ব্রেইন টিউমার ও ব্রেইন ক্যান্সার:
"ব্রেন টিউমার" ২ টি ভয়ংকর শব্দ...কিন্ত ব্রেন টিউমার মানেই জীবনের শেষ নয়, নয় মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা বা পঙ্গুত্ব...অধিকাংশ ব্রেন টিউমার অপারেশন এর মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব। শুধু প্রয়োজন এ সম্পর্কে সঠিক ধারনা ও সচেতনতা।
সাধারণত মস্তিষ্কের টিউমারকেই ব্রেন টিউমার বলা হয়। যেকোনো বয়সেই ব্রেন টিউমার হতে পারে। কিছু টিউমারের সূত্রপাত মস্তিষ্কেই। এদের বলে প্রাইমারি ব্রেন টিউমার। আবার শরীরের অন্য স্থানের টিউমার ব্রেনে ছড়িয়ে পড়লে তাকে বলে সেকেন্ডারী ব্রেন টিউমার। প্রাইমারি ব্রেন টিউমার ক্ষতিকর নয় তবে যেহেতু মাথার খুলির মাঝে অতিরিক্ত স্থান নেই তাই ব্রেন টিউমার ব্রেন এর উপরে চাপ সৃষ্টি করে ফলে ব্রেনের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। দ্রুত সনাক্ত করা সম্ভব হলে ও অপারেশন করে সম্পুর্ন টিউমার নিয়ে আসলে রোগী ফিরে পেতে পারে নতুন জীবন। অন্যদিকে শরীরের অন্য স্থান থেকে জন্ম নেওয়া টিউমার ব্রেনেও জন্ম নিলে তাকে বলা হয় ব্রেইন ক্যন্সার। অল্প কিছু ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমার ক্যন্সারেও রুপান্তর হতে পারে। ব্রেনের অপারেশনের মাধ্যমে হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষায় ক্যন্সার সনাক্ত হলে সেক্ষেত্রে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপী, গামা নাইফ থেরাপী ইত্যাদির মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
ব্রেন টিউমার রোগীর লক্ষণ:
ব্রেন টিউমারের লক্ষণ নানা ধরণের। প্রধান লক্ষণ মাথাব্যথা। এই মাথাব্যথা রোগীর কর্মকাণ্ডের সাথে তীব্র হয়। অর্থাৎ রোগী বিশ্রামে থাকলে মাথাব্যথা কম থাকে। আর কোন কাজ করলে তীব্রতা বাড়ে। অনেক সময় ভোরে মাথাব্যথাটা বেশি হয়।
পাশাপাশি রোগীর বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমে যাওয়াকে আমরা সব টিউমারের ক্ষেত্রে লক্ষণ হিসেবে ধরতে পারি।
এ ছাড়াও অনেক সময় রোগীর অন্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। রোগীর খিঁচুনি হতে পারে অথবা শরীরের যেকোনো একদিকের হাত বা পা দুর্বল বা অবশ হয়ে যেতে পারে। আবার তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ তার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেবে এমনকি রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। রোগীর শরীরের কোন দিকে দূর্বলতা দেখা দিতে পারে। কানে শুনতে, খাবার গিলতে এমনকি ভারসাম্য রক্ষা করতেও অসুবিধা হতে পারে।
ব্রেন টিউমার রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা:
ব্রেন টিউমার নিশ্চিত হবার জন্য কন্ট্রাস্ট সিটি স্ক্যান ব্রেন অথবা এম আর আই পরীক্ষা করা হয়। এতে ব্রেন টিউমার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে সন্দেহ থাকলে ব্রেনের এম আর এস পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এছাড়া অপারেটিভ প্ল্যানিং এর জন্য সিটি স্ক্যান এনজিওগ্রাম বা ভেনো গ্রাম অথবা এম আর এঞ্জিওগ্রাম বা ভেনোগ্রাম পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
ব্রেন টিউমার এর চিকিৎসা:
রোগীর শারিরীক অবস্থা, বয়স, জ্ঞানের মাত্রা, দীর্ঘমেয়াদী রোগ ও ব্রেনে টিউমার এর অবস্থান, সাইজ ইত্যাদি অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে ব্রেন টিউমার এর চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারিত হয়। নিউরোলোজিস্ট, নিউরোসার্জন, রেডিওলজিস্ট, রেডিওলজিস্ট, অনকোলজিস্টদের সম্ন্বয়ে টিউমার বোর্ড গঠন করে রোগীর জীবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্বদিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। উপসর্গ গুলোর চিকিৎসার জন্য মাথা ব্যথার ঔষুধ, খিচুনী না হবার জন্য ঔষুধ ব্যবহার করা হয়। কিন্ত মূল চিকিৎসা নির্ভর করে অপারেশনের মাধ্যমে টিউমার এর ধরন ও প্রকৃতি নির্ণয়ের জন্য হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা ও কোন কোন ক্ষেত্রে ইমিউনোহিস্টোকেমস্ট্রি পরীক্ষার উপরে। এরপরে প্রয়োজনবোধে কেমোথেরাপী, রেডিওথেরাপী ইত্যাদি চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।
ডাঃ মোঃ হুমায়ন রশিদ
এমবিবিএস, এম এস (নিউরোসার্জারি)
ফেলোশিপ ডিপ্লোমা স্কাল বেজ সার্জারি (ব্যাঙ্গালোর, ভারত)
ট্রেইন্ড ইন নিউরো এন্ডোস্কোপি- ব্রেইন এন্ড স্পাইন (হাইদ্রাবাদ, ভারত)
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
নিউরোসার্জারি বিভাগ
ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার ১: শীন শীন জাপান হাসপাতাল (ইউনিট ১)
গরীব ই নেওয়াজ এভিনিউ, সেক্টর:১১, উত্তরা, ঢাকা
এপোয়েন্টমেন্ট : ০১৮৯৬০৫৭৯৯৬-৯৮
গুগল ম্যাপ- maps.app.goo.gl/KkMZRk3qj2uvG...
চেম্বার ২: পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার লি:
গরীব ই নেওয়াজ এভিনিউ, সেক্টর:১৩,উত্তরা,ঢাকা
এপোয়েন্টমেন্ট: +৮৮০- ৯৬৬৬৭৮৭৮২৩
গুগল ম্যাপ-
maps.app.goo.gl/pXbuShqSkjnRL...
চেম্বার ৩: আইচি হাসপাতাল
প্লট:৩৫ ও ৩৭, সেক্টর ৮, উত্তরা, ঢাকা
এপোয়েন্টমেন্ট : ০১৬৮৯-৯৫৬৫৯৯
হটলাইন: ১০৬৭৫
গুগল ম্যাপ-
maps.app.goo.gl/f7aSmiuYmPKn7...
হটলাইন : ০১৭১৭০১৫০৩১
ওয়েবসাইট: www.neurosurgeonbd.com
14 май 2024