২২০০ স্কয়ার ফিটের একটা ছাদবাগানে আমার বড় হাফ ড্রামে গাছ আছে প্রায় ৯০ টি। এর মধ্যে আনারই আছে ৫০ টি বড় গাছ। তাছাড়া পেয়ারা, ড্রাগন, আংগুর, আম, তীন ফল, চায়নিজ কমলা, থাই সফেদা, লংগান, মাল্টা, পাকিস্তানি কমলা, সাউথ আফ্রিকান কমলা, বারমাসি থাই কাঠাল সহ পুইশাক, ডাটা শাক, তেজপাতা, মরিচও আছে। গত ২ বছর আমি আমার পরিবারের জন্য বাজার থেকে কোন আনার, পেয়ারা,ও ড্রাগন ফল কেনা লাগেনি। ভাবা যায় যে এক ছাদবাগান থেকেই ৭-৮ জনের একটি পরিবারের ফলের চাহিদা অনেকাংশেই পুরন করা যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। বাজারের কেনা ফল বেশিরভাগই ক্ষতিকর ক্যামিক্যালযুক্ত যেগুলো খেয়ে সাস্থ্যঝুকিতে পড়ছে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই। সেক্ষেত্রে একটা ছোট ছাদবাগানই পারে আমাদের ছোট্ট একটা পরিবারকে শারীরিকভাবে ঝুকিমুক্ত রাখতে।
ফলের বাগানের পাশাপাশি ৪-৬ জোড়া ভাল জাতের কবুতর পালন করেও গত ৬-৭ মাসে আমি প্রতিমাসে গড়ে ১০-১২ পিস কবুতরের বাচ্চা পাচ্ছি। যেটা আমার পারিবারিক মাংসের চাহিদা পুরোটা পুরন করেও নিকটাত্মীয় অনেককেই দিতে পারছি। কবুতরের মাংস খুবই পুষ্টিকর ও সাস্থ্যকর। অপরদিকে বাজার থেকে কিনে আনা ব্রয়লার মুরগীও ক্যামিক্যালযুক্ত খাবার খেয়ে বিষাক্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষের সাস্থ্যঝুকি এজন্যই অনেক বেশি; প্রচুর মানুষ বিষাক্ত মাংস ও ফল খেয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে ঝুকে পড়ছে। ছোট্ট একটা সখের ছাদবাগানই পাড়ে আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সুসাস্থ্যের মূল উৎস হিসেবে কাজ করতে।
12 сен 2023