Тёмный

Dr. Koushik Lahiri on  

Dr. Koushik Lahiri
Подписаться 7 тыс.
Просмотров 307
50% 1

কোনো ক্রিম মেখে ফর্সা হওয়া যায় না !
গত একশো বছরের সেরা কয়েকটি মানুষের নাম ভেবে দেখা যাক ।
গান্ধীজি, মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলা, পেলে, বারাক ওবামা বা সদ্য নির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক !
এঁরা কেউ কি তাঁদের গায়ের রং কালো বলে পেছিয়ে গেছেন জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই ?
গায়ের রং নির্ভর করে নৃতত্ব, বংশগতি এবং পরিবেশের ওপর !
ফেয়ারনেস ক্রিম বলে বাজারে যা চলে সেটা প্রধানত ধাপ্পা এবং বিজ্ঞাপনী দামামা নির্ভর আর তার অনেকগুলিই আসলে স্টেরয়েড মেশা বিপজ্জনক এবং অবৈজ্ঞানিক ককটেল !
ড্রাগ এবং কসমেটিক এক্টের শিডিউল জে ক্লজ ১৮ তে আছে যে ফর্সা করার দাবি জানিয়ে কোনো ওষুধ বিক্রি করা দূরের কথা বিজ্ঞাপন দেওয়াও যায় না !
অথচ, শুধু বিক্রি নয়, রীতিমত খবরের কাগজে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন দিয়ে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই সব ক্রিম , যার পুরোটাই অনৈতিক তো বটেই বেআইনিও!
এছাড়া পাওয়া যায় কিছু শক্তিশালী স্টেরয়েড মেশা ককটেল
যেমন মেলাকেয়ার, মেলালাইট এক্সএল, মেলবেস্ট, স্কিনলাইট, স্কীনশাইন, নোস্কার, ইউ বি ফেয়ার ইত্যাদি
এছাড়া প্যান্ডারম প্লাস কসভেট জি এম, লোবেট জিএম, বেটনোভেট জিএম, নুফোর্স জি এম এগুলিও অনেকে মুখে মাখেন ফর্সা হবার উদগ্র ইচ্ছায় !
এই গুলি আসলে একটি এন্টিবায়োটিক, একটি এন্টিফাঙ্গাল এবং অত্যন্ত শক্তিশালী একটি স্টেরয়েডের ভয়ঙ্কর ককটেল !
এগুলি প্রাথমিক ভাবে দাদের মলম হিসেবেই তৈরী হয়েছিল, কিন্তু অপব্যবহার হচ্ছে ফর্সা হবার ক্রিম হিসেবে !
এছাড়া বেশ কিছু বিপুল বিজ্ঞাপিত, তথাকথিত আয়ুর্বেদিক ব্র্যান্ডের ক্রিমেও মিলেছে স্টেরয়েড !
এগুলি বা অন্য স্টেরয়েড না জেনে মুখে বা অন্যত্র মাত্রাছাড়া ভাবে মাখলে স্কিন পাতলা হয়ে যায়, লাল হয়ে , রক্তনালী দেখা যায়, ব্রণ বেরোয়, মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম বের হয়!
স্টেরয়েড এডিকশন বা নেশার শিকার হয় মানুষটি !
দশ বছর ধরে নিরন্তর আন্দোলন চালানোর পর
২০১৬ সালের ১২ আগস্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদফতর থেকে রীতিমত গেজেট নোটিফিকেশন করে জানিয়েছেন যে ""all salts, esters, derivatives and preparations containing steroids for topical or external use is now covered by the Schedule".
শিডিউল মানে শিডিউল এইচ !
