অতি সুন্দর । মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলে ও ছোট বেলা থেকেই এই অনুষ্ঠানের শ্রোতা । ভোরবেলা আমাদের বাড়িতে সবাই পৌঁছে যেত যেহেতু আমাদের বাড়িতে রেডিও ছিল । মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনতাম । এখন অনেক বেশি ধার্মিকের সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ কমছে যারা বিশ্বাস করে অন্যের ধর্মের প্রতি ও শ্রদ্ধা থাকা উচিত ।
আমি আজ ৪০বছর ধরে শুনছি। শোনার এই অনুভূতি বোঝানো আমার পক্ষে অসম্ভব। আমি পুরো এক বছর অপেক্ষা করি রেডিয়োতে এই অনুষ্ঠান টি শোনার জন্য। এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক এই ভিডিও দেখে মন্তব্য করেছেন, এর চাইতে আনন্দের বিষয় আমার কাছে আর কিছু হতে পারে না । আমার ভিডিও তৈরী করা সার্থক হয়েছে।আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। মন্তব্য পড়ে ভীষণ উৎসাহিত হলাম।
শারদোৎসব দূর্গার দেবী বন্দনায় মহালয়ার ইতিহাস অতি সংক্ষিপ্তকারে তথ্যবহুল ভাবে তুলে ধরায় ভালো লাগল ৷ সেই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে মুসলিমদের অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করায় সম্প্রীতির ভূমিকায় নতুন করে অবদান রাখল ৷
শুধুমাত্র ধর্মীয় মোড়কে আবদ্ধ না থেকে মহালয়া উপলক্ষের চণ্ডী পাঠ অনুষ্ঠান টি বাংলার ঘরে ঘরে ক্রমশ সমাদৃত হয়ে চলেছে হয়তো প্রধানত দুটি কারণে এর মানবিক দিক যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও মানসিক দিক টি যা শুনে মনে এক অপার প্রশান্তি অনুভূত হয় ।
দয়া করে ইতিহাস পড়ুন। বামুনদের গোঁড়া মি অবশ্যই ছিল কিন্তু আরবীয় ধর্ম এদেশে এল কি ভাবে? অত্যাচার আর প্রলোভন ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। এই সত্যটা না মানার অর্থ জেনে শুনে পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস ভুলে থাকা
@@saibaldatta6615 শৈবাল দা আপনার মতো আমি ইতিহাস বিশেষঞ্জ নই ৷ আপনি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় অবতারণা করে আমার মূল কথাটি বুঝতে বোধহয় ভুল করেছেন ৷ বাংলার সংস্কৃতিতে বিশেষতশারদীয়া দুর্গা উৎসবে মহালয়ার মতো পবিত্র উৎসবে হিন্দু মসলিম ভুলে উৎসবের মহাত্মই বড় ছিল----ধর্ম যার যার উৎসব সবার ---সংস্কৃতির মেলবন্ধনে সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ গৌন এবং অপ্রাসঙ্গিকতার কথামূলত সমর্থন করা হয়েছিল ৷ তবেআরবীয় ধর্ম অত্যাচার আর প্রোলোভনে ভারতে প্রসার লাভ করেনি ৷ তারহাজারো প্রমাণ হিসাবে নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের ইতিহাস পড়লেই পাবেন ৷ ভবিষ্যতেও এবিষয়েআর নয় ৷ ধন্যবাদ
*Saibal datta, এই আলোচনাতে আপনার কমেন্টের প্রতিবাদ করছি। Fazlul ভাই এক সুন্দর কথা বলেছেন। উনি কখনো কে হিন্দু ছিল কে মুসলমান ছিল তা নিয়ে কিছুই বলেন নি। আর এই আলোচনায় তা আসছে কি করে? উস্তাদ বিলায়েৎ খান থেকে আরো কতো মুসলিম গায়ক ও বাদকরা আমাদের হিন্দুদের না জানে কত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অবদান রেখেছেন। আমাদের ধর্মে গুনী মানুষকে গুরু স্বীকার করা হয়, তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা হয়, তাকে ঈশ্বরের অবদান মানা হয়, তাঁর ধর্ম মানা হয় না। বৈদিক যুগে কখনো মানুষকে নীচ দেখানো হত না। যদি তাই হত তাহলে দেহপজীবিনী জাবালার সন্তান সত্যকাম কখনো মহর্ষি হতে পারতেন না। মহর্ষি বিশ্বামিত্র প্রথম জীবনে ক্ষত্রিয় রাজা ছিলেন, তিনিও মহর্ষি হয়েছিলেন। সে যুগে গুণ ও দক্ষতাকে মর্যাদা দেওয়া হত জাত ধর্মকে নয়। যদি তখন ইসলাম বা খৃস্টধর্ম থাকত তাহলে তাঁদেরও কেউ না কেউ ঋষি, মহর্ষি হতে পারতেন অনায়াসে তাদের গুণ ও প্রতিভা দ্বারা। আমরা সকলেই সিন্ধু সভ্যতার ধারক ও বাহক।*
@@BlackPanther-ee7ue You are making mistake. I just reminded Indian heritage and history. Do you think people from Saudi Arabia will follow same practices. Reminding origin and root(heritage) is a scientific analysis. Every European countries study on history of their origin. Anyhow, I do not like to discuss any more.
