চার মাযহাবের কেউ কি কোনদিন বলেছেন যে আমার মাহযাব না মানলে কাফের হয়ে যাবে? কিংবা আমার মাযহাব মানা ওয়াজিব, ফরজ, ইত্যাদি। কাফের, নাস্তিক ফতুয়া দিতে হলে কোরআনের রেফারেন্স লাগবে, এটাই মূল কথা।
৫৯. হে ঈমাদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর, আরও আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যকার ক্ষমতাশীলদের(১), অতঃপর কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে তা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখেরাতে ঈমান এনে থাক। এ পন্থাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর..... (১) ‘উলুল আমর’ আভিধানিক অর্থে সে সমস্ত লোককে বলা হয়, যাদের হাতে কোন বিষয়ের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পিত থাকে। সে কারণেই ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা, মুজাহিদ ও হাসান বসরী রাহিমাহুমাল্লাহ প্রমূখ মুফাসসিরগণ ওলামা ও ফোকাহা সম্প্রদায়কে ‘উলুল আমর’ সাব্যস্ত করেছেন। তারাই হচ্ছেন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নায়েব বা প্রতিনিধি ৷ তাদের হাতেই দ্বীনী ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পিত। মুফাসসিরীনের অপর এক জামা'আত-যাদের মধ্যে আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রমূখ সাহাবায়ে কেরামও রয়েছেন-বলেছেন যে, ‘উলুল আমর’ এর অর্থ হচ্ছে সে সমস্ত লোক, যাদের হাতে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত। ইমাম সুদ্দী এ মত পোষণ করেন। এছাড়া তাফসীরে ইবন কাসীরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ শব্দটির দ্বারা (ওলামা ও শাসক) উভয় শ্রেণীকেই বোঝায়। কারণ, নির্দেশ দানের বিষয়টি তাদের উভয়ের সাথেই সম্পর্কিত। আল্লামা আবু বকর জাসসাস এতদুভয় মত উদ্ধৃত করার পর বলেছেন, সঠিক ব্যাপার হলো এই যে, এতদুভয় অর্থই ঠিক। কারণ, ‘উলুল আমর’ শব্দটি উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অবশ্য এতে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন যে, উলুল আমর বলতে ফকীহগণকে বোঝানো যেতে পারে না। তার কারণ, أُولُو الْأَمْر (উলুল আমর) শব্দটি তার শাব্দিক অর্থের দিক দিয়ে সে সমস্ত লোককে বোঝায়, যাদের হুকুম বা নির্দেশ চলতে পারে। বলাবাহুল্য, এ কাজটি ফকীহগণের নয়। প্রকৃত বিষয় হলো এই যে, হুকুম চলার দুটি প্রেক্ষিত রয়েছে। (এক) জবরদস্তিমূলক। এটা শুধুমাত্র শাসকগোষ্ঠী বা সরকার দ্বারাই সম্ভব হতে পারে। (দুই) বিশ্বাস ও আস্থার দরুন হুকুম মান্য করা। আর সেটা ফকীহগণই অর্জন করতে পেরেছিলেন এবং যা সর্বযুগে মুসলিমদের অবস্থার দ্বারা প্রতিভাত হয়। দ্বীনী ব্যাপারে সাধারণ মুসলিমগণ নিজের ইচ্ছা ও মতামতের তুলনায় আলেম সম্প্রদায়ের নির্দেশকে অবশ্য পালনীয় বলে সাব্যস্ত করে থাকে। তাছাড়া শরীআতের দৃষ্টিতেও সাধারণ মানুষের জন্য আলেমদের হুকুম মান্য করা ওয়াজিবও বটে। সুতরাং তাদের ক্ষেত্রেও ‘উলুল আমর’-এর প্রয়োগ যথার্থ হবে।
