প্রিয় দর্শক, স্বাগতম আমাদের ডকুমেন্টারিতে। আজ আমরা আপনাদের নিয়ে যাব সুইজারল্যান্ডের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর শহর থুনে এবং তার আশেপাশের থুন হ্রদে।
থুন, সুইজারল্যান্ডের বার্ন ক্যান্টনে অবস্থিত একটি মনোরম শহর। এই শহরের মূল আকর্ষণ হলো থুন হ্রদ, যা শহরটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
থুন শহরের জনসংখ্যা প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার। এই শহরের মানুষগুলো বেশিরভাগই সার্ভিস সেক্টরে কর্মরত। পর্যটন, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা এবং বাণিজ্য এই শহরের প্রধান অর্থনৈতিক খাত। থুন শহরের বাসিন্দারা সাধারণত উচ্চমানের জীবনযাত্রা উপভোগ করে। শহরের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত এবং বাসিন্দাদের শিক্ষার হার প্রায় নিরানব্বই শতাংশ। পুরুষ-মহিলা অনুপাত প্রায় সমান, যা থুনের একটি ইতিবাচক দিক. থুন শহরে আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। থুন ক্যাসেল, যা এক হাজার একশ নব্বই সালে নির্মিত, এই শহরের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক স্থাপনা। শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত হোফস্টাটপ্ল্যাটজ এবং থুনের পুরাতন শহর ঘুরে দেখার মত জায়গা।
থুন শহরে বেশ কয়েকটি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন প্রকৌশল, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ। মোট প্রায় শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
থুন শহরের গড় আয় প্রায় এক লক্ষ সুইস ফ্রাঙ্ক। তথ্যসূত্র অনুযায়ী, এক সুইস ফ্রাঙ্ক প্রায় একশ ছাব্বিশ থেকে একশ ত্রিশ বাংলাদেশি টাকা এর সমান। জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেশ উঁচু। একটি দুই বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টের মাসিক ভাড়া প্রায় দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক। খাবারের খরচও তুলনামূলকভাবে বেশি। মাসিক খাবারের খরচ প্রায় সাতশ থেকে আটশ সুইস ফ্রাঙ্ক। এ থেকে বুঝা যায় এখানে অনেকটা স্বার্থপর ধনিক শ্রেণী মানুষের অবস্থান।
এই ছিল সুইজারল্যান্ডের থুন শহর এবং থুন হ্রদের উপর আমাদের ডকুমেন্টারি। একটি সুদৃশ্য শহর যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস এবং আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে। আপনারাও যদি কোনোদিন সুইজারল্যান্ডে আসেন, থুন এবং থুন হ্রদে ভ্রমণ করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ, আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য। আবার দেখা হবে নতুন কোনো শহরের গল্প নিয়ে।
2 окт 2024