মহালয়ার গল্প শুনে মনে হলো সত্যি আকাশ বাণী প্রযোজিত ও সম্প্রচারিত এ অনুষ্ঠান ভারতীয় সংস্কৃতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এটি এখন আর নেহাত সনাতন ধর্মের মধ্যে আবদ্ধ নেই। এ অনুষ্ঠান আজ সকল ভারতীয়দের মনোগ্রাহী চিত্ততুষ্টির অনন্য নজির। সার্বজনীনতার উজ্জ্বল্ উদাহরণ।
এক কথায় দারূন। ভারতীয় ইতিহাসে ধর্মান্ধতার উপড়ে উঠে এমন অনন্য সাধারন কর্তব্য কর্ম হিন্দু মুসলমান সকল জাতির মানুষের দ্বারাই বহু ক্ষেত্রেই ঘটেছে। মুসলমান ভদ্রলোকের (নাজির আহমেদ) দ্বারা মহালয়ার স্তোত্র পাঠ তার একটি জলন্ত উদাহরন। এই অমূল্য সংবাদটি সর্বসমক্ষে আনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একটি অজানা কাহিনী শুনে ভীষন আনন্দ পেলাম। সত্যিই মহালয়ার অনুষ্ঠান আমাদের মনে একটা আনন্দ ছড়িয়ে দেয়। সেদিন থেকেই যেন দূর্গা পূজো শুরু হয়ে যায়। তারপর যেসব শিল্পিরা মুসলিম হয়েও মহালয়ার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের সবাইকে আমার প্রনাম ও শ্রদ্ধা এ।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এমন এক ঐতিহাসিক তথ্য পরিবেশন করার জন্য। অনেক অজানা বিষয় জলের মত স্পষ্ট হয়ে গেল। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠের চণ্ডী পাঠ শুনে আসছি বছরের পর বছর আজো মনে হয় নূতন। অসাধারণ।
এই সুন্দর ভাবে তথ্য বহুল ভিডিও টি দেখে শুনে খুব ভালো লাগলো। এতো সব জ্ঞানী গুণী মানুষ সব ছিলেন যাঁদের ঐকান্তিক সহৃদয় প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জন করেছে এই কালজয়ী অনুষ্ঠানটি। আমাদের সবার অতি প্রিয় এই মহালয়া অনুষ্ঠান। ❤️❤️🙏🙏
Sir, I am very glad to know the history of Mahalaya on Akash Vani Kolkata and once Janab Nazir Ahmmed recited the slokos from holy Chandi. This proves that our Country is great and so as our countrymen. Unity in diversity has been followed in this Mahalaya function. I am too much grateful to you for giving us such valuable historical information. Thank you once again Sir.