তাদের কেই মানতে হবে কোরআন ও হাদিস দ্বারা দলিল চাই। মাজহাব মানি মত । কোন ইমামের মত যাদি কোরআন হাদিসের সাথে মিলে তাইলে মত মানবো আর না মিললে মানবো না এটাই চূড়ান্ত।
মাজলুম হওয়ার অর্থ মরে যাওয়া নয়! মাজলুম হওয়ার অর্থ আরো কয়েকগুণ শক্তি নিয়ে পূর্বের চেয়েও আরো ভালো জায়গায় আবার ফিরে আসা....! সেরেতাজ...... আল্লামা জুনায়িদ আল হাবিব, শাইখুল হাদীস আল্লামা মা'মুনুল হক, মুফতি আল্লামা হারুন ইযহার, মুফতি আল্লামা ছাখাওয়াত রাজি হুসাইন, আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ আযূবী, (হাফিযাকাল্লাহু) সহ সলক আলেমগণ নীতি আদর্শে অটল ব্যক্তিত্বরা কোনোদিনও মাথা নত করে নী, ভবিষ্যৎতেও কোনদিন করবেও না... ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশ তাদেরই হবে..! এখনও সুস্পষ্ট ভাষায় বলি এখনও পর্যন্ত বর্তমানে তাদের কে ৯৫% মানুষ সর্বোচ্চ ভালোবাসে- বাসবেই.. আলহামদুলিল্লাহ..! জালিমের কারাগার থেকে আমরা তাদের মুক্তি চাই।
মাযহাব এর যে বিষয় গুলো কোরআন এবং সহিহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয় সে গুলো পরিহার করতে হবে আর যে গুলো প্রমাণিত সে গুলো কোরআন হাদীস থেকে মানলেই মাযহাব মানা হয়ে যাবে, আলাদাভাবে মাযহাব মানার দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না। আলাদাভাবে মাযহাব মানতে গিয়ে অনেকেই মাযহাব কে কোরআন হাদীস এর পাশে দ্বার করাচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক। আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করুক
এই ব্যাটা বলদ মাযহাব কি আবার হাদিসের বাহিরে কাজ তুমি যদি এত বড়ই হাদিস বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকো তাহলে আমার কোন সমস্যা নেই তুমি হাদিসের বিষয়ে জ্ঞান রাখো তুমি হাদিসের মুহাদ্দিস অবশ্যই না তুমি মাসালার নিজে নিজে সমাধান করতে পারো অবশ্যই না তাহলে তুমি নিজেকে কি করে আহলে হাদিস দাবি মাথার ভিতরে গোবর থাকলে😂 তা হয়😊
ভাই কোরআনের একটা আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েন আমাকে এবং হাদিসের কিছু অংশের ব্যাখ্যা দিয়েন। ভাই আমাদের কতটুক যোগ্যতা আছে যে কোরআন হাদিস থেকে ব্যাখ্যা করব এবং তা মেনে চলবো আমরা তো ভাই সুরা ফাতিহা ঠিকমতো পড়তে পারেনা সহি-শুদ্ধভাবে এত আরবি ভাষা দূরে থাকলো
আর আপনাকে বলছি,,, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন,,,, - ১) প্রচলিত চার মাযহাব মানা ফরয কিংবা ওয়াজিব কে করেছে? আল্লাহ নাকি রাসূল (সাঃ)❓ - ২) কুরআন হাদিসের কোথাও কি চার ইমামের অথবা চার মাযহাবের নাম উল্লেখ করা আছে❓ - ৩) রাসূল (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম চার মাযহাবে বিশ্বাসী ছিলেন নাকি এক মাযহাবে❓ - ৪) রাসূল (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরামের মাযহাব কি অচল❓ যদি অচল না হয় তবে নতুন করে চার মাযহাব তৈরি হলো কেন❓ - ৫) চার মাযহাব কে, কখন এবং