দেখুন আমেরিকায় গ্রামের বাড়ির আঙিনায় কিভাবে পন্য বিক্রি করে? । Yard Sale or Garage Sale at USA
আমেরিকার পথে পথে ইয়ার্ড সেল: আমেরিকার এসে যদি বাসায় ব্যবহারোপযোগী কিছু কেনার প্রয়োজন হয়, আর সেটা যদি তুমি পানির দামে কিনতে চাও, তবে একটা রোববার পর্যন্ত ঝিম মেরে বসে থাকা ভালো। কারণ প্রতি রোববার আমেরিকাবাসী আক্ষরিক অর্থেই পানির দামে তাদের বাসার অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে দেয়। তা সেই পানির দাম কেমন? ধরো ২০ ডলার (১ ডলারে বাংলাদেশি ৮০ টাকা ধরে গুণ কর) দিয়ে একটা আস্ত রঙিন টিভি, ১০ ডলার দিয়ে একটা চালু ওয়াশিং মেশিন, ১০ ডলার দিয়ে পাওয়া যায় খাট-আলমারি ইত্যাদি। চিন্তা করা যায়! আর পুরো ব্যপারটা হয় গ্যারাজ বা ইয়ার্ড সেল নামের একটা মজার উপায়ে। ছুটির দিনগুলোয় অনেক আমেরিকান বাসা থেকে তাদের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র টেনে-হিঁচড়ে বের করে। এরপর গ্যারাজ, লন বা রাস্তার পাশে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে বিক্রির আশায়। পথচলতি লোকজন অনেক বাছবিচার করে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো উঠিয়ে নিয়ে যায় গায়ে লেখা দাম দেখে। কখনো বিনা মূল্যে। কী না পাওয়া যায় ইয়ার্ড সেলে-পুরোনো দামি বই, ম্যাগাজিন, টেবিল, চেয়ার, কম্পিউটার, ফুলের টব, বিছানা, জামাকাপড়, থালাবাটি, পোস্টার, সিডি, ডিভিডি, সোফা, গ্যাসের চুলা, গ্লাস, জগ, সাইকেল, ক্যামেরা, আলমারি, অর্থাৎ একটা পরিবারের বসবাস করতে যা লাগে সবই।
ভেবো না আমেরিকার লোকজন সবাই অত্যন্ত মহান। আর তাদের মহানুভবতার উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে তারা এমন দামী দামী জিনিস জনগণের মধ্যে বিলিয়ে দেয়। আসলে এই বিলিয়ে দেওয়ার মাঝে রয়েছে নিজেদেরই স্বার্থ। আমেরিকায় তুমি চাইলেই কোনো জিনিস যেখানে-সেখানে ফেলে দিতে পারো না। ফেলতে হলে সিটি কতৃর্পক্ষকে আলাদা করে ফি দিতে হয়। ডিসপোজেবল ফি। ধরো, তুমি একটা নতুন ডিজাইনের সোফা কিনেছ। পুরোনো সোফাটা আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু সেটা তো বেশ বড়সড় সাইজের। ফেলবে কোথায়? ডাস্টবিনে ফেলতে পারবে না, আটবে না। ফেলতে হলে তাই পৌর কতৃর্পক্ষকে জানাতে হবে। তারা এসে একটা নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে তোমার কাছ থেকে জিনিসটা নিয়ে রিসাইকেলের জন্য পাঠাবে। আবার তুমি যদি চালাকি করে এমনি রাস্তায় বড়সড় কিছু ফেলে আসো, তাহলে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে যদি তারা দেখে ফেলে, তাহলে বিশাল অঙ্কের জরিমানা করবে, যে জরিমানার টাকা দিতে গিয়ে তোমার জীবন বের হয়ে যাবে। তাই তারা তাদের বাসার অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সস্তায় (বা বিনা মূল্যে) প্রতিবেশী বা অন্যদের দিয়ে দিতে খুব ভালোবাসে। অল্প হলেও কিছু কামাই তো হলো। আর বুঝতেই পারছ, গ্যারাজ বা নিজের বাসার আঙিনার সামনে এই বিক্রিবাট্টা চলে বলে এর নাম হয়েছে গ্যারাজ বা ইয়ার্ড সেল।
ইয়ার্ড সেলের খোঁজখবর জানার জন্য নানা ধরনের মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। সেসবে ঘাঁটাঘাঁটি করলে দেখা যায়, কবে, কোথায়, কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত, কোথায় কোন কোন জিনিসের সেল হবে। আমরা সে রকম কিছু সাইট আর অ্যাপ ঘাঁটাঘাঁটি করে পরবর্তী ইয়ার্ড সেলের কয়েকটা ঠিকানা টুকে রাখলাম।
বিখ্যা অনেক মার্কিন তারকারা প্রায়ই দাতব্য কাজে নিজেদের জিনিসপত্র ইয়ার্ড সেলে বিক্রি করেন
আমাদের নীলক্ষেতে যেমন সস্তায় পুরোনো বই পাওয়া যায় তেমনি ইয়ার্ড সেল ঘুরলে অনেক সময় পাওয়া যায় দারুণ দারুণ বই
অনেক যাচাই বাছাই করে চলছে কেনাকাটা
বড় ছুটিতে কখনো কখনো নানা জায়গায় হয় ইয়ার্ড সেল উৎসব
#আমেরিকার_পথে_পথে #আমেরিকার_ইয়ার্ড_সেল #আমেরিকা #usa #umme #hello_usa
20 окт 2024