এরকম অনেক উদাহরণ আছে ।বি.আর.চোপড়ার বিখ্যাত মহাভারত টিভি সিরিয়াল এর চিত্রনাট্য লিখেছেন একজন মুসলিম লেখক ।এর অনেক মুখ্য চরিত্র,যেমন অর্জুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুসলিম অভিনেতা ।ভারতবর্ষ সহনশীলতার দেশ ।আজকাল রাজনীতি সে কথা ভুলে যেতে বলে ।
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলো উঠল হঠাৎ জেগে, আবেগের অশ্রু ধারা আসতে চায় বেগে। সোনা ঝরা দিন গুলি আসবে না আর ফিরে , "হাল"-এর চালে মানিয়ে নিতে মনটা নাহি পারে।। অনেক ধন্যবাদ।।
সমগ্র এপিসোডটি তথ্যবহুল। গল্পের মতো করে সুন্দর বলেছেন। ভীষণই ভালো লাগলো। তবে আমার নাজির সাহেবের চণ্ডীপাঠের বিষয়ে আরো একটু বিশদে জানার ছিল। এ নিয়ে একটি বিভ্রান্তির কথা শুনেছি। তাই আপনার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে বিষয়টি উপস্থাপন করলাম।
নাজির আহমেদ আকাশবাণীর সম্ভবত স্টাফ আর্টিস্ট ছিলেন। স্বর্ণযুগের শিল্পীদের সাথে তাঁর সখ্যতা ছিল। তবে দেশভাগের পর তিনি বাংলাদেশ চলে যান। মহালয়াতে তাঁর আকস্মিক স্তোত্রপাঠ নিয়ে অনেকে দ্বিমত পোষন করেন। তবে শিল্পীদের মধ্যে এইরকম ঘটনা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। যথার্থ মানুষের কাছে এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই নয়। তবে বিষয়টি শুনতে ভালো লাগে। শিল্পীর কি কোন জাত হয়! স্তোত্র সংস্কৃত সাহিত্য। যে কেউ তা পাঠ করতেই পারে। আজকাল তো মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা সংস্কৃত ভাষাতেও অনার্স করছে। যাইহোক, ধর্মনির্বিশেষে সবাই মিলে বাঙালী সংস্কৃতিকে তুলে ধরলেই বাঙালি বাঁচবে।
@@thegalposalpo আমার প্রশ্নটি ঠিক হিন্দু মুসলিম নিয়ে নয়। শিল্পীর কোনো জাত হয়না একদম সত্যি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। এমনকি মানুষকেও কোনোদিন ধর্ম বা জাত দিয়ে বিচার করিনি। মানুষের একটাই জাত- সে মানুষ। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন উল্লেখিত ঘটনাটি ঘটেই নি। হয়তো বিষয়টি মেনে নিতে না পারার সমস্যাটা তাদের, এটাও হতে পারে। সেটার জন্যই বিষয়টি সম্পর্কে জানার ছিল। তবে বোঝা যাচ্ছে এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে৷ অনেককাল আগের ঘটনা। আমাদের কাছে কিছু বইপত্রের তথ্যসূত্র ছাড়া প্রত্যক্ষ প্রমাণ সেভাবে হয়তো নেই। আপনি ঠিকই বলেছেন, ভাষা বা সংস্কৃতির পারস্পরিক আদানপ্রদান যত বাড়বে ততই বিভেদের আবহ ঘুচবে৷ সেটিই কাম্য হওয়া প্রয়োজন। অনেক ধন্যবাদ।
@@amitavabhattacharjee06 অপূর্ব বললেন ! বিতর্ক কে মনে নিয়ে যদি ঘটেও থাকে ! হয়তো গোঁড়া হিন্দুরা তখন হয়তো মেনে নিতে পারেননি ! এখনতো সালমান খান আমির খান দের বাড়িতে ঘটা করে পূজো হয় ! ফিরহাদ হাকিম কে তো ওর বোনরা নিয়ম করে ভাই ফোঁটা দিতে আসে ! আর সব চেয়ে বড়ো উদাহরণ মনে হয় আমাদের কাজী নজরুল ইসলাম ! আমার তো মনে হয় শ্যামা সংগীতের মুখ্য রচনাই তার লেখা ! তাই আমাদের আগে মানুষ হতে হবে ! ধৰ্ম তার পরে !
ভাই আপনার এই ভিডিও টি দেখে অনেক কিছুই জানলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।👍🙏সত্যিই এই মহালয়ার অনুষ্ঠান কখনোই পুরাতন হবে না।এটা শুনলে আশ্চর্য রকমের শিহরণ জাগে।