কেন তৈরি করেছিল❓ - ৬) চার ইমাম কি চার মাযহাব তৈরি করেছেন❓ অথবা চার মাযহাব মানা ফরয ঘোষণা করেছেন❓ - ৭) ইমাম আবূ হানিফা রহঃর পিতা, মাতা ও ওস্তাদগণ কোন মাযহাব পালন করতেন❓ - ৮) চার ইমাম শ্রেষ্ঠ নাকি চার খলিফা❓চার খলিফার নামে মাযহাব হয়নি কেন❓ - ৯) রাসূল (সাঃ) এর সময় কি ইসলাম পরিপূর্ণ হয়নি❓ - ১০) সীরাতে মুসতাকিম- সোজা পথ চারটি নাকি একটি❓ - ১১) চার মাযহাবই যদি সঠিক হয়ে থাকে তবে এক মাযহাবের লোকেরা অন্য মাযহাবের লোকের সাথে হিংসা, বিদ্বেষ, ঝগড়া করে কেন❓ - ১২) বুকে হাত বাধা, রাফউল ইয়াদায়েন করা, উচ্চ স্বরে আমিন বলা হলে কারও মাথা ব্যাথা শুরু হয় কেন❓ এসব কি সহীহ হাদিসে নেই❓ এসব কি সুন্নাত নয়❓ - ১৩) নবীর সুন্নাতকে 'ফাযলামি' 'ফিতনা' বলে তিরস্কার করা কি কুফরি নয়❓ - ১৪) চার মাযহাব থেকে যে কোন এক মাযহাব মানতে হবে- এই কথার প্রমাণ কি কুরআন হাদিসে আছে❓ - ১৫) ইমাম মাহদী ও ঈসা (আঃ) কোন মাযহাব পালন করবেন❓ কোন মাযহাব মতে বিশ্ব শাসন করবেন❓ - ১৬) কবরে বা হাশরে চার মাযহাব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে কি❓ - ১৭) এক ইমামকে মানতে গিয়ে অন্য তিন ইমামকে অমান্য করা কি বুদ্ধিমানের কাজ❓ - ১৮) আমার ইমামের অভিমত যদি সহীহ হাদীসের বিপরীত হয় তাহলে আমি ইমামের অভিমত মানবো, নাকি রাসূল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস মানব❓ - ১৯) মৃত লোকের ওসিলায় দোআ, ফরয সালাতের পর সবাই মিলে মুনাজাত, খতমে বুখারী, খতমে খাজাগান, খতমে নারী, কবর মাযার পূজা, তাবিজ, ওয়াজ ব্যবসা যথা- রাগ করা, টাকা কম দিলে বিরক্তি প্রকাশ করা, পরের বছর দাওয়াত না রাখা এসব কি ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর শিক্ষা❓ - ২০) চার মাযহাবের যে কোন একটি মানতে হবে এ মর্মে বিশ্ব মুসলিমের কোন ইজমা বা ঐক্যমত হয়ে থাকলে তা তুলে ধরুন
হযরত আবুবকর (রাঃ) হযরত ওমর, হযরত, আলী, হযরত ওসমান (রাঃ) হাসান হোসাইন ও সেই সময়ের অন্যান্য সাহাবী ও লক্ষ কোটি মুসমানগন কোন মাযহাব পালন করত। হযরত হানাফি (রহঃ) ও অন্যান্য আরো ইমামগন কোন মাযহাব পালন করতেন।
Sahabi Gon ar somoy to majahab asa nai !!! Imam Gon Hadith sonkolon suru koracen Tara Quran / Hadith analysis kora Islam k manus ar kasa aro shohoj vaba present koracen but Quran / Sunnah ar aganist a kicu bollen nai Imam bhukari koba bhukhari kitab likhacen janen ??? Imam DER ohh onek pora So there is nothing new
@@kamrulhasan3521 আমিতো হারাম বলি নাই। অসুখ হলেও তো আপনি একসাথে ৩ চার রকম চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন না। চার রাকাত চার নিয়মে কেন পড়বেন। যেকোনো এক মাযহাবের নিয়মে পড়বেন।
