১৯৭৬ সালের বর্ষণসিক্ত পঁচিশে বৈশাখের এক সন্ধ্যা (১৩৮৩ বঙ্গাব্দ)। কবি ও শিক্ষাবিদ প্রভাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে আগরপাড়ায় তাঁর বাসভবনের সভাঘরে (পরবর্তীকালে প্রভাসতীর্থ নামে খ্যাত) রবীন্দ্রস্মরণসভায় এলেন তদানীন্তন পশ্চিমবঙ্গের সেরা বাগ্মী অধ্যাপক হরিপদ ভারতী। হাওড়ার নরসিংহ দত্ত মহাবিদ্যালয়ের দর্শনের ডাকসাইটে অধ্যাপক। তাঁর পঠন-পাঠন শুনতে দূর-দূরান্ত্র থেকে ছুটে আসেন ছাত্র-ছাত্রীরা। অন্যদিকে বাংলার সাংস্কৃতিক জগৎ উন্মুখ হয়ে থাকে তাঁর মুখনিঃসৃত ভাষণের অপেক্ষায়। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ-জন তন্ময় হয়ে শোনেন তাঁর অসামান্য কথকতা। বজ্রগম্ভীর কণ্ঠস্বর, নিখুঁত শব্দচয়ন, অপূর্ব স্বরবিন্যাসের কুশলতা অধ্যাপক ভারতীকে বিদগ্ধ মহলে দিয়েছিল বিপুল জনপ্রিয়তা। আজ থেকে ৪৩ বছর আগের সেই সভায় অধ্যাপক ভারতীর কিঞ্চিদধিক আধ ঘন্টার ভাষণটিকে ধ্বনি-মুদ্রণ যন্ত্রে তুলে রেখেছিলাম নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে। আজ ‘বাংলার মুখ ও মনন’ চ্যানেলের মাধ্যমে এটির বন্ধন মুক্তি ঘটল। এখন এটি সর্বসাধারণের। - তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রভাসতীর্থ, আগরপাড়া, ১৯.০৯.২০১৯
এই চ্যানেলটির মাধ্যমে এভাবেই আমরা তুলে ধরব বাংলার সাংস্কৃতিক জগতের নানান আলাপচারিতা ও অনুষ্ঠান। ভাল লাগলে, সাবস্ক্রাইব করবেন এইটুকু প্রত্যাশা রাখলাম।
3 окт 2024