বলি প্রথা:- ____________ বলি নিয়ে দুই প্রকার মত রয়েছে একটি বলির পক্ষে অপরটি বিপক্ষে।দুই পক্ষের মত নিয়ে আলোচনা করবো। বলি কি শাস্ত্রীয়? •বলি দুই প্রকার- সাত্ত্বিক বলি, রাজসিক বলি। ••যজুর্বেদ এ পশু বলির কথা উল্লেখিত আছে। যজুর্বেদে🐎 'অশ্বমেধ' এর উল্লেখ করা হয়েছে। মহাভারতে, পান্ডব যুধিষ্ঠির চক্রবর্তী সম্রাট হওয়ার জন্য অশ্বমেধ পালন করেন। গুপ্ত সাম্রাজ্যের শাসকগণ ,চালুক্য বংশ এবং চোল রাজবংশ সকলেই অশ্বমেধ পালন করেছিলেন। দশম একাদশ শতাব্দীতে রচিত ভাগবত পুরাণে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন কলিযুগে পশুবলি না করতে। ব্রহ্মপুত্র পুরাণে কলি -বর্জ্য বা কলিযুগে পশুবলি নিষিদ্ধ। আদিপুরাণ বৃহন- নারদীয় পুরাণ এবং আদিত্য পুরাণেও কলিযুগে পশুবলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।ভাগবতের প্রথম স্কন্ধে বলা হয়েছে, “এই জগতে হস্তবিহীন (হাত নেই) প্রাণীরা মানুষের খাদ্য। চতুষ্পদ পশুদের পক্ষে পদবিহীন এবং তাদের মধ্যেও ক্ষুদ্রদেহী বড় দেহীর খাদ্য। এই ভাবে এক জীব অন্য জীবের আহার।” (শ্রীমদ্ভাগবত : প্রথম স্কন্ধ, অধ্যায়ঃ ১৩, শ্লোকঃ ৪৭) “...... শ্রেষ্ঠ যদু বীরবর্গ পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি যজ্ঞে নিবেদনের উদ্দেশ্যে পশুবধ করেছিলেন” শ্রীমদ্ভাগবত (দশম স্কন্ধ, অধ্যায়ঃ ৬৯, শ্লোকঃ ৩৫) মহানির্বাণতন্ত্রে বলা হয়েছে- “দেবোদ্দেশে বলিদান উৎসর্গ ব্যতীত সর্বত্রই হিংসা বর্জন করতে হবে। দেবোদ্দেশে বলিদানে যে হিংসা শাস্রে তাকে বৈধহিংসা বলা হয়েছে। হিংসা পাপ, কিন্তু বৈধহিংসায় পাপ স্পর্শ করে না।” (১১/১৪৩) মনুসংহিতা য় বলা হয়ছে _ “.... যে পশুমাংস দান করা হয়, দেবতা ও পিতৃলোকের তৃপ্তি সম্পাদন হয়, সেই অবশিষ্ট মাংস ভোজন করিলে দোষ হয় না।” (মনুসংহিতাঃ ৫/৩২) “যজ্ঞ সিদ্ধির নিমিত্ত প্রজাপতি স্বয়ংই পশু সমুদর সৃষ্টি করিয়াছেন।.....অতএব যজ্ঞে যে পশুবধ তাহা বধ নয়; কেননা, তাহাকে বধ করায় পাপ নেই” (মনুসংহিতাঃ ৫/৩৯) “যে সকল মাংস ভোজনের বিধিনিষেধ নাই, তাহা ভক্ষণে দোষ নাই।” (মনুসংহিতাঃ ৫/৫৬) তন্ত্রে বলির উল্লেখ পাওয়া যায়_ “ছাগ, মেষ, মহিষ, শশক, শজারু, শূকর, বলয়, কৃষ্ণসার মৃগ প্রভৃতি পশু মন্ত্রসাধক বলিরূপে প্রদান করিবে। হে পরমেশ্বরি! এই সকল পশুর রক্তও নৈবেদ্যরূপে প্রদান করিবে।” (কুমারীতন্ত্র ৪/৮-৯) “পশুবলি না দিয়ে কখনও কালী,তারা প্রভৃতি দেবীর পূজা করা উচিত নয়।” মাতৃকাভেদ তন্ত্র (১০/১৩) “কলিকালে অশ্বমেধাদি মহাযজ্ঞ নিষিদ্ধ, বলিদানই কলিকালের মহাযজ্ঞ।” (মাতৃকাভেদ তন্ত্রঃ ১০/১৩-১৭) “পূজা জেনে বা না জেনেও যদি এই মাহাত্ম্য পাঠপূর্ব্বক বলিদান, পূজা এবং হোমাদি করে তা অতি প্রীতি সহকারে আমি গ্রহন করি।” (শ্রী শ্রী চণ্ডী,১২/১১) “দেবীর সন্মুখে যে সকল পশু নিহত হয়, তাহারা অক্ষয় স্বর্গ লাভ করে এবং দেবীর প্রীত্যর্থে উৎসর্গপূর্ব্বক নিহত পশুগনের নিশ্চিত স্বর্গগতি হয় বলিয়া প্রকৃতপক্ষে তাহাদিগের পরম উপকার করা হয়; এই জন্যই যজ্ঞীয় হিংসা যে হিংসার মধ্যে গণ্য নহে, ইহা সমুদয় শাস্ত্রেই নির্ণীয় হইয়াছে।।” (দেবীভাগবতঃ ৩/২৬/৩৩,৩৪) বৈদিক যুগের অশ্বমেধ যজ্ঞ কলিযুগে নেই কিন্তু বর্তমানে শক্তি দেবীর কাছে বলির প্রাচীন রীতি আজও পালন করে আসছেন শক্তি উপাসকরা।🌺🌺
I am against animal sacrifices I am not all going to support all these cruelty you think god will be happy by all these but no jodiiii ayeto shock boliii deybar taahole nicher maathaa. Boliii daao jeyiii praanii kotha bolte pareynaa taadeirr koshto deyiii kono laabh neyiii 😠😠😠😠
But Most of the people's are non vegetarian , you should stop them too , secondly this is their choice and practices we can't say them or force , which too isn't correct , they are following tantric rituals , and they too eat meat it's their choice