@@kamrulhasan3521 তিন রকম ঔষধ খেলে কাজ করবে না। যেমন আমার আব্বার হোমিওপ্যাথি বইতে লেখা দেখেছি দীর্ঘদিন যদি কেউ হোমিওপ্যাথি ছাড়া কোন রোগের জন্য হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্য কোন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন তবে হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে চাইলে আগে ঐ চিকিৎসার প্রভাব কাটাতে হবে তারপর চিকিৎসা শুরু করতে হবে। চারটি মাযহাবের চারটিই হাদীস সমর্থন করে। যেকোনো একটা মানলেই যথেষ্ট চারটা একসাথে মানবেন কেন? মাযহাব আসছে হাদীস কোরআন এর থেকেই। কোরআন তো নবীজীর উপর নাজিল হয়েছে তিনি আলাদা তো সেটাকেই আর আল্লাহর আদেশ নিষেধ সরাসরি অনুসরণ করেছেন। এক মাযহাবের কোন একটা বিষয় অনেক সময় কোন অন্য মাযহাবের কোন একটা বিষয়ের সাথে আলাদাও আছে তবে দুইটার কোনটাই ভুল না। এক মাযহাবের ইমাম অন্য মাযহাবের কোন একটা বিষয় কেও ভুল বলেন নাই। কারণ এক বিষয়ে দুই বা ততোধিক নির্দেশনা এসেছে। চার মাযহাবের নামায আদায় করা ভিন্ন রকম তবে সেই নিয়মগুলো নিয়ে কোন ইমাম একজন আরেকজনের টা ভুল বলেন নি। কারণ এই নিয়মগুলো হাদীস সমর্থন করে। নবীজী এক এক সময় এক এক নিয়মে নামাজ আদায় করেছেন। আমি একজন বড় আলেম কে বলতে শুনেছি নবীজী শেষ জীবনে যেভাবে আমল করেছেন সেভাবে আমল করার উপর বেশি তাগিদ করেছেন তবে আগের নিয়মগুলো বাদ দিয়েছেন এমন বলেন নাই। সুতরাং পরের নিয়মটা আপনার জন্য বেশি পালনীয় তবে আগেরটা পালন করলে যে আপনার হবেনা তা কিন্তু মোটেও নয়
মানব রচিত মাযহাব তরিকায় বিভক্ত হয়ে যাওয়া হারাম সুরা ইমরানের 103 নম্বর আয়াত সূরা আরাফের তিন নম্বর আয়াত সূরা আনআমের 159 নম্বর আয়াত এবং সূরা রুমের 32 নম্বর আয়াত
قال المستبان ماقالا فعلى البادى مالم يعتد المظلوم- رواه مسلم :[হযরত আবু যার(রা) থেকে বর্নিত] রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে, অথচ ( যাকে কাফের ও আল্লাহ তাআলার শত্রু বলা হচ্ছে) সে তা নয়, তখন তার কথা নিজের দিকে ফিরবে।বুখারী ও মুসলিম , মিশকাতঃ৪৬০৬ অধ্যায়ঃজিহ্বার সংযম,গীবত...গাল-মন্দ প্রসঙ্গে। হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি তার অপর কোন ভাইকে কাফের বলে, তাহলে তা উভয়ের যেকোন একজনের দিকে ফিরবে। যদি সে যেমন বলেছে বাস্তবে তা’ই হয়, তাহলেতো ঠিক আছে, নতুবা উক্ত বিষয়টি যে বলেছে তার দিকেই ফিরে আসবে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৫০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৫০৩৫, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৫৪, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৩৭}
মাযাহাবকে গুরুত্ব দেয়না দেখা যায় , আলিম রুপে ওরা এই হুজুরের সাথে যাইয়া বসুক , যদি মাযহাব মানেনা এমন কোন মাদ্রাসার হুজুর হয়ে তাকে এই হুজুরে বলতেছে মাযহাব নিয়া আলোচনার জন্য অনুরুদ রইল
নাসির উদ্দিন আলবানি বললেই সেটা মানতে হবে এটা আবার কেমন কথা?? নাসির উদ্দিন আলবানি কি অহি প্রাপ্ত ছিলো নাকি??? মাযহাব মানা যদি ওয়াজিব হয় তবে আমাদের নবী(স:) কোন মাযহাবের ছিলেন এটা কি একটু বলবেন, জনাব আব্বাসি হুজুর??? এত বিভক্তি আপনার কাছ থেকে আশা করি না।