কিন্তু তাতে কি আর এলো গেলো !
চুরি, জোচ্চুরি, রাহাজানি, ধর্ষণ, খুন কোনোটাই আইন মেনে করা হয় কি?
মরগ্যান স্ট্যানলির রিপোর্ট বলছে ভারতে প্রায় অর্ধেক(৪৭ %)উপভোক্তা ক্রিম কেনেন ফর্সা হবার বাসনায় !
ধরুন কারো জ্বর হলো, সেটা টাইফয়েড হতে পারে, ম্যালেরিয়া হতে পারে, টিবি অথবা ব্লাড ক্যান্সার, ডেঙ্গু অথবা চিকুনগুনিয়া অনেক কিছু থেকেই হতে পারে তাই তো ?
এখন সেক্ষেত্রে ডাক্তার না দেখিয়ে, জ্বরের সঠিক কারণ না জেনে কেউ যদি একটু ম্যালেরিয়ার ওষুধ, একটু টাইফয়েডের ওষুধ, একটু টিবির ওষুধ, একটু ব্লাড ক্যান্সারের ওষুধ মিশিয়ে খায় এবং খেয়ে চলে কেমন হবে ? তাতে রোগ সারবে কি ? না বেড়ে যাবে ?
সঠিক রোগ নির্ণয় না করে ঐসব প্যান্ডার্ম, ফোর্ডার্ম মার্কা ওষুধ লাগানো ব্যাপারটা ওইরকমই !
ওষুধ মানে কিন্তু শুধু ক্যাপসুল, ট্যাবলেট ইনজেকশন নয়, স্কিনে লাগানোর ক্রিম বা অয়েন্টমেন্টেও যে শক্তিশালী রাসায়নিক থাকতে পারে সেটা বেশীর ভাগ মানুষের খেয়ালই থাকে না!
আর এই অজ্ঞানতা/অবিবেচনা আর অসতর্কতার ফল হচ্ছে ভয়াবহ !
মেলাকেয়ার, মেলালাইট এক্সএল, মেলবেস্ট, স্কিনলাইট, স্কীনশাইন, নোস্কার এগুলির মধ্যে থাকে শক্তিশালী স্টেরয়েড, হাইড্রোকুইনোন নামে একটি ব্লিচ আর ট্রেটিনয়েন নামে একটি ওষুধ.
এছাড়া প্যান্ডারম প্লাস কসভেট জি এম, লোবেট জিএম, বেটনোভেট জিএম, নুফোর্স জি এম এগুলিও অনেকে মুখে মাখেন ফর্সা হবার উদগ্র ইচ্ছায় !
এই গুলি আসলে একটি এন্টিবায়োটিক, একটি এন্টিফাঙ্গাল এবং অত্যন্ত শক্তিশালী একটি স্টেরয়েডের ভয়ঙ্কর ককটেল !
এগুলি বা অন্য স্টেরয়েড না জেনে মুখে বা অন্যত্র মাত্রাছাড়া ভাবে মাখলে স্কিন পাতলা হয়ে যায়, লাল হয়ে , রক্তনালী দেখা যায়, ব্রণ বেরোয়, মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম বের হয়!
স্টেরয়েড এডিকশন বা নেশার শিকার হয় মানুষটি !
আশা করি ফর্সা হবার উদগ্র বাসনায় আর কেউ মুখ পোড়াবেন না !
এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলা খুব জরুরি ।
গায়ের রং দিয়ে নয়, সব মানুষেরই বিচার হওয়া উচিৎ তার কাজ, চিন্তা, শিক্ষা, রুচি আর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে ।
আসুন সবাই সচেতন হই !
‪@MirchiBangla‬ , ‪@mirchiagni9470‬
#skincare
#skin
#stay_unfair_stay_beautiful
#nofairnesscream
#avoidfairnesscreams

Опубликовано:

 

24 окт 2022

Поделиться:

Ссылка:

Скачать:

Готовим ссылку...

Добавить в:

Мой плейлист
Посмотреть позже
Комментарии    
Далее
ТРОЛЛИНГ СКАМЕРА СТАНДОФФ 2
00:59
ТРОЛЛИНГ СКАМЕРА СТАНДОФФ 2
00:59