুসলিম উম্মার এই হারাম কাজের বোঝা ওলিপুরী সাহেব কেন নিজ কাঁধে তুলে নিলেন? আল্লাহ সবাইকে সহি বুঝ দান করুন।
@@abdulwahedkhan6293 খুব বুঝছেন আপনি হাদীস সেই জন্যেই বলে আগে আলেমদের জাহান্নামে পুড়তে হবে যারা মানুষকে ফেতনায় ফেলবে এত সুন্দর বুঝানোর পরেও ফেত্নবাজি ছাড়লেন না নিশ্চয় আপনি জামাত শিবির নাইলে আহ্লে হাদীস।
@@mahmudulhasan4074 আবদুল্লাহ ইবনে উমর( রাঃ) এবং সাহাবায়ে একরাম একথাটি কেন বুঝলেননা, তা আমার বুঝে আসে না। রাসূলের( সঃ) যুগে মেয়েদের মসজিদে জামাতে শরিক হওয়া সংক্রান্ত কয়েক ডজন হাদীস সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ লিপিবদ্ধ আছে। রসুলর( সঃ) মৃত্যুর পর খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলের তিনটি হাদিস আমি নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। (১) আত তাবাকাতুল কুবরা গ্রন্থে খাওলা বিনতে কায়েস বর্ণিত একটি রেওয়াতে আছে, খাওলা বলেছেন, রসূল( সঃ) ও আবুবকরের যুগে এবং ওমরের খেলাফত যুগের প্রথম দিকে আমরা মেয়েরা মসজিদে একজন আরেকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতাম। কোন সময় সুতা কাটতাম এবং খেজুর পাতার পাটি বুনতাম। ওমর( রাঃ) বললেন, আমি অবশ্যই তোমাদেরকে এখান থেকে বের করব। তারপর আমাকে ছাড়া অন্য সবাইকে বের করে দেওয়া হলো। তবে আমরা সবাই নামাজের সময় জামাতে হাজির হতাম( আত তাবাকাতুল কুবরা, ইবনে সাদ, 8 খন্ড)। (২) উরওয়ার মাধ্যমে সাঈদ ইবনে মানসুর বর্ণনা করেছেন যে, ওমর( রাঃ) রমজানে তারাবি পড়ার জন্য লোকজনকে উবাই ইবনে কা'বের কাছে একত্র করেন। তিনি পুরুষদের তারাবীহের নামাজে ইমামতি করতেন এবং তামিম আদ-দারী মেয়েদের তারাবির নামাজে ইমামতি করতেন ( ফাতহুল বাড়ী, 5 খন্ড, 56 পৃষ্ঠা)। (৩) ইমাম নববী তার "মাজমু" গ্রন্থে আরফাজাহ সাকাফী থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, হযরত আলী ইবনে আবু তালিব( রাঃ) রমজান মাসে মানুষকে তারাবী পড়ার নির্দেশ দিতেন। তিনি পুরুষদের জন্য একজন ইমাম এবং মেয়েদের জন্য একজন ইমাম নিয়োগ করতেন। আমি নিজে ছিলাম মেয়েদের ইমাম (কিতাবুল মাজমু শাহরুল মুহাযযিব, 3 খন্ড, 528 পৃষ্ঠা)।
@@mahmudulhasan4074 ভাই আমি জামাত শিবির হই, অথবা আহলে হাদীস হই, অথবা মুনাফেক হই, তাতে আপনার লাভ বা ক্ষতি কি? আমি যাই হই না কেন, আমি যদি বুখারী শরীফ থেকে একটি হাদীস বর্ননা করি, তবে হাদীসটি বাতিল হয়ে যাবে না। ওলিপুরী হুজুর যে হাদীসগুলোর রেফারেন্সে বয়ান করলেন, ঐ হাদীসগুলো দেখুন। হাদীসে কি বলছে, আর ওলিপুরী হুজুর কি বলছেন। পার্থক্য নির্ণয় করুন। ওলিপুরী হুজুরের বয়ান থেকে বুঝা যায়, রসুল( সঃ) মেয়েদের মসজিদে জামাতে শরিক হওয়া বন্ধ করে দেন। আবার রসুলের( সঃ) মৃত্যুর অনেক বছর পর মা আয়েশার( রাঃ) একটি উক্তির উদৃতি দলেন, " মেয়েরা মসজিদে গিয়ে কি করছে তা যদি রসুল( সঃ) দেখতেন, তবে রসুল( সঃ) মেয়েদের মসজিদে যেতে নিষেধ করতেন"। এর অর্থ এই দাড়ায় যে, রসুলের( সঃ) মৃত্যুর বহু বছর পরও মেয়েদের মসজিদে যাওয়ার প্রচলন ছিল, যা ওলিপুরী হুজুর তার বয়ানে প্রমান করে ছারলেন। মা আয়েশার( রাঃ) উক্তি রসুলের( সঃ) নির্দেশকে বাতিল করে দেয় না এবং মা আয়শা( রাঃ) মেয়েদের মসজিদে যাওয়া বন্ধ করার সাহসও দেখাননি। আল্লাহ আপনাকে জ্ঞান দিয়েছেন। এই জ্ঞানকে কাজে খাটান। ধন্যবাদ।
Love you,,হুজুর,,😥 কি বলব আমি, 😥 আমার আব্বু অনেক ইচ্ছা ছিল, 😥 আমাকে হুজুর বানার,,😥 বুজতে পারিনি,,😥 এখন বুজি,😶 কারণ এখন আব্বু নেই,,😥 আল্লাহ যেন আমার আব্বুকে জান্নাতি বানিয়ে দেন,এবং হুজুরের নেক হায়াত দান করেন,,আমিন,,🙏