চুল গজানোর ব্যায়াম / চুল পড়া বন্ধ / চুল পড়া বন্ধের উপায় / /চুল পড়ার কারণ ও সমাধান / চুল গজানোর তেল / চুল গজানোর প্রাকৃতিক উপায় / Hair loss treatment
চুল পরা বন্ধ করতে এক্সারসাইজ
চুল পরা বন্ধ করতে ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ ! অবশ্যই শুধু চুল পরা রোধ নয়, চুল গজানোর জন্যও এক্সারসাইজ করতে পারেন। ফিজিওথেরাপিস্ট হল এক্সারসাইজ স্পেশালিষ্ট, তাই চুল পরা রোধে এক্সারসাইজ করতে অবশ্যই ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না৷
এক্সারসাইজ কিভাবে চুল পরা রোধ করতে পারে৷ সেটা নিয়ে বলার আগে আমাদের জানতে হবে চুল কেন পরে। চুল পরা স্বাভাবিক ব্যাপার। বেশি করে চুল পরা বেল মাথা হওয়ার উজ্জ্বল পূর্বলক্ষণ। অধিক হারে চুল উঠার অনেক কারন থাকতে পারে৷ যেমন -
১. বংশগতঃ জেনেটিক কারণে অনেকেরই চুল পরে৷ এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা৷ বাপের চুল নাই, ছেলেরও চুল নাই৷
২ হরমোনাল ইমব্যালেন্সঃ মেয়েদের ওস্ট্রোজেন হরমোন চুল বড় করার জন্য ফ্রেন্ডলী। ছেলেদের এন্ড্রোজেন হরমোন চুলের জন্য ফ্রেন্ডলি না৷ এন্ড্রোজেন হরমোন বেড়ে গেলে চুল পরা বেড়ে যায়৷
২০০৪ সালের নভেম্বরে আন্তজার্তিক স্পোর্টস মেডিসিন জার্নাল একটি রিসার্চ প্রকাশ করছে। ওখানে বলা আছে হেভি লিফটিং এক্সারসাইজের ফলে ছেলেদের টেস্ট্রোস্টরেন হরমোন বৃদ্ধি পায় যা মাসল গঠনে সাহায্য করে কিন্তু এটার কারণে চুল পরা বেড়ে যায়।
৩. অতিরিক্ত মানসিক চাপঃ এটা কোন মিথ বা ভুল ধারণা নয়, অতিরিক্ত মানসিক চাপে আসলেই চুল পরে। কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপে অনেক ক্ষতিকর হরমোন রিলিজ হয় যেটা সেবিন হরমোন উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত কথা করে ৷ সেবিন হরমোনের অভাবে মাথার চামড়া শুকিয়ে যায়৷ যার জন্য সহজে চুল পরে।
৪. আয়রনের ও ভিটামিন বি১২ এর অভাবেও চুল পরে।
৫৷ হাইরয়েড হরমোন ঃ হাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের মেটাবলিজম কন্ট্রোল করে৷ তাই এর ইমব্যালেন্স হলে চুলের গ্রন্থিকোষে প্রভাব পরে৷
৬. বয়স ঃ বয়সের সাথে সাথেও আমাদের অনেকের চুল পরতে শুরু হয়।
এক্সারসাইজ কিভাবে চুল পড়া রোধ করে কিংবা চুল গজাতে সাহায্য করে
প্রথমত এক্সারসাইজের মাধ্যমে সারা শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং সেটা চুলের গোড়ায় পর্যন্ত চলে যায়৷ চুলের গোড়ায় পুষ্টিগুন নিশ্চিত হয়৷
দ্বিতীয়ত এক্সারসাইজ আমাদের মানসিক চাপ কমায় যেটা চুল পরার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী৷
চুল পরা বন্ধ করার এক্সারসাইজ ঃ
১. মাথার চামড়া ম্যাসাজ করতে হবে৷ তেল দিয়ে করতে হবে এবং গোসলের সময় ভাল শ্যাম্পু দিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করতে হবে৷ যাতে চুলের গোড়ায় রক্তসঞ্চালন নিশ্চিত হয়৷
২ কার্ডিও ভাসকুলার এক্সারসাইজ করতে হবে৷ এই এক্সারসাইজগুলো মানসিক চাপ অনেক কমায়৷ যেমন - লম্বা সময় হাটা, দৌড়ানো, জগিং, সুইমিং।
৩. ঘাড়ের কিছু ব্যায়াম করতে হবে৷ ঘাড়ের মাসল গুলোকে স্ট্রেচ করাতে হবে৷ যাতে মাথার আশে পাশেও রক্তসঞ্চালন ঠিক থাকে।
৪. দুই হাতের নখগুলো একে অপরের সাথে একত্রে ঘষতে হবে৷ কারণ এই গুলোতে আকুপয়েন্ট থাকে৷ ইদানিং এর উপকারিতা অনেক হেয়ার স্পেশালিষ্ট, আকুপ্রেশারিস্ট বলে আসতেছে৷
৫. ব্রেদিং এক্সারসাইজ ঃ ব্রেদিং এক্সারসাইজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে চুল পরা রোধ এবং চুল গজানোর ক্ষেত্রে। কারন ব্রেদিং এএক্সারসাইজের মাধ্যমে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়।
৫. এছাড়া কিছু ইয়োগা এক্সারসাইজ আছে যেইগুলো চুল পড়া রোধে ইফেক্টিভ বলে পরিচিত হচ্ছে।
তবে শুধু এক্সারসাইজ নয়, চুল কেন পরে আপনার নিকটবর্তী হেলথ কেয়ার প্রফেশনালের সাথে যোগাযোগ করে কারণ নির্নয় করে কিছু মেডিসিনও খাওয়া যেতে পারে এবং আপনার নিকটবর্তী ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে যোগাযোগ করে আপনার উপযোগী এক্সারসাইজ প্লান ঠিক করে নিতে পারেন৷
ধন্যবাদ
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
উত্তরা, ঢাকা।
যোগাযোগঃ ০১৭৮৭ ১৫২৮৭২
7 окт 2024