ধর্মান্তরিত হওয়া যুবক- যুবতী তরুণ- তরুণীদের, বৌদ্ধ হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক অভিশাপ।
বৌদ্ধ ছেলেমেয়েদের ধর্মান্তর হওয়া রোধ করার জন্য এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ খুবই জরুরী । ধর্মান্তর একটি পরিবারকে অনেক সামাজিক মর্যাদাহানিকর অবস্থায় নিয়ে আসে তা ছেলেমেয়েদের বুঝানো খুবই জরুরি। তাছাড়াও বুদ্ধ ধম্ম ও এর শিক্ষা, গভীর জ্ঞান জীবন দর্শন প্রচার জরুরী। কতিপয় ভিক্ষুর বিভিন্ন আচরণ ধম্মের প্রতি ছেলেমেয়েদের যেন ভিন্নমত জাগ্রত না করে সে বিষয়ে সংঘকে কঠোর থাকা জরুরী। এখন বিভিন্ন সংগঠন , বৌদ্ধ ভিক্ষু বিভিন্ন বিহারে ভাবনা কোর্স করাছেন। কিন্ত দেখা যায় এগুলো সব বৃদ্ধ বা বয়জেষ্ঠ্যদের নিয়ে। কিন্ত তরুণ যুবক ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভাবনা কোর্স পরিচালনা জরুরী। অনেকে এক্ষেত্রে অনেক কারণ ব্যাখ্যা দেন, তরুণ তরুণী বা যুবক যুবতীরা ভাবনা করতে আগ্রহী বা সময় দিতে পারে না। এ ক্ষেত্রে আমার ভিন্ন মত আছে। আমি যখন প্রয়াত প্রজ্ঞাবংশ ভান্তে (অরুণ ভান্তের) অধীনে শ্রমণ হয়ে দীর্ঘদিন ভাবনা করছিলাম, তখন ঐ গ্রামের তরুণ ও যুবক ছেলেরা আমার কাছে ধম্ম আলোচনা করতে আসতো। আমি তাদের ভাবনা প্রয়োজন কেন তা ব্যাখ্যা করি। এবং প্রায় বিশ জনের অধিক ছেলেমেয়ে ভাবনায় অংশ গ্রহণ করেন। আমাদের তরুণ তরুণী যুবক যুবতীদের অধিক হারে ভাবনা কোর্স করানো উচিত। আমার বিভিন্ন স্থানে আলোচনায় অনেক অন্য ধর্মের অনুসারীরা ও বিদর্শন ভাবনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে আমাদের যুব সংগঠন গুলোর প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বর খুবই অভাব। শুধুই অনুষ্ঠান আয়োজন, নিজের কর্তৃত্ব নেতৃত্ব আর পারিবারিক প্রচার প্রসার, নিয়ে এরা মূখ্যের মতন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় "আমি কি হনুরে" ঢেকুর তোলেন। প্রথমেই এই সকল যুব সংগঠনের অযোগ্য নেতৃত্বর পরিবর্তন জরুরি। সমাজ সংগঠন যদি জাতি রক্ষায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে না পারে, তাহলে নেতা কেতা অথর্ব নেতৃত্বের কি প্রয়োজন। যারা চাল চুলা হীন পারিবারিক কোন মর্যাদা না থাকার বেদনা থেকে নাম রৌশন করার জন্য নেতা কেতা হন। পাশাপাশি অনুষ্ঠান আয়োজন আর চাঁদা নিয়ে ব্যস্ত সমাজ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। যারা সরকারের বিরাগভাজন হবার ভয়ে পদলেহন করতে ও ছবি তুলে ফেইসবুকে দিতে ব্যস্ত তাদের বিষয়ে প্রশ্ন জাগে। Biplab Barua দাদা কিছুদিন আগে সীবলী সংসদের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠান করলেন, খুবই অসাধারণ। এসব যুব অনুষ্ঠান আরো বেশী বেশী প্রয়োজন।
সর্বশেষে বৌদ্ধ যুবক যুবতী তরুণ তরুণীদের ধর্মান্তর কঠিন ও কঠোর ভাবে রুখতে হবে। গ্রামের প্রতিটি বিহারে ভিক্ষুদের এবিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে, বিহারে আলোচনা করতে হবে, সমাজ সংগঠনের গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে। যুবক যুবতী তরুণ তরুণীদের ধম্ম শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল ধর্মীয় কাজে আরো বেশী সম্পৃক্ত করতে হবে, ধর্ম বিষয়ে লেখালেখি পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে, সামাজিক কাজে আরো বেশী সম্পৃক্ত করতে হবে। অভিভাবকদের উচিত ছেলেমেয়েদের বৌদ্ধ বিহারের আনা, বৌদ্ধ বিহারের অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত করা, সমাজের কঠোর ভূমিকা প্রয়োজন। ব্যঙ্গালোরে থাকার সময় জৈনধর্ম সম্প্রদায়ের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে ধর্মান্তর বিষয়ে সমাজের ভূমিকা কঠোর। সমাজ জাতি রক্ষায় সমাজের কঠোর হওয়া জরুরী। বৌদ্ধ সংগঠন গুলোর একটি আইন সেল বা Advocacy সেল থাকা জরুরী, যারা বৌদ্ধদের বিভিন্ন আইন সংক্রান্ত পরামর্শ দেবে। আসুন বৌদ্ধ ছেলেমেয়েদের ধর্মান্তর রুখতে কার্যকর ভূমিকা রাখি।
13 окт